ভারতের সংবিধানের বিভিন্ন উৎস:


১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি ভারতের সংবিধান বলবৎ হওয়ার দিন থেকে এই সংবিধান অনুযায়ী ভারত রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালিত হয়ে আসছে। পৃথিবীর অগ্রণী দেশসমূহের সংবিধানের ভালো দিকগুলি নিয়ে ভারতের সংবিধানকে এক  বৈশিষ্ট্যে মন্ডিত সংবিধান গড়ে তোলা হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব বিষয় গুলি ভারতের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেসব বিষয় গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল:-

ব্রিটিশ সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান।
• প্রধান মন্ত্রীর পদ ও তার কাজ।
• মন্ত্রীদের ক্যাবিনেট ব্যবস্থা।
• পার্লামেন্টারি সরকার।
• নিম্নকক্ষের কাছে মন্ত্রিসভার যৌথ দায়িত্বশীলতা।
• দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা।
• এক নাগরিকত্ব।
• আইনের অনুশাসন।

মার্কিন সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• মৌলিক অধিকার।
• লিখিত সংবিধানের ধারণা।
• সুপ্রিমকোর্টে ধারনা।
• যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা।
• সংবিধানের প্রস্তাবনা।
• উপ রাষ্ট্রপতি সংসদের উচ্চকক্ষের সভাপতি।
• রাষ্ট্রপতি সৈন্য বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার।
• বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা।
• সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ পদ্ধতি।


রাশিয়ার সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• মৌলিক কর্তব্যের ধারণা।
• পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা।
• লোকসভার স্পিকারের কার্যাবলী।

আইরিশ সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি।
• রাষ্ট্রপরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি।
• রাষ্ট্রপতি দ্বারা রাজ্যসভায় সদস্য মনোনয়ন।


অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• যুগ্ম তালিকা।
• প্রস্তাবনার ভাষা।
• ব্যবসা ও বাণিজ্যের অধিকার।

জার্মান সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• জরুরি অবস্থার ধারণা।
• জরুরি অবস্থার সময় মৌলিক অধিকার বাতিল করা।

কানাডার সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• আধা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার।
• অবশিষ্ট ক্ষমতা কেন্দ্রকে অর্পণ।
• কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ক্ষমতার বন্টন।

জাপানের সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• সুপ্রিম কোর্ট পরিচালনার আইন।

ফ্রান্সের সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• প্রজাতন্ত্রের ধারণা।
• স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্বের ধারণা।

দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান থেকে গৃহীত বিষয়:
• সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি।
• রাজ্যসভায় সদস্য নির্বাচন।

# কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নীতি-------১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন থেকে নেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