১. আজ থেকে কত বছর পূর্বে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হয়েছিল বলে মনে করা হয়?
উঃ- প্রায় ১৫০০ কোটি বছর পূর্বে।২. আজ থেকে কত বছর আগে পৃথিবীর জন্ম হয়?
উঃ- প্রায় ৫০০ কোটি বছর পূর্বে।
৩. আজ থেকে কত বছর পূর্বে পৃথিবীতে সর্ব প্রথম প্রাণের সৃষ্টি হয়?
উঃ- প্রায় ১২৫ কোটি বছর পূর্বে।
৪. পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কোন যুগের সূচনা হয়?
উঃ- আর্কিওজোয়িক যুগ।
৫. আজ থেকে কত বছর পূর্বে প্রোটেরোজোয়িক যুগ যুগের সূচনা হয়?
উঃ- প্রায় ৮২ কোটি বছর পূর্বে।
৬. আজ থেকে কত বছর পূর্বে প্রোটেরোজোয়িক যুগ শেষ হয়?
উঃ- প্রায় ৫০ কোটি বছর পূর্বে।
৭. প্রোটেরোজোয়িক যুগের পর পৃথিবীতে কোন যুগে এসেছিল?
উঃ- প্যালিওজোয়িক যুগ বা পুরাজীবীয় যুগ।
৮. আজ থেকে কত বছর পূর্বে প্যালিওজোয়িক যুগের সূচনা হয়?
উঃ- প্রায় ৫০ কোটি বছর পূর্বে।
৯. আজ থেকে কত বছর পূর্বে প্যালিওজোয়িক যুগ শেষ হয়?
উঃ- প্রায় ২০ কোটি বছর পূর্বে।
১০. প্যালিওজোয়িক যুগ বা পুরাজীবীয় যুগের পর পৃথিবীতে কোন যুগের সূচনা হয়?
উঃ- মেসোজোয়িক যুগ বা মধ্যজীবীয়।
১১. আজ থেকে কত বছর পূর্বে মেসোজোয়িক যুগের সূচনা হয়?
উঃ- প্রায় ২০ কোটি বছর পূর্বে।
১২. আজ থেকে কত বছর পূর্বে মেসোজোয়িক যুগ শেষ হয়?
উঃ- প্রায় ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর পূর্বে।
১৩. মেসোজোয়িক যুগের অবসানের পর পৃথিবীতে কোন যুগের সূচনা হয়?
উঃ- সেনোজোয়িক যুগ বা নবজীবীয় যুগ।
১৪. আজ থেকে কত বছর পূর্বে সেনোজোয়িক যুগ বা নবজীবীয় যুগের সূচনা হয়?
উঃ- প্রায় ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর পূর্বে।
১৫. সেনোজোয়িক যুগ বা নবজীবীয় যুগকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় এবং কি কি?
উঃ- দুই ভাগে-
i. টার্শিয়ারি যুগ।
ii. কোয়াটারনারি যুগ।
১৬. আজ থেকে কত বছর পূর্বে টার্শিয়ারি যুগের সূচনা হয়
উঃ- প্রায় ৬ কোটি ৫০ লক্ষ বছর পূর্বে।
১৭. আজ থেকে কত বছর পূর্বে টার্শিয়ারি যুগ শেষ হয়?
উঃ- প্রায় ২০ লক্ষ বছর পূর্বে।
১৮. আজ থেকে কত বছর পূর্বে কোয়াটারনারি যুগের যুগের সূচনা হয়
উঃ- প্রায় ২০ লক্ষ বছর পূর্বে।
১৯. বর্তমান যুগ কোন ঐতিহাসিক যুগের অন্তর্গত?
উঃ- হোলোসিন।
২০. কোন যুগে স্থলভাগে সর্বপ্রথম প্রাণের স্পন্দন দেখা যায়?
উঃ- প্যালিওজোয়িক যুগ বা পুরাজীবীয় যুগ।
২১. কোন যুগে সর্বপ্রথম মানুষের পূর্বপুরুষের আবির্ভাব ঘটেছিল বলে মনে করা হয়?
উঃ- টার্শিয়ারি যুগ (সেনোজোয়িক যুগ বা নবজীবীয় যুগ)।
২২. কোয়াটারনারি যুগকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?
উঃ- দুই ভাগে,যথা-
১)প্লেইস্টোসিন যুগ ও
২)হোলোসিন যুগ।
২৩. আজ থেকে কত বছর পূর্বে প্লেইস্টোসিন যুগের সূচনা হয়েছিল?
উঃ- প্রায় ২০ লক্ষ বছর পূর্বে।
২৪. আজ থেকে কত বছর পূর্বে প্লেইস্টোসিন যুগ শেষ হয়েছিল?
উঃ- প্রায় ১০ হাজার বছর পূর্বে।
২৫ আজ থেকে কত বছর পূর্বে হোলোসিন যুগ শুরু হয়েছিল?
উঃ- প্রায় ১০ হাজার বছর পূর্বে।
২৬. কোন যুগে আধুনিক মানুষ বা হোমো স্যাপিয়েন্সের আবির্ভাব ঘটেছিল?
উঃ- প্লেইস্টোসিন যুগের শেষের দিকে।
২৭. কোন মহাদেশকে মানবজাতির জন্মস্থান বলা হয়?
উঃ- আফ্রিকা মহাদেশ।
২৮. আজ থেকে কত বছর পূর্বে মানুষ কৃষি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল?
উঃ- প্রায় ১০,০০০ বছর পূর্বে।
২৯. কোন যুগের মানুষ লাঙ্গল চালাতে শিখেছিল?
উঃ- নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ।
৩০. প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ- খাদ্য সংগ্রহ, পশু শিকার ও মৎস্য শিকার।
৩১. কোন যুগে ডাইনোসরদের আবির্ভাব ঘটেছিল?
উঃ- মেসোজোয়িক যুগে।
৩২. কোন যুগে অস্ট্রালোপিথেকাস বা রামাপিথেকাসের উদ্ভব ঘটেছিল?
উঃ- মায়োসিন যুগে।
৩৩. কোন যুগের মানুষ হাত কুঠার ব্যবহার করত?
উঃ- প্রাচীন প্রস্তর যুগ।
৩৪. মানুষের কোন পূর্বপুরুষ সর্বপ্রথম পাথরের হাতিয়ারের ব্যবহার শুরু করেছিল?
উঃ- অস্ট্রালোপিথেকাস।
৩৫. কোন যুগকে "ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগ" (Microlithic Age) নামে অভিহিত করা হয়?
উঃ- মধ্য প্রস্তর যুগ।
৩৬. মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ- পশু শিকার ও ফলমূল সংগ্রহ।
৩৭. ভারতের কোন কোন স্থানে মধ্য প্রস্তর যুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট।
৩৮. ভারতের কোন কোন স্থানে প্রাচীন প্রস্তর যুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- পাঞ্জাবের সোয়ান নদী উপত্যকা ও মাদ্রাজের পাল্লাভারমে।
৩৯. ভারতে কবে নব্য প্রস্তর যুগের সূচনা হয় বলে মনে করা হয়?
উঃ- প্রায় ৬০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে।
৪০. নব্য প্রস্তর যুগের মানুষ কোন কোন হাতিয়ার ব্যবহার করত?
উঃ- কাস্তে, হামানদিস্তা, শিলনোড়া, হাতুড়ি, বাটালি, যাঁতা ইত্যাদি।
৪১. কোন যুগের মানুষ কৃষিকাজের কৌশল আবিষ্কার করেন?
উঃ- নব্য প্রস্তর যুগ।
৪২. কোন যুগের মানুষ স্থায়ীভাবে বসতি নির্মাণ করতে শিখেছিল?
