কিংবদন্তি হল অতীতের কোনাে চরিত্রের এমন সব ঘটনার বিবরণ, যা অতীতে একসময় ঘটেছিল এবং সেসব চরিত্র জীবন্ত ছিল বলে লােকসমাজ বিশ্বাসও করে থাকে।
লেজেন্ড বা কিংবদন্তি বিষয়বস্তু:কিংবদন্তির বিষয়বস্তু হল এখানে অতীতের কোনাে চরিত্রকে অতিমানবরূপে তুলে ধরা হয়। এখানে বাস্তব অপেক্ষা কল্পনার আধিক্য বেশি থাকে।
লেজেন্ড বা কিংবদন্তি বৈশিষ্ট্য:
লেজেন্ড বা কিংবদন্তির বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
বিষয়বস্তু:
কিংবদন্তির বিষয়বস্তু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ইতিহাস-নির্ভর কাহিনি, প্রেম-বিরহ সম্পর্কিত কাহিনি, আধ্যাত্মিক ঘটনা, পরি বা ভূত-প্রেতের কাহিনি, সন্ন্যাসী-ফকির-পীর-দরবেশের কাহিনি ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ঘটনা কিংবদন্তির বিষয়বস্তু হয়ে থাকে।
চরিত্রের অস্তিত্ব:
চরিত্রের অস্তিত্ব:
কিংবদন্তির ঘটনাবলির সম্পূর্ণ ঐতিহাসিক সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ থাকলেও একথা সাধারণভাবে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে, কিংবদন্তির চরিত্রগুলি অতীতকালে একসময় জীবিত ছিলেন। রামচন্দ্র, শ্রীকৃষ্ণ, হারকিউলিস, প্রমিথিউস প্রমুখ কিংবদন্তি চরিত্রের অস্তিত্ব সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণ প্রায় নিশ্চিত। তাঁরা যে, সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান, সাহসী, মানবদরদী ছিলেন সেকথাও স্বীকার করতে বাধা নেই।
বিস্ময় ও কল্পনা:
বিস্ময় ও কল্পনা:
কিংবদন্তি হল ইতিহাসের অপক্ব ফসল। বিস্ময় ও কল্পনা কিংবদন্তির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সক্রিয়। প্রাথমিক অবস্থায় কিংবদন্তিতে ঐতিহাসিক ঘটনার সূত্র নিহিত থাকলেও কিংবদন্তির ঘটনা পরবর্তীকালে পল্লবিত হতে হতে প্রকৃত ইতিহাসের বহু ঘটনা মুছে যায়। তাই কিংবদন্তি থেকে সঠিক ইতিহাস উদ্ধার করা খুবই জটিল।
অতিরঞ্জন:
অতিরঞ্জন:
কিংবদন্তি ঘটনার বিবরণে সর্বদাই অতিরঞ্জন লক্ষ্য করা যায়। অতীতের কোনো ব্যক্তির বাস্তব জীবনের সঙ্গে বিভিন্ন অতি মানবীয়, অবিশ্বাস্য ও অতিরঞ্জিত ঘটনা যুক্ত হয়ে কিংবদন্তি রচিত হয়। তাই বিভিন্ন কিংবদন্তিতে ভিত্তিহীন বিভিন্ন ঘটনার অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়।
লেজেন্ড বা কিংবদন্তির গুরুত্ব:
মিথের মতাে কিংবদন্তিও ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন—
সভ্যতা নিরূপণ করা:
বহু ক্ষেত্রেই কিংবদন্তি কাহিনিগুলিকে ইতিহাসের দর্পণে ফেলে সত্যকে তুলে ধরা হয়।
যেমন— বাংলার কিংবদন্তি চরিত্র রঘু ডাকাতের কালীপূজার ভিত্তিতে বর্তমানে একটি কালী মন্দিরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক ভিত্তি:
কিংবদন্তি কাহিনিগুলি ঐতিহাসিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
যেমন— কিংবদন্তি চরিত্র বিক্রমাদিত্যের কার্যকলাপ আসলে গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তেরই কার্যকলাপের বিবরণ।
নতুন ঐতিহাসিক তথ্য আবিষ্কার:
কিংবদন্তির ওপর ভিত্তি করে নতুন ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। বিভিন্ন কিংবদন্তির সূত্র ধরে পূর্ববঙ্গের সীতারকোটে পরীক্ষামূলক খননকার্য চালিয়ে প্রাচীন বৌদ্ধবিহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে (১৯৬৮ খ্রিঃ)।
আর্থসামাজিক অবস্থার ধারণা দান:
কিংবদন্তিগুলি সমকালীন আর্থসামাজিক অবস্থাকেও তুলে ধরে। সমকালীন সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক চিত্র উঠে আসে কিংবদন্তির হাত ধরে।
যেমন— রবিন হুড কিংবদন্তি চরিত্রের মধ্য দিয়ে সমকালীন সমাজে ধনীদরিদ্র বৈষম্যের দিকটি উঠে আসে।
উদাহরণ: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অসংখ্য কিংবদন্তির উদাহরণ পাওয়া যায়।
যেমন— ভারতের রামচন্দ্র, গােপাল ভাড়, শ্রীকৃষ্ণ, গ্রিসের হারকিউলিস, প্রমিথিউস, ইংল্যান্ডের রবিন হুড প্রমুখ।
লেজেন্ড বা কিংবদন্তির গুরুত্ব:
মিথের মতাে কিংবদন্তিও ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন—
সভ্যতা নিরূপণ করা:
বহু ক্ষেত্রেই কিংবদন্তি কাহিনিগুলিকে ইতিহাসের দর্পণে ফেলে সত্যকে তুলে ধরা হয়।
যেমন— বাংলার কিংবদন্তি চরিত্র রঘু ডাকাতের কালীপূজার ভিত্তিতে বর্তমানে একটি কালী মন্দিরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক ভিত্তি:
কিংবদন্তি কাহিনিগুলি ঐতিহাসিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
যেমন— কিংবদন্তি চরিত্র বিক্রমাদিত্যের কার্যকলাপ আসলে গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তেরই কার্যকলাপের বিবরণ।
নতুন ঐতিহাসিক তথ্য আবিষ্কার:
কিংবদন্তির ওপর ভিত্তি করে নতুন ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। বিভিন্ন কিংবদন্তির সূত্র ধরে পূর্ববঙ্গের সীতারকোটে পরীক্ষামূলক খননকার্য চালিয়ে প্রাচীন বৌদ্ধবিহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে (১৯৬৮ খ্রিঃ)।
আর্থসামাজিক অবস্থার ধারণা দান:
কিংবদন্তিগুলি সমকালীন আর্থসামাজিক অবস্থাকেও তুলে ধরে। সমকালীন সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক চিত্র উঠে আসে কিংবদন্তির হাত ধরে।
যেমন— রবিন হুড কিংবদন্তি চরিত্রের মধ্য দিয়ে সমকালীন সমাজে ধনীদরিদ্র বৈষম্যের দিকটি উঠে আসে।
উদাহরণ: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অসংখ্য কিংবদন্তির উদাহরণ পাওয়া যায়।
যেমন— ভারতের রামচন্দ্র, গােপাল ভাড়, শ্রীকৃষ্ণ, গ্রিসের হারকিউলিস, প্রমিথিউস, ইংল্যান্ডের রবিন হুড প্রমুখ।
0 মন্তব্যসমূহ