ভারতের গিরিপথ সমূহ: (Passes of India).

 


১. নাথুলা পাস: ➡️  সিকিম রাজ্যে ভারত-চীন সীমান্তে অবস্থিত। ২০০৬ সালে আবার খোলা হয়েছিল । এটি প্রাচীন রেশম রুটের একটি শাখার অংশ হিসাবে গঠিত। এটি ভারত এবং চীন মধ্যে বাণিজ্য সীমান্ত পোস্টগুলির মধ্যে একটি।

২. শিপকিলা পাস: ➡️ হিমাচল প্রদেশ-তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত। এটি হিমাচল প্রদেশকে তিব্বতের সাথে সংযুক্ত করে। লিপু লেখ এবং নাথু-লা পাসের পরে চীনের সাথে বাণিজ্যের জন্য এটি ভারতের তৃতীয় সীমান্ত পোস্ট।

৩. জেলিপলা পাস: ➡️ এই পাসটি চুম্বি উপত্যকা দিয়ে যায়। এটি সিকিমকে তিব্বতের রাজধানী লাসার সাথে সংযুক্ত করে।

৪. জোজিলা পাস: ➡️ এটি শ্রীনগরকে কারগিল এবং লেহের সাথে সংযুক্ত করে। সীমানা রোড সংস্থার বেকন ফোর্স রাস্তা পরিষ্কার করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষত শীতকালে দায়বদ্ধ।

৫. পীর-পাঞ্জাল পাস: ➡️ এটি জম্মু থেকে শ্রীনগরের একটি ঐতিহ্যবাহী পাস। দেশভাগের পরে এই পাসটি বন্ধ ছিল। এটি জম্মু থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় স্বল্পতম রোডওয়ে অ্যাক্সেস সরবরাহ করে।

৬. কারা তাগ পাস: ➡️এটি কারাকোরাম পর্বতমালায় অবস্থিত। এটি ছিল প্রাচীন রেশম রুটের একটি সহায়ক সংস্থা।

৭. খারদুংলা পাস: ➡️ এটি দেশের সর্বোচ্চ চালক পাস। এটি লেহ এবং সিয়াচেন হিমবাহকে সংযুক্ত করে। শীতকালে এই পাসটি বন্ধ থাকে।

৮. থাংলা পাস: ➡️ এটি লাদাখে অবস্থিত। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গতিময় পর্বতমালা।

৯. আঘিল পাস: ➡️ এটি কারাকোরামের মাউন্ট গডউইন-অস্টেনের উত্তরে অবস্থিত। এটি লাদাখকে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের সাথে যুক্ত করেছে। এটি নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত শীতের মৌসুমে বন্ধ থাকে।

১০. চাং-লা পাস: ➡️ এটি বৃহত্তর হিমালয়ের একটি উঁচু পর্বতমালা। এটি লাদাখকে তিব্বতের সাথে সংযুক্ত করে।

১১. লানাক লা পাস: ➡️ এটি লাদাখ অঞ্চলে আকসাই চিনে অবস্থিত। এটি লাদাখ এবং লাসাকে সংযুক্ত করে। চিন কর্তৃপক্ষ তিব্বতের সাথে জিনজিয়াংয়ে যোগদানের জন্য একটি রাস্তা তৈরি করেছে।

১২. ইমিস লা পাস: ➡️ এই পাস একটি জটিল ভৌগলিক অঞ্চল এবং খাড়া ঢালু রয়েছে। শীত মৌসুমে এই পাসটি বন্ধ থাকে।

১৩. বড়-লা পাস: ➡️ এটি জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের জাতীয় রাজপথে অবস্থিত। এটি মানালি এবং লেহকে সংযুক্ত করে।

১৪. ট্রেলের পাস: ➡️ এটি উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত। এটি পিন্ডারি হিমবাহের শেষে অবস্থিত এবং পিনাদ্রি উপত্যকাকে মিলাম উপত্যকার সাথে সংযুক্ত করে। এই পাসটি খুব খাড়া এবং রাগযুক্ত।

১৫. লিপু লেখ: ➡️ এটি উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত। এটি উত্তরাখণ্ডকে তিব্বতের সাথে সংযুক্ত করে। এই পাসটি চীনের সাথে বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পোস্ট। মনসরোভারের তীর্থযাত্রীরা এই পাস দিয়ে যাতায়াত করে।