উঃ- নব্য প্রস্তর যুগ।
৪৩. কে নব্য প্রস্তর যুগের সংস্কৃতিকে নব্য প্রস্তর বিপ্লব (Neolithic Revolution) বলে অভিহিত করেছেন?
উঃ- ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড।
৪৪. ভারতের কোন সভ্যতা নব্য প্রস্তর যুগের সভ্যতা?
উঃ- মেহেরগড় সভ্যতা।
৪৫. ভারতের কোন কোন স্থানে নব্য প্রস্তর যুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- বিহার, উড়িষ্যা ও দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন স্থানে।
৪৬. নব্য প্রস্তর যুগের শেষ দিকের সংস্কৃতিকে কে "তাম্র প্রস্তর সংস্কৃতি" বলে অভিহিত করেছেন?
উঃ- রেমন্ড অলচিন ও ব্রিজেৎ অলচিন।
৪৭. কোন সময়কালকে তাম্র প্রস্তর যুগ বলে অভিহিত করা হয়?
উঃ- আনুমানিক ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে।
৪৮. কোন স্থানে সর্বপ্রথম খনিজ তামার ব্যবহার শুরু হয়েছিল?
উঃ- সুমেরে।
৪৯. কোথায় প্রাচীনতম মানব নিদর্শনের সন্ধান মিলেছে?
উঃ- আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত কেনিয়ার ওল্ডুভাই গিরিখাতে।
৫০. বর্তমানে কত ধরনের এপ পৃথিবীতে টিকে আছে এবং তাদের নাম কি?
উঃ- চার ধরনের,
যথা-শিম্পাঞ্জি, গোরিলা, ওরাং ওটাং ও গিবন।
৫১. কয়েকটি গ্রেট এপ -এর নাম লেখ।
উঃ- শিম্পাঞ্জি, গোরিলা, ওরাং ওটাং
৫২. একটি লিটল এপ -এর নাম লেখ।
উঃ- গিবন।
৫৩. ইজিপ্টোপিথেকাসের জীবাশ্ম কে কবে আবিষ্কার করেন?
উঃ- এলউইন সাইম, ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে।
৫৪. ভারতের কোথায় রামাপিথেকাসের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- হিমালয় পর্বতের পশ্চিম ভাগ ও শিবালিক পার্বত্য অঞ্চল থেকে।
৫৫. মানব পরিবারের প্রথম সদস্য কাকে বলা হয়?
উঃ- রামাপিথেকাস।
৫৬. আজ থেকে কত বছর আগে পৃথিবীতে রামাপিথেকাস বসবাস করত?
উঃ- প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ বছর আগে।
৫৭. ইথিওপিয়ায় প্রাপ্ত অস্ট্রালোপিথেকাস শ্রেণীর শিশু কন্যার জীবাশ্মটির কি নাম দেওয়া হয়েছে?
উঃ- লুসি।
৫৮. 'হোমো হাবিলিস' শব্দের অর্থ কি?
উঃ- দক্ষ মানুষ।
৫৯. পৃথিবীতে কবে হোমো হাবিলিসেরর উদ্ভব ঘটেছিল?
উঃ- আজ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে।
৬০. হোমো হাবিলিসের জীবাশ্ম সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেন?
উঃ- এল.এস.বি.লিকি ও তাঁর স্ত্রী মেরি লিকি এবং তাঁদের পুত্র জোনাথান।
৬১. "হোমো ইরেক্টাস" শব্দের অর্থ কি?
উঃ- দণ্ডায়মান মানুষ।
৬২. আজ থেকে কত বছর আগে হোমো ইরেক্টাসদের উদ্ভব ঘটেছিল?
উঃ- প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে।
৬৩. হোমো ইরেক্টাসের জীবাশ্ম সর্বপ্রথম কে এবং কবে আবিষ্কার করেন?
উঃ- ড.ইউজিন ডুবয়েস,১৮৯০-৯২খ্রীঃ।
৬৪. ড.ইউজিন ডুবয়েস কোথায় সর্বপ্রথম হোমো ইরেক্টাসের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন?
উঃ- ইন্দোনেশিয়ার জাভা।
৬৫. ড.ইউজিন ডুবয়েস ইন্দোনেশিয়ার জাভায় প্রাপ্ত হোমো ইরেক্টাসের জীবাশ্মটির কি নামকরণ করেছিলেন?
উঃ- পিথেকানথ্রোপাস ইরেক্টাস।
৬৬. হোমো ইরেক্টাসের অপর নাম কি?
উঃ- জাভা মানব।
৬৭. "হোমো স্যাপিয়েন্স" শব্দের অর্থ কি?
উঃ- বুদ্ধিমান মানুষ।
৬৮. প্রাচীন হোমো স্যাপিয়েন্সেরর প্রথম জীবাশ্মটি কবে কোথায় আবিষ্কৃত হয়?
উঃ- ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে, জার্মানির নিয়ানডার উপত্যকা।
৬৯. বর্তমানকালের আধুনিক মানুষকে কোন নামে অভিহিত করা হয়?
উঃ- হোমো স্যাপিয়েন্স।
৭০. কোন যুগে হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্সের আবির্ভাব ঘটেছিল?
উঃ- প্লেইস্টোসিন যুগের শেষদিকে (আজ থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার বছর পূর্বে)।
৭১. কোথায় রোডেশীয় মানবের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে?
উঃ- উত্তর রোডেশিয়া।
৭২. কোথায় ক্রো-ম্যাগনন মানবের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- ফ্রান্সের ক্রোমেনিয়ান অঞ্চলে পাহাড়ের গুহায় (১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে)।
৭৩ আজ থেকে কত বছর আগে পৃথিবীতে হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্সের আবির্ভাব ঘটেছিল?
উঃ- আজ থেকে ৭০-৪০ হাজার বছর আগে।
৭৪. প্রাচীনকালে শিকারি মানুষদের নিয়ে গড়ে ওঠা দল বা সংগঠনকে কি বলা হয়?
উঃ- ক্ল্যান।
৭৫. প্রাচীনকালে শিকারি মানুষদের নিয়ে গড়ে ওঠা কয়েকটি ক্ল্যানের সমষ্টিকে কি বলা হয়?
উঃ- ট্রাইব।
৭৬. চীনের কোথায় একই সঙ্গে নারী, পুরুষ ও শিশুর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে?
উঃ- ঝাউ-কাউ-তিয়েন পাহাড়ের গুহায়।
৭৭. প্রাচীনকালের শিকারি মানুষদের পরিবার কেমন ছিল?
উঃ- মাতৃতান্ত্রিক।
৭৮. আদিম মানুষ প্রথম কোন পশুকে পোষ মানিয়ে ছিল?
উঃ- কুকুর।
৭৯. আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষের প্রাচীনতম নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে?
উঃ- আফ্রিকায়।
৮০. মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর এক মহাদেশীয় ভূখণ্ড থেকে ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশীয় ভূখণ্ডে গমনকে কি বলে?
উঃ- পরিযান বা পরিব্রাজন।
৮১. আদিম মানুষের পরিযান সম্পর্কে গবেষণার সর্বাধুনিক পদ্ধতির নাম কি?
উঃ- ডিএনএ পরীক্ষা।
৮২. কোন প্রজাতির মানব গোষ্ঠী সর্বপ্রথম আফ্রিকা থেকে অন্য মহাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল?
উঃ- হোমো ইরেক্টাস।
৮৩. হোমো ইরেক্টাসের পরিযানের পরবর্তীকালে কোন প্রজাতির মানুষ আফ্রিকা থেকে অন্য মহাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল?
উঃ- হোমো স্যাপিয়েন্স।
৮৪. আফ্রিকা থেকে আদিম মানুষ সর্বপ্রথম কোন মহাদেশে পৌঁছেছিল?
উঃ- ইউরোপ।
৮৫. ইউরোপ থেকে আদিম মানুষ কোন মহাদেশে পৌঁছেছিল?
উঃ- এশিয়া।
৮৬. আদিম মানুষ কোন পথ ধরে ভারতে প্রবেশ করেছিল?
উঃ- আদিম মানুষের একটি শাখা আরব হয়ে ইউরেশিয়ার পথ ধরে ভারতে প্রবেশ করেছিল।
৮৭. কোন প্রণালীর মধ্য দিয়ে আদিম মানুষ এশিয়া থেকে আমেরিকায় পৌঁছেছিল?
উঃ- বেরিং প্রণালী।
৮৮. অ্যাজটেক সভ্যতার কে ধ্বংস করেছিলেন?
উঃ- স্পেনীয় নাবিক কোর্টেস।
৮৯. আদিম মানুষের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ- পশু শিকার।
৯০. আদিম মানুষ কোন কোন পশু পালন করত?
উঃ- গরু, ছাগল, ভেড়া, উট, শূকর, হরিণ ইত্যাদি।
৯১. পৃথিবীর কোথায় প্রথম কৃষিকাজের নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উঃ- মেসোপটেমিয়া সভ্যতার (ইরাকের) জারমো অঞ্চলে।
৯২. পৃথিবীর প্রাচীনতম কাস্তের নিদর্শন কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- ফিলিস্তিনের ওয়াদি এল নাতুফ গুহায়।
৯৩. আদিম মানুষ সর্বপ্রথম কোন ফসলের চাষ করেছিল?
উঃ- যব।
৯৪. ভারতে আজ থেকে কত বছর আগে সর্বপ্রথম ধান চাষ শুরু হয়েছিল?
উঃ- আনুমানিক ৫ হাজার বছর পূর্বে।
৯৫. ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতার নাম কি?
উঃ- মেহেরগড় সভ্যতা।
৯৬. মেহেরগড় সভ্যতা কোন যুগের সভ্যতা?
উঃ- তাম্র-প্রস্তর যুগ।
৯৭. মেহেরগড় সভ্যতা কি ধরনের সভ্যতা?
উঃ- গ্রামীণ সভ্যতা।
৯৮. মেহেরগড় সভ্যতা কে কবে আবিষ্কার করেন?
উঃ- ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জা ফ্রাঁসোয়া জারিজ, ১৯৭৪ খ্রীঃ।
৯৯. মেহেরগড় সভ্যতা কোথায় গড়ে উঠেছিল?
উঃ- বালুচিস্থানের পশ্চিমে সিন্ধু উপত্যকার কাচ্চি সমভূমিতে বোলান গিরিপথের নিকটে।
১০০. মেহেরগড় সভ্যতা কোন সময় বিকাশ লাভ করেছিল?
উঃ- আনুমানিক ৭০০০ খ্রীঃপূঃ থেকে ২৫০০ খ্রীঃপূঃ।
১০১. মেহেরগড় সভ্যতা কয়টি পর্যায়ে বিকাশ লাভ করেছিল?
উঃ- ৭টি।
১০২. মেহেরগড় সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কারের সময় পাকিস্তানের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান কে ছিলেন?
উঃ- রিচার্ড মেডো।
১০৩. কোন কোন স্থানে মেহেরগড় সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- মেহেরগড়, তরকাই কেল্লা, শেরিখান তরকাই, কাচ্চিবেগ, মুল্ডিগাক, পেরিয়ানো ঘুনডাই, রাণা ঘুনডাই, কিলেগুল মহম্মদ, নৌসেরা, আমরিনাল, নন্দুরা, কুল্লি, কোটদিজি, গাজিশাহী, থারো ইত্যাদি।
১০৪. মেহেরগড় সভ্যতার লোকেরা কোন কোন হাতিয়ার ব্যবহার করত?
উঃ- পাথরের তৈরি কাস্তে, মৃৎপাত্র, শিলনোড়া, যাঁতা, হামানদিস্তা, নিড়ানি ইত্যাদি।
১০৫. মেহেরগড় সভ্যতায় আবিষ্কৃত প্রাচীনতম কৃষি যন্ত্রটির নাম কি?
উঃ- বিটুমেন পাথরের তৈরি কাস্তে।
১০৬. মেহেরগড় সভ্যতার লোকেদের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ- কৃষিকাজ ও পশুপালন।
১০৭. মেহেরগড় সভ্যতার লোকেরা গৃহ নির্মাণের জন্য কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করত?
উঃ- রোদে পড়ানো সমান মাপের ইঁট, মাটি ও পাথর।
১০৮. C-14 পদ্ধতি কে আবিষ্কার করেন?
উঃ- উইলার্ড লিবি।
১০৯. মেহেরগড় সভ্যতায় কোন কৃষিজ ফসল চাষের প্রাচীনতম নিদর্শন আছে?
উঃ- কার্পাস।
১১০. মেহেরগড় সভ্যতার লোকেরা কোন কোন পশুকে পোষ মানিয়েছিল?
উঃ- ছাগল, কুঁজওয়ালা ষাঁড়, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি।
১১১. প্রাচীন কোন সভ্যতায় স্বস্তিকা চিহ্নের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- মেহেরগড় সভ্যতা।
১১২. মেহেরগড় সভ্যতার পতন কবে ঘটেছিল?
উঃ- আনুমানিক ২৫০০ খ্রীঃপূঃ।
১১৩. ভারতের প্রাচীনতম নগরকেন্দ্রিক সভ্যতার নাম কি?
উঃ- হরপ্পা সভ্যতা/সিন্ধু সভ্যতা।
১১৪. হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ সর্বপ্রথম কে পর্যবেক্ষণ করেন?
উঃ- চার্লস ম্যাসন।
১১৫. হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতা কে আবিষ্কার করেন?
উঃ- রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দয়ারাম সাহানি।
১১৬. হরপ্পা কে কবে আবিষ্কার করেন?
উঃ- দয়ারাম সাহানি, ১৯২১ খ্রীঃ।
১১৭. হরপ্পা শব্দের অর্থ কি?
উঃ- পশুপতির খাদ্য।
১১৮. হরপ্পা কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উঃ- পাঞ্জাবের রাভী বা ইরাবতী নদীর তীরে।
১১৯. সিন্ধু সভ্যতার কেন্দ্র হরপ্পা বর্তমানে কোথায় অবস্থিত?
উঃ- পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মন্টগোমারি জেলায়।
১২০. মহেঞ্জোদারো কে কবে আবিষ্কার করেন?
উঃ- রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৯২২ খ্রীঃ।
১২১. মহেঞ্জোদারো শব্দের অর্থ কি?
উঃ- মৃতের স্তূপ।
১২২. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র মহেঞ্জোদারো কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উঃ- সিন্ধু নদের তীরে।
১২৩. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র মহেঞ্জোদারো বর্তমানে কোথায় অবস্থিত?
উঃ- পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায়।
১২৪. সিন্ধু সভ্যতার কেন্দ্র কালিবঙ্গান কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উঃ- ঘর্ঘরা নদী।
১২৫. কালিবঙ্গান শব্দের অর্থ কি?
উঃ- কৃষ্ণ কঙ্কন।
১২৬. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র রুপার কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উঃ- পাঞ্জাবের শতদ্রু নদীর তীরে।
১২৭. হরপ্পা সভ্যতার বন্দর নগরীর নাম কি?