১৬. মানা পাস: ➡️ এটি বৃহত্তর হিমালয়ে অবস্থিত এবং তিব্বতকে উত্তরাখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করে। শীতকালে এটি ছয় মাস ধরে তুষারের নিচে থাকে।

১৭. মঙ্গলশা ধুরা পাস: ➡️ উত্তরাখণ্ড-তিব্বতকে সংযোগকারী পাসটি ভূমিধসের জন্য পরিচিত। মনসরোয়ারের তীর্থযাত্রীরা এই পথটি অতিক্রম করে।

১৮. মুলিং লা পাস: ➡️এই পাসটি উত্তরাখণ্ডকে তিব্বতের সাথে সংযুক্ত করে । শীতের মৌসুমে তুষারের ঢাকা থাকে।

১৯. নিতি পাস: ➡️ এই পাসটি তিব্বতের সাথে উত্তরাখণ্ডের সাথে যোগ দেয়। শীত মৌসুমে এটি তুষার ঢাকা থেকে যায়।

২০. দেবাসা পাস: ➡️ এটি স্পিতি উপত্যকা এবং পার্বতী উপত্যকার সাথে যুক্ত হয়। এটি হিমাচল প্রদেশের কুল্লু এবং স্পিতির মধ্যে একটি উঁচু পর্বতমালা পাস। এটি পিন পার্বতী পাসের একটি বাইপাস রুট।

২১. রোটাং পাস: ➡️ এটি হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত। এটিতে দুর্দান্ত রাস্তা পরিবহন রয়েছে। এই পাসটি কুল্লু, স্পিতি এবং লাহুলকে সংযুক্ত করে।

২২. বোমদি-লা পাস: ➡️ বোমদী-লা পাস তিব্বতের রাজধানী লাসার সাথে অরুণাচল প্রদেশকে যুক্ত করেছে। এটি ভুটানের পূর্বে অবস্থিত।

২৩. দিহং পাস: ➡️ এটি অরুনাচল প্রদেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে অবস্থিত। এই পাস অরুণাচল প্রদেশকে মিয়ানমারের সাথে সংযুক্ত করে (মান্দালয়)

২৪. ডিফু পাস: ➡️ ডিফু পাস মায়ানমারের জন্য সহজ এবং একটি বিকল্প পথও সরবরাহ করে। এই পাসটি পরিবহন এবং বাণিজ্যের জন্য সারা বছর খোলা থাকে।

২৫. লিখাপানি পাস: ➡️ এটি অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত। এই পাসটি পরিবহন এবং বাণিজ্যের জন্য এক বছর জুড়ে খোলা থাকে। এটি মায়ানমারের সাথে অরুণাচল প্রদেশকে যুক্ত করে।

২৬. পাঙ্গসান পাস: ➡️এটি অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত। এই পাসটি অরুণাচল প্রদেশ এবং মায়ানমারকে সংযুক্ত করে।

২৭. বনিহাল পাস (জওহর টানেল): ➡️ বনিহাল পাস জম্মু ও কাশ্মীরের একটি জনপ্রিয় পাস। এটি পীর-পাঞ্জাল রেঞ্জে অবস্থিত। এটি বনিহালকে কাজীগুন্ডের সাথে সংযুক্ত করে।

২৮. বুর্জাইল পাস: ➡️ এই পাসটি কাশ্মীরের উপত্যকার সাথে লাদাখের দেওসাই সমভূমিতে মিলিত হয়েছে।

২৯. পেনসি লা: ➡️ পেনসি লা কাশ্মীর উপত্যকাকে কারগিলের সাথে যুক্ত করেছে। এটি বৃহত্তর হিমালয়তে অবস্থিত।

৩০. শেনকোটা গ্যাপ: ➡️ এটি পশ্চিম ঘাটে অবস্থিত। এটি তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরকে কেরালার কোট্টায়াম জেলার সাথে যুক্ত করে।

টুকরো কথা:

  • ভারতের উচ্চতম গিরিপথ➖ Khardung La. (6000 মিটারের বেশি উচ্চতায় অবস্থিত)।
  • ভারতের দ্বিতীয় উচ্চতম গিরিপথ➖ Thang-La. (5359 মিটার উচ্চতায় অবস্থিত)।
  • ভারতের দীর্ঘতম ও এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টানেল/ গিরিপথ➖ Banihal Pass. (জহর টানেল, 11 কিমি একটি টানেল)।

0 মন্তব্যসমূহ