উঃ- লোথাল।
১২৮. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র লোথাল কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উঃ- গুজরাটের ভোগাবর নদীর তীরে।
১২৯. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র সুতকাজেনদার কোথায় অবস্থিত?
উঃ- বালুচিস্তান।
১৩০. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র চানহুদারো কোথায় অবস্থিত?
উঃ- পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে।
১৩১. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র রাখিগাড়ি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- পূর্ব পাঞ্জাব।
১৩২. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র দাবরকোট কোথায় অবস্থিত?
উঃ- বালুচিস্তান।
১৩৩. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র কোটদিজি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- সিন্ধুপ্রদেশে।
১৩৪. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র বানওয়ালি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- হরিয়ানা।
১৩৫. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র রোজদি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাট।
১৩৬. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র রংপুর কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাট।
১৩৭. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র রংপুর কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাট।
১৩৮. হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র আলমগীরপুর কোথায় অবস্থিত?
উঃ- উত্তরপ্রদেশ।
১৩৯. হরপ্পা সভ্যতার কোথায় বৃহৎ স্নানাগারের সন্ধান আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- মহেঞ্জোদারো।
১৪০. কোন সময় হরপ্পা সভ্যতার বিকাশ লাভ করেছিল?
উঃ- আনুমানিক ২৫০০ খ্রীঃ পূর্বাব্দে থেকে ১৭৫০ খ্রীঃপূর্বাব্দ।
১৪১. হরপ্পা সভ্যতার আয়তন কত ছিল?
উঃ- প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার।
১৪২. হরপ্পা সভ্যতার সমসাময়িক কয়েকটি সভ্যতার নাম লেখ।
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা, মিশরীয় সভ্যতা, মেসোপটেমীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, আসিরীয় সভ্যতা ও আক্কাদীয় সভ্যতা।
১৪৩. হরপ্পা সভ্যতার উত্তরতম কেন্দ্রের নাম কি?
উঃ- জম্মু ও কাশ্মীরের মান্ডা।
১৪৪. হরপ্পা সভ্যতা দক্ষিণ দিকে কোন স্থান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল?
উঃ- ডিমাবাদ।
১৪৫. হরপ্পা সভ্যতার দক্ষিণতম কেন্দ্র ডিমাবাদ কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উঃ- গোদাবরী।
১৪৬. হরপ্পা সভ্যতা পূর্ব দিকে কোন স্থান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল?
উঃ- আলমগীরপুর।
১৪৭. হরপ্পা সভ্যতা পশ্চিম দিকে কোন স্থান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল?
উঃ- সুতকাজেনডার।
১৪৮. সিনানথ্রোপাস বা পিকিং মানবের জীবাশ্ম কে কবে আবিষ্কার করেন?
উঃ- পেই ওয়েন চুং, ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে। (চাউখাউ তিয়েন অঞ্চল থেকে)।
১৪৯. হরপ্পা সভ্যতা কোন যুগের সভ্যতা?
উঃ- প্রাগৈতিহাসিক যুগের ও তাম্র প্রস্তর যুগের সভ্যতা।
১৫০. হরপ্পা সভ্যতার প্রধান বৈশিষ্ট্য কি ছিল?
উঃ- নগর পরিকল্পনা।
১৫১. হরপ্পা সভ্যতার কোথায় বৃহৎ স্নানাগারের সন্ধান পাওয়া গেছে?
উঃ- মহেঞ্জোদারো।
১৫২. হরপ্পা সভ্যতার কোথায় বৃহত্তম শস্যাগারের সন্ধান পাওয়া গেছে?
উঃ- মহেঞ্জোদারো।
১৫৩. হরপ্পায় প্রাপ্ত বিশাল শস্যাগারটিকে কে বর্তমানকালের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উঃ- ঐতিহাসিক এ.এল.ব্যাসাম।
১৫৪. কোন ঐতিহাসিক হরপ্পা সভ্যতায় পুরোহিত রাজার শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল বলে মনে করেন?
উঃ- ঐতিহাসিক মার্টিমার হুইলার।
১৫৫. সিন্ধু সভ্যতার কোথায় পুরোহিত রাজার মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- মহেঞ্জোদারো।
১৫৬. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের প্রধান খাদ্যশস্য কি ছিল?
উঃ- গম ও যব।
১৫৭. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন কোন পশুকে পোষ মানিয়েছিল?
উঃ- গরু, ভেড়া, ছাগল, মহিষ, উট, শূকর ইত্যাদি।
১৫৮. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন পশুর ব্যবহার জানতো না?
উঃ- ঘোড়া।
১৫৯. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন ধাতুর ব্যবহার জানতো না?
উঃ- লোহা।
১৬০. হরপ্পা সভ্যতায় প্রচলিত লিপির নাম কি?
উঃ- সিন্ধু লিপি।
১৬১. সিন্ধু লিপির কতগুলি অক্ষর আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- ২৭০টি।
১৬২. হরপ্পা সভ্যতার কোথায় ধান চাষের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- লোথাল ও রংপুর।
১৬৩. হরপ্পা সভ্যতার কোথায় লাঙ্গল ব্যবহারের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- কালিবঙ্গান।
১৬৪. হরপ্পা সভ্যতার বণিকদের কি বলা হত?
উঃ- পণি।
১৬৫. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন কোন দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চালাত?
উঃ- মেসোপটেমিয়া, সুমের, ব্যাবিলন, পারস্য, মিশর, বালুচিস্তান, আফগানিস্থান।
১৬৬. হরপ্পা সভ্যতায় ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবে কি ব্যবহার করা হতো?
উঃ- সিলমোহর।
১৬৭. হরপ্পা সভ্যতার সিলমোহরগুলি নির্মাণে কোন উপাদান ব্যবহার করা হতো?
উঃ- স্টিটাইট।
১৬৮. ভারতের বাইরে কোথায় হরপ্পা সভ্যতার সিলমোহর আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- মেসোপটেমিয়া ও সুসা।
১৬৯. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন স্থান থেকে লাপিস লাজুলি আমদানি করতো?
উঃ- আফগানিস্তান।
১৭০. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন স্থান থেকে সোনা আমদানি করতো?
উঃ- মহীশূর।
১৭১. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন স্থান থেকে তামা, সিসা ও চুনাপাথর আমদানি করতো?
উঃ- রাজস্থানের ক্ষেত্রী।
১৭২. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন স্থান থেকে রুপো আমদানি করতো?
উঃ- পারস্য ও সুমের।
১৭৩. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন স্থান থেকে জেড পাথর আমদানি করতো?
উঃ- মধ্য এশিয়া।
১৭৪. ভারতের বাইরে কোথায় সিন্ধু সভ্যতার সীলমোহর যুক্ত কাপড়ের গাঁট আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- মেসোপটেমিয়ার উম্মায়।
১৭৫. হরপ্পা সভ্যতার লোকেরা কোন দেবতার পূজা করতো?
উঃ- পশুপতি।
১৭৬. কবে মিশরীয় সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল বলে মনে করা হয়?
উঃ- আনুমানিক ৪০০০ খ্রীঃপূঃ।
১৭৭. কোন নদীর তীরে মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল?
উঃ- নীলনদ।
১৭৮. কে মিশরকে নীলনদের দান বলে অভিহিত করেছেন?
উঃ- গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস।
১৭৯. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেরা কোন কোন পশু পালন করত?
উঃ- ছাগল, গরু, ভেড়া, শূকর, গাধা প্রভৃতি।
১৮০. প্রাচীন মিশরের নগররাষ্ট্র কে কি বলা হত?
উঃ- লোম।
১৮১. প্রাচীন মিশরের শাসকদের কি বলা হত?
উঃ- ফ্যারাও।
১৮২. ফ্যারাও শব্দের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে?
উঃ- মিশরীয় শব্দ 'পেরো' থেকে ফ্যারাও শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, যার অর্থ হলো বড়ো বাড়ি বা রাজপ্রাসাদ।
১৮৩. প্রাচীন মিশরের প্রথম ফ্যারাও কে ছিলেন?
উঃ- মেনিস।
১৮৪. প্রাচীন মিশরের প্রথম ফ্যারাও মেনিসের রাজধানীর নাম কি ছিল?
উঃ- মেনসিফ।
১৮৫. প্রাচীন মিশরের কয়েকজন ফ্যারাও এর নাম লেখ?
উঃ- জোসার, খুফু, টুটেনখামেন, দ্বিতীয় রামেসিস প্রমুখ।
১৮৬. মিশরীয় সমাজ ব্যবস্থা কেমন ছিল?
উঃ- মাতৃতান্ত্রিক।
১৮৭. পৃথিবীর প্রথম মহিলা শাসক কে ছিলেন?
উঃ- মিশরের হাটাসু।
১৮৮. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেদের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ- কৃষিকাজ।
১৮৯. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেরা কোন কোন ফসল চাষ করত?
উঃ- গম, যব, ভুট্টা, জোয়ার, তিসি, শাকসব্জি, শণ ইত্যাদি।
১৯০. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় কোন কোন শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল?
উঃ- বস্ত্র শিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, অলঙ্কার শিল্প ইত্যাদি।
১৯১. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেরা কোন কোন অঞ্চলের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য চালাত?
উঃ- মেসোপটেমিয়া, সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, ক্রীট, আরব, সিন্ধু প্রভৃতি।
১৯২. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেরা বিদেশ থেকে কোন কোন দ্রব্য আমদানি করতো?
উঃ- সোনা, তামা,কাঠ, হাতির দাঁত, মসলা, সুগন্ধি তেল, বিভিন্ন বিলাস সামগ্রী ইত্যাদি।
১৯৩. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় কোন কোন দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করা হতো?
উঃ- বস্ত্র, মৃৎশিল্পজাত দ্রব্য, কাচের সামগ্রী, চামড়ার সামগ্রী, খাদ্যশস্য ইত্যাদি।
১৯৪. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ব্যবহৃত লিপির নাম কি?
উঃ- হায়ারোগ্লিফিক লিপি।
১৯৫. হায়ারোগ্লিফিক শব্দের অর্থ কি?
উঃ- গ্রিক ভাষায় হায়ারোগ্লিফিকের অর্থ পবিত্র লিপি এবং মিশরীয় ভাষায় হায়ারোগ্লিফিকের অর্থ দেবলিপি।
১৯৬. কে এবং কবে সর্বপ্রথম হায়ারোগ্লিফিক লিপির পাঠোদ্ধার করেন?
উঃ- ফরাসি পন্ডিত শাঁ পোলিয়েঁ, ১৯২০ খ্রীঃ।
১৯৭. কোন ফ্যারাও এর রাজত্বকাল থেকে মিশরের চিত্রশিল্পের উৎকর্ষতা লক্ষ্য করা যায়?
উঃ- মিশরের প্রথম ফ্যারাও মেনিসের রাজত্বকাল থেকে।
১৯৮. মিশরের স্থাপত্য শিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কি?
উঃ- পিরামিড।
১৯৯. মিশরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শনের নাম লেখ।
উঃ- আবু সিম্বেলের মন্দির ও স্ফিংস এর মূর্তি।
২০০. পৃথিবীর বৃহত্তম মূর্তির নাম কি?
উঃ- স্ফিংস এর মূর্তি।
২০১. প্রাচীন কোন সভ্যতায় পাটিগনিত ও জ্যামিতির উদ্ভব ঘটেছিল বলে মনে করা হয়?
উঃ- মিশরীয় সভ্যতায়।
২০২. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় কারা বর্ষপঞ্জি তৈরি করত?
উঃ- পুরোহিতরা।
২০৩. পৃথিবীর প্রথম সৌর পঞ্জিকা কোথায় আবিষ্কৃত হয়?
উঃ- মিশরে।
২০৪. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় প্রধান দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- সূর্যের দেবতা "রা"।
২০৫. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় প্রধান যুদ্ধের দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- সূর্যের দেবতা "রা"।
২০৬. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় বাস্তু দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- আমন।
২০৭. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় উর্বরতার দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- আসিরিস।
২০৮. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় আকাশের দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- হোরাস।
২০৯. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় পাপপূণ্য বিচারের দেবী কে ছিলেন?
উঃ- আইসিস।
২১০. প্রাচীন মিশরে ওষুধ মাখানো ও কাপড় জড়ানো সংরক্ষিত মৃতদেহকে কি বলা হয়?
উঃ- মমি।
২১১. কোন দেশকে পিরামিডের দেশ বলা হয়?
উঃ- মিশর।
২১২. মিশরের ফ্যারাও পরিবার বা রাজ পরিবারের সদস্যদের সমাধিস্থলকে কি বলা হত?
উঃ- নেক্রোপলিস বা মৃত্যুপুরী।
২১৩. কোন নগরীতে মিশরের ফ্যারাও পরিবারের সদস্যদের সমাধিস্থল গড়ে উঠেছিল?
উঃ- থিবস নগরী।
২১৪. মিশরের রাজাদের সমাধিস্থল কে কি বলা হয়?
উঃ- ভ্যালি অফ কিংস।
২১৫. মিশরের রানীদের সমাধিস্থল কে কি বলা হয়?
উঃ- ভ্যালি অফ কুইন্স।
২১৬. ভ্যালি অফ কিংসে মোট কতগুলি সমাধি আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- 62টি।
২১৭. পিরামিড শব্দের অর্থ কি?
উঃ- গ্রিক শব্দ 'পিরামিড' এর অর্থ হল 'সুউচ্চ'।
২১৮. মিশরে কে প্রথম পিরামিড তৈরীর কৌশল আবিষ্কার করেন?
উঃ- ইমহোটেপ নামে বিখ্যাত স্থপতি।
২১৯. কোন ফ্যারাও এর রাজত্বকালে মিশরে সর্বপ্রথম পিরামিড নির্মিত হয়েছিল?
উঃ- জোস এর রাজত্বকালে।
২২০. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ- মেমফিস এ।
২২১. মিশরের প্রথম পিরামিডটি কোথায় নির্মিত হয়েছিল?
উঃ- মেমফিস এ।
২২২. মিশরের অধিকাংশ পিরামিড কোন সময় নির্মিত হয়েছিল?
উঃ- আনুমানিক ২৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মধ্যে।
২২৩. মিশরের কয়েকটি পিরামিডের নাম লেখ।
উঃ- মেনেসের পিরামিড, খুফুর পিরামিড, তুতেনখামেনের পিরামিড, দ্বিতীয় রামেসিসের পিরামিড, নেফরার পিরামিড, মেনকাউরার পিরামিড, তৃতীয় থুটমোসের পিরামিড ইত্যাদি।
২২৪. মিশরের বৃহত্তম পিরামিডের নাম কি?
উঃ- খুফুর পিরামিড।
২২৫. খুফুর পিরামিড কবে এবং কোথায় নির্মিত হয়?
উঃ- আনুমানিক ২৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, কায়রোতে।
২২৬. খুফুর পিরামিডের উচ্চতা ও পরিধি কত?
উঃ- উচ্চতা ৪৫০ ফুট এবং পরিধি ৭০০ ফুট।
২২৭. খুফুর পিরামিড তৈরি হতে কত বছর সময় লেগেছিল?
উঃ- প্রায় কুড়ি বছর।
২২৮. মিশরের শেষ শক্তিশালী ফ্যারাও কে ছিলেন?
উঃ- তৃতীয় রামেসিস।
২২৯. গ্রীক বীর আলেকজান্ডার কবে মিশর জয় করেছিলেন?
উঃ- ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।
২৩০. মেসোপটেমিয়া শব্দের অর্থ কি?
উঃ- গ্রীক ভাষায় মেসোপটেমিয়া শব্দের অর্থ হলো 'দুই নদীর মধ্যবর্তী দেশ'।
২৩১. বর্তমান কালের কোন দেশ প্রাচীনকালে মেসোপটেমিয়া নামে পরিচিত ছিল?
উঃ- ইরাক।
২৩২. কোন কোন নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে মেসোপটেমিয়া সভ্যতা গড়ে উঠেছিল?
উঃ- টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস।
২৩৩. মেসোপটেমিয়া সভ্যতার উত্তরাংশের নাম কি?
উঃ- আসিরিয়া।
২৩৪. মেসোপটেমিয়া সভ্যতার দক্ষিণাংশের নাম কি?
উঃ- ব্যাবিলনিয়া।
২৩৫. ব্যাবিলনিয়ার উত্তরাংশের উচ্চ অংশের নাম কি?
উঃ- আক্কাদ।
২৩৬. ব্যাবিলনিয়ার উত্তরাংশের নিম্ন অংশের নাম কি?
উঃ- সুমের।
২৩৭. মেসোপটেমিয়া সভ্যতাকে আর কি নামে অভিহিত করা হয়?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৩৮. কোন সময় মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল?
উঃ- আনুমানিক ৪০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে।
২৩৯. মেসোপটেমীয় সভ্যতায় কী ধরনের শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল?
উঃ- যুদ্ধবাদী রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা।
২৪০. মেসোপটেমীয় সভ্যতা বা সুমেরীয় সভ্যতার অধিবাসীদের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ- কৃষিকাজ।
২৪১. মেসোপটেমীয় সভ্যতার অধিবাসীদের প্রধান উৎপাদিত ফসল কী ছিলো?
উঃ- গম ও যব।
২৪২. মেসোপটেমীয় সভ্যতার লোকেরা কোন গাছকে 'জীবন বৃক্ষ' বলতো?
উঃ- খেজুর গাছ।
২৪৩. মেসোপটেমিয়া সভ্যতার অধিবাসীরা কোন কোন পশুপালন করত?
উঃ- গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি।
২৪৪. মেসোপটেমিয়া সভ্যতার কয়েকটি অন্তর্দেশীয় বাণিজ্য কেন্দ্রের নাম লেখ।
উঃ- ঊর, ঊরক, কিশ, লাগাস, আক্কাদ, ব্যাবিলন, এরিডু ইত্যাদি।
২৪৫. কোন কোন অঞ্চলের সঙ্গে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বৈদেশিক বাণিজ্য চলত?
উঃ- সিন্ধু, মিশর, পারস্য, আফগানিস্তান, আনাতোলিয়া, সিরিয়া ইত্যাদি।
২৪৫. মেসোপটেমীয় সভ্যতার অধিবাসীরা কোন কোন দ্রব্য বিদেশে রপ্তানী করতেন?
উঃ- গম, যব, ফল, পশম বস্ত্র, কার্পেট, অলংকার ইত্যাদি।
২৪৬. মেসোপটেমীয় সভ্যতার অধিবাসীরা কোন কোন দ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি করতেন?
উঃ- সোনা, রুপো, কাঠ, দামি পাথর ইত্যাদি।
২৪৭. সুমেরীয় সভ্যতা বা মেসোপটেমিয়া সভ্যতার লোকেরা ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য কোন উপকরণ ব্যবহার করত?
উঃ- পোড়া ইট বা রোদে শুকানো ইট।
২৪৮. সুমেরীয় সভ্যতা বা মেসোপটেমীয় সভ্যতায় নগর দেবতার মন্দিরগুলিকে কি বলা হয়?
উঃ- জিগুরাট।
২৪৯. জিগুরাট শব্দের অর্থ কি?
উঃ- স্বর্গের পাহাড়।
২৫০. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত সমুদ্রের ও মাতৃদেবীর নাম কি?
উঃ- নাম্মা।
২৫১. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত আকাশের দেবতার নাম কি?
উঃ- আন বা আনু।
২৫২. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত পৃথিবী দেবীর নাম কি?
উঃ- "কি"।
২৫৩. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত জলের দেবতার নাম কি?
উঃ- এনকি।
২৫৪. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত বাতাসের দেবতার নাম কি?
উঃ- এনলিস।
২৫৫. কোন সভ্যতার লোকেরা সর্বপ্রথম লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতার লোকেরা।
২৫৬. লিখন পদ্ধতি প্রচলনের ভিত্তিতে পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার নাম কি?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৫৭. সুমেরীয় সভ্যতা কি ধরনের লিপি প্রচলিত ছিল?
উঃ- চিত্রলিপি ও কিউনিফর্ম লিপি।
২৫৮. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত কিউনিফর্ম লিপির পাঠোদ্ধার কে করেন?
উঃ- স্যার হেনরি ক্রেসউইক রোলিনসন (১৮২৭খ্রীঃ)।
২৫৯. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত মহাকাব্যের নাম কি?
উঃ- গিলগামেশ।
২৬০. গিলগামেশ মহাকাব্যের বিষয়বস্তু কি?
উঃ- সুমেরীয় রাজা গিলগামেশের বীরত্ব, আন্তরিকতা ও ব্যর্থতার কাহিনী।
২৬১. কোন সভ্যতার লোকেরা সর্বপ্রথম চাকা ব্যবহার করে গাড়ি ও রথের প্রচলন করেছিলেন?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৬২. কোন সভ্যতার লোকেরা বর্গমূল ও ঘনমূল এর গাণিতিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৬৩. কোন সভ্যতার লোকেরা চাঁদের আবর্তনের ভিত্তিতে চান্দ্রমাসের প্রচলন করেছিলেন?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৬৪. সুমেরীয় সমাজে ভূস্বামীদের কি বলা হত?
উঃ- লুগাস।
২৬৫. কবে এবং কাদের আক্রমণে সুমেরীয় সভ্যতার পতনের সূচনা হয়?
উঃ- আনুমানিক ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়ে এলামীয় সম্প্রদায়ের মানুষের আক্রমণে।
২৬৬. কোন ফ্যারাও এর সমাধির ওপর মিশরের প্রথম পিরামিড নির্মিত হয়েছিল?
উঃ- ফ্যারাও জোস।
১৭২. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন স্থান থেকে রুপো আমদানি করতো?
উঃ- পারস্য ও সুমের।
১৭৩. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন স্থান থেকে জেড পাথর আমদানি করতো?
উঃ- মধ্য এশিয়া।
১৭৪. ভারতের বাইরে কোথায় সিন্ধু সভ্যতার সীলমোহর যুক্ত কাপড়ের গাঁট আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- মেসোপটেমিয়ার উম্মায়।
১৭৫. হরপ্পা সভ্যতার লোকেরা কোন দেবতার পূজা করতো?
উঃ- পশুপতি।
১৭৬. কবে মিশরীয় সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল বলে মনে করা হয়?
উঃ- আনুমানিক ৪০০০ খ্রীঃপূঃ।
১৭৭. কোন নদীর তীরে মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল?
উঃ- নীলনদ।
১৭৮. কে মিশরকে নীলনদের দান বলে অভিহিত করেছেন?
উঃ- গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস।
১৭৯. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেরা কোন কোন পশু পালন করত?
উঃ- ছাগল, গরু, ভেড়া, শূকর, গাধা প্রভৃতি।
১৮০. প্রাচীন মিশরের নগররাষ্ট্র কে কি বলা হত?
উঃ- লোম।
১৮১. প্রাচীন মিশরের শাসকদের কি বলা হত?
উঃ- ফ্যারাও।
১৮২. ফ্যারাও শব্দের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে?
উঃ- মিশরীয় শব্দ 'পেরো' থেকে ফ্যারাও শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, যার অর্থ হলো বড়ো বাড়ি বা রাজপ্রাসাদ।
১৮৩. প্রাচীন মিশরের প্রথম ফ্যারাও কে ছিলেন?
উঃ- মেনিস।
১৮৪. প্রাচীন মিশরের প্রথম ফ্যারাও মেনিসের রাজধানীর নাম কি ছিল?
উঃ- মেনসিফ।
১৮৫. প্রাচীন মিশরের কয়েকজন ফ্যারাও এর নাম লেখ?
উঃ- জোসার, খুফু, টুটেনখামেন, দ্বিতীয় রামেসিস প্রমুখ।
১৮৬. মিশরীয় সমাজ ব্যবস্থা কেমন ছিল?
উঃ- মাতৃতান্ত্রিক।
১৮৭. পৃথিবীর প্রথম মহিলা শাসক কে ছিলেন?
উঃ- মিশরের হাটাসু।
১৮৮. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেদের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ- কৃষিকাজ।
১৮৯. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেরা কোন কোন ফসল চাষ করত?
উঃ- গম, যব, ভুট্টা, জোয়ার, তিসি, শাকসব্জি, শণ ইত্যাদি।
১৯০. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় কোন কোন শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল?
উঃ- বস্ত্র শিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, অলঙ্কার শিল্প ইত্যাদি।
১৯১. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেরা কোন কোন অঞ্চলের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য চালাত?
উঃ- মেসোপটেমিয়া, সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, ক্রীট, আরব, সিন্ধু প্রভৃতি।
১৯২. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার লোকেরা বিদেশ থেকে কোন কোন দ্রব্য আমদানি করতো?
উঃ- সোনা, তামা,কাঠ, হাতির দাঁত, মসলা, সুগন্ধি তেল, বিভিন্ন বিলাস সামগ্রী ইত্যাদি।
১৯৩. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় কোন কোন দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করা হতো?
উঃ- বস্ত্র, মৃৎশিল্পজাত দ্রব্য, কাচের সামগ্রী, চামড়ার সামগ্রী, খাদ্যশস্য ইত্যাদি।
১৯৪. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ব্যবহৃত লিপির নাম কি?
উঃ- হায়ারোগ্লিফিক লিপি।
১৯৫. হায়ারোগ্লিফিক শব্দের অর্থ কি?
উঃ- গ্রিক ভাষায় হায়ারোগ্লিফিকের অর্থ পবিত্র লিপি এবং মিশরীয় ভাষায় হায়ারোগ্লিফিকের অর্থ দেবলিপি।
১৯৬. কে এবং কবে সর্বপ্রথম হায়ারোগ্লিফিক লিপির পাঠোদ্ধার করেন?
উঃ- ফরাসি পন্ডিত শাঁ পোলিয়েঁ, ১৯২০ খ্রীঃ।
১৯৭. কোন ফ্যারাও এর রাজত্বকাল থেকে মিশরের চিত্রশিল্পের উৎকর্ষতা লক্ষ্য করা যায়?
উঃ- মিশরের প্রথম ফ্যারাও মেনিসের রাজত্বকাল থেকে।
১৯৮. মিশরের স্থাপত্য শিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কি?
উঃ- পিরামিড।
১৯৯. মিশরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শনের নাম লেখ।
উঃ- আবু সিম্বেলের মন্দির ও স্ফিংস এর মূর্তি।
২০০. পৃথিবীর বৃহত্তম মূর্তির নাম কি?
উঃ- স্ফিংস এর মূর্তি।
২০১. প্রাচীন কোন সভ্যতায় পাটিগনিত ও জ্যামিতির উদ্ভব ঘটেছিল বলে মনে করা হয়?
উঃ- মিশরীয় সভ্যতায়।
২০২. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় কারা বর্ষপঞ্জি তৈরি করত?
উঃ- পুরোহিতরা।
২০৩. পৃথিবীর প্রথম সৌর পঞ্জিকা কোথায় আবিষ্কৃত হয়?
উঃ- মিশরে।
২০৪. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় প্রধান দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- সূর্যের দেবতা "রা"।
২০৫. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় প্রধান যুদ্ধের দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- সূর্যের দেবতা "রা"।
২০৬. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় বাস্তু দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- আমন।
২০৭. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় উর্বরতার দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- আসিরিস।
২০৮. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় আকাশের দেবতা কে ছিলেন?
উঃ- হোরাস।
২০৯. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় পাপপূণ্য বিচারের দেবী কে ছিলেন?
উঃ- আইসিস।
২১০. প্রাচীন মিশরে ওষুধ মাখানো ও কাপড় জড়ানো সংরক্ষিত মৃতদেহকে কি বলা হয়?
উঃ- মমি।
২১১. কোন দেশকে পিরামিডের দেশ বলা হয়?
উঃ- মিশর।
২১২. মিশরের ফ্যারাও পরিবার বা রাজ পরিবারের সদস্যদের সমাধিস্থলকে কি বলা হত?
উঃ- নেক্রোপলিস বা মৃত্যুপুরী।
২১৩. কোন নগরীতে মিশরের ফ্যারাও পরিবারের সদস্যদের সমাধিস্থল গড়ে উঠেছিল?
উঃ- থিবস নগরী।
২১৪. মিশরের রাজাদের সমাধিস্থল কে কি বলা হয়?
উঃ- ভ্যালি অফ কিংস।
২১৫. মিশরের রানীদের সমাধিস্থল কে কি বলা হয়?
উঃ- ভ্যালি অফ কুইন্স।
২১৬. ভ্যালি অফ কিংসে মোট কতগুলি সমাধি আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- 62টি।
২১৭. পিরামিড শব্দের অর্থ কি?
উঃ- গ্রিক শব্দ 'পিরামিড' এর অর্থ হল 'সুউচ্চ'।
২১৮. মিশরে কে প্রথম পিরামিড তৈরীর কৌশল আবিষ্কার করেন?
উঃ- ইমহোটেপ নামে বিখ্যাত স্থপতি।
২১৯. কোন ফ্যারাও এর রাজত্বকালে মিশরে সর্বপ্রথম পিরামিড নির্মিত হয়েছিল?
উঃ- জোস এর রাজত্বকালে।
২২০. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ- মেমফিস এ।
২২১. মিশরের প্রথম পিরামিডটি কোথায় নির্মিত হয়েছিল?
উঃ- মেমফিস এ।
২২২. মিশরের অধিকাংশ পিরামিড কোন সময় নির্মিত হয়েছিল?
উঃ- আনুমানিক ২৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মধ্যে।
২২৩. মিশরের কয়েকটি পিরামিডের নাম লেখ।
উঃ- মেনেসের পিরামিড, খুফুর পিরামিড, তুতেনখামেনের পিরামিড, দ্বিতীয় রামেসিসের পিরামিড, নেফরার পিরামিড, মেনকাউরার পিরামিড, তৃতীয় থুটমোসের পিরামিড ইত্যাদি।
২২৪. মিশরের বৃহত্তম পিরামিডের নাম কি?
উঃ- খুফুর পিরামিড।
২২৫. খুফুর পিরামিড কবে এবং কোথায় নির্মিত হয়?
উঃ- আনুমানিক ২৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, কায়রোতে।
২২৬. খুফুর পিরামিডের উচ্চতা ও পরিধি কত?
উঃ- উচ্চতা ৪৫০ ফুট এবং পরিধি ৭০০ ফুট।
২২৭. খুফুর পিরামিড তৈরি হতে কত বছর সময় লেগেছিল?
উঃ- প্রায় কুড়ি বছর।
২২৮. মিশরের শেষ শক্তিশালী ফ্যারাও কে ছিলেন?
উঃ- তৃতীয় রামেসিস।
২২৯. গ্রীক বীর আলেকজান্ডার কবে মিশর জয় করেছিলেন?
উঃ- ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।
২৩০. মেসোপটেমিয়া শব্দের অর্থ কি?
উঃ- গ্রীক ভাষায় মেসোপটেমিয়া শব্দের অর্থ হলো 'দুই নদীর মধ্যবর্তী দেশ'।
২৩১. বর্তমান কালের কোন দেশ প্রাচীনকালে মেসোপটেমিয়া নামে পরিচিত ছিল?
উঃ- ইরাক।
২৩২. কোন কোন নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে মেসোপটেমিয়া সভ্যতা গড়ে উঠেছিল?
উঃ- টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস।
২৩৩. মেসোপটেমিয়া সভ্যতার উত্তরাংশের নাম কি?
উঃ- আসিরিয়া।
২৩৪. মেসোপটেমিয়া সভ্যতার দক্ষিণাংশের নাম কি?
উঃ- ব্যাবিলনিয়া।
২৩৫. ব্যাবিলনিয়ার উত্তরাংশের উচ্চ অংশের নাম কি?
উঃ- আক্কাদ।
২৩৬. ব্যাবিলনিয়ার উত্তরাংশের নিম্ন অংশের নাম কি?
উঃ- সুমের।
২৩৭. মেসোপটেমিয়া সভ্যতাকে আর কি নামে অভিহিত করা হয়?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৩৮. কোন সময় মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল?
উঃ- আনুমানিক ৪০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে।
২৩৯. মেসোপটেমীয় সভ্যতায় কী ধরনের শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল?
উঃ- যুদ্ধবাদী রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা।
২৪০. মেসোপটেমীয় সভ্যতা বা সুমেরীয় সভ্যতার অধিবাসীদের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ- কৃষিকাজ।
২৪১. মেসোপটেমীয় সভ্যতার অধিবাসীদের প্রধান উৎপাদিত ফসল কী ছিলো?
উঃ- গম ও যব।
২৪২. মেসোপটেমীয় সভ্যতার লোকেরা কোন গাছকে 'জীবন বৃক্ষ' বলতো?
উঃ- খেজুর গাছ।
২৪৩. মেসোপটেমিয়া সভ্যতার অধিবাসীরা কোন কোন পশুপালন করত?
উঃ- গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি।
২৪৪. মেসোপটেমিয়া সভ্যতার কয়েকটি অন্তর্দেশীয় বাণিজ্য কেন্দ্রের নাম লেখ।
উঃ- ঊর, ঊরক, কিশ, লাগাস, আক্কাদ, ব্যাবিলন, এরিডু ইত্যাদি।
২৪৫. কোন কোন অঞ্চলের সঙ্গে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বৈদেশিক বাণিজ্য চলত?
উঃ- সিন্ধু, মিশর, পারস্য, আফগানিস্তান, আনাতোলিয়া, সিরিয়া ইত্যাদি।
২৪৫. মেসোপটেমীয় সভ্যতার অধিবাসীরা কোন কোন দ্রব্য বিদেশে রপ্তানী করতেন?
উঃ- গম, যব, ফল, পশম বস্ত্র, কার্পেট, অলংকার ইত্যাদি।
২৪৬. মেসোপটেমীয় সভ্যতার অধিবাসীরা কোন কোন দ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি করতেন?
উঃ- সোনা, রুপো, কাঠ, দামি পাথর ইত্যাদি।
২৪৭. সুমেরীয় সভ্যতা বা মেসোপটেমিয়া সভ্যতার লোকেরা ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য কোন উপকরণ ব্যবহার করত?
উঃ- পোড়া ইট বা রোদে শুকানো ইট।
২৪৮. সুমেরীয় সভ্যতা বা মেসোপটেমীয় সভ্যতায় নগর দেবতার মন্দিরগুলিকে কি বলা হয়?
উঃ- জিগুরাট।
২৪৯. জিগুরাট শব্দের অর্থ কি?
উঃ- স্বর্গের পাহাড়।
২৫০. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত সমুদ্রের ও মাতৃদেবীর নাম কি?
উঃ- নাম্মা।
২৫১. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত আকাশের দেবতার নাম কি?
উঃ- আন বা আনু।
২৫২. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত পৃথিবী দেবীর নাম কি?
উঃ- "কি"।
২৫৩. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত জলের দেবতার নাম কি?
উঃ- এনকি।
২৫৪. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত বাতাসের দেবতার নাম কি?
উঃ- এনলিস।
২৫৫. কোন সভ্যতার লোকেরা সর্বপ্রথম লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতার লোকেরা।
২৫৬. লিখন পদ্ধতি প্রচলনের ভিত্তিতে পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার নাম কি?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৫৭. সুমেরীয় সভ্যতা কি ধরনের লিপি প্রচলিত ছিল?
উঃ- চিত্রলিপি ও কিউনিফর্ম লিপি।
২৫৮. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত কিউনিফর্ম লিপির পাঠোদ্ধার কে করেন?
উঃ- স্যার হেনরি ক্রেসউইক রোলিনসন (১৮২৭খ্রীঃ)।
২৫৯. সুমেরীয় সভ্যতায় প্রচলিত মহাকাব্যের নাম কি?
উঃ- গিলগামেশ।
২৬০. গিলগামেশ মহাকাব্যের বিষয়বস্তু কি?
উঃ- সুমেরীয় রাজা গিলগামেশের বীরত্ব, আন্তরিকতা ও ব্যর্থতার কাহিনী।
২৬১. কোন সভ্যতার লোকেরা সর্বপ্রথম চাকা ব্যবহার করে গাড়ি ও রথের প্রচলন করেছিলেন?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৬২. কোন সভ্যতার লোকেরা বর্গমূল ও ঘনমূল এর গাণিতিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৬৩. কোন সভ্যতার লোকেরা চাঁদের আবর্তনের ভিত্তিতে চান্দ্রমাসের প্রচলন করেছিলেন?
উঃ- সুমেরীয় সভ্যতা।
২৬৪. সুমেরীয় সমাজে ভূস্বামীদের কি বলা হত?
উঃ- লুগাস।
২৬৫. কবে এবং কাদের আক্রমণে সুমেরীয় সভ্যতার পতনের সূচনা হয়?
উঃ- আনুমানিক ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়ে এলামীয় সম্প্রদায়ের মানুষের আক্রমণে।
২৬৬. কোন ফ্যারাও এর সমাধির ওপর মিশরের প্রথম পিরামিড নির্মিত হয়েছিল?
উঃ- ফ্যারাও জোস।
২৬৭. আর্কিওজোয়িক যুগের পর পৃথিবীতে কোন যুগ শুরু হয়েছিল?
উঃ- প্রোটেরোজোয়িক যুগ।
এই পোস্টের PDF নিতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
0 মন্তব্যসমূহ