দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস: প্রথম অধ্যায়: (অতীত স্মরণ)


১. জনশ্রুতি কি?

উঃ- যখন কোনো ঐতিহাসিক বিবরণের তথ্য ও সন তারিখের যথার্থতার প্রমাণের অভাব থাকে এবং যে অতীত কাহিনীগুলো বংশ পরম্পরায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছায় তাকে জনশ্রুতি বলে।

২. জনশ্রুতি কে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?
উঃ- জনশ্রুতি কে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় -
  •  পৌরাণিক কাহিনী।
  •  কিংবদন্তি।
  •  লোককথা।
  •  সৃতিকথা।
  •  মৌখিক ঐতিহ্য।

৩. জনশ্রুতির কাহিনী সংগ্রহ করার কাজ কারা প্রথম শুরু করেছিল?
উঃ- উনবিংশ শতকের শুরুতে জার্মানির জোকব গ্রিস ও উইল হেম গ্রিস নামে দুই ভাই প্রথম জনশ্রুতির কাহিনী সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন।

৪. জনশ্রুতির সংগ্রহের কাজ করে এমন কয়েকজন গবেষক এর নাম লেখ।
উঃ- জনশ্রুতির সংগ্রহের কাজ করে এমন কয়েকজন গবেষকদের নাম হল - লালবিহারি দে, কে এল পাসকার।

৫. পৌরাণিক কাহিনী (মিথ) কাকে বলে?
উঃ- প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিভিন্ন কাহিনী বা ঘটনার বিবরণ যে ঐতিহাসিক উপাদান গুলিতে তুলে ধরা হয় তাকে পৌরাণিক কাহিনী বলে।
উদাহরণঃ হোমারের লেখা ইলিয়াড ও ওডিসিন, হিন্দুপুরান, রামায়ণ, মহাভারত।

৬. কাদের কেন্দ্র করে মিথ গড়ে ওঠে?
উঃ- দেবদেবী বা অতিদৈবিক ক্ষমতা সম্পন্ন বীর বা নায়ককে কেন্দ্র করে মিথ গড়ে ওঠে।

৭. মিথের গুরুত্ব লেখাে?
উঃ- মিথ অতীতকে জানতে ও বুঝতে সাহায্য করে। মিথের কাহিনি বিশ্লেষণ থেকে দেশীয় সমাজব্যবস্থা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধারণা মেলে।

৮. কিংবদন্তি বা লেজেন্ড কী?
উঃ- ইতিহাস ও কল্পনার মিশ্রণে লৌকিক কথাসাহিত্যের রূপবিশিষ্ট লােককাহিনি হল কিংবদন্তি।

৯. কয়েকটি কিংবদন্তি চরিত্রের উল্লেখ করাে।
উঃ- কয়েকটি কিংবদন্তি চরিত্র হল—ভারত ইতিহাসের পৌরাণিক ইন্দ্র চরিত্র, কৃষ্ণ চরিত্র। রাম চরিত্র এবং ইংল্যান্ডের ইতিহাসে রবিন হুড চরিত্র ইত্যাদি।

১০. 'Legend' কথাটি কোথা থেকে এসেছে এবং এর অর্থ কী?
উঃ- 'Legend' শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'Legenda' থেকে এসেছে। এর অর্থ হল পাঠের বিষয়বস্তু।

১১. কিংবদন্তির (Legends) গুরুত্ব লেখাে।
উঃ- কিংবদন্তির কাহিনি অবাস্তব বলে মনে হলেও তাতে সমাজজীবনের ছবি ফুটে ওঠে। প্রতিটি সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রদায় নিজ নিজ কিংবদন্ডিগুলিকে বংশপরম্পরায় প্রচারের মাধ্যমে অতীত ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার করে।

১২. লিজেন্ড কীভাবে ইতিহাস রচনায় সাহায্য করে?
উঃ- কোনাে ঐতিহাসিক ঘটনা বা স্থানের সঙ্গে লিজেন্ডের কাহিনির যােগসূত্র থাকে। ফলে ইতিহাস রচনায় বিশ্বাসযােগ্যতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে লিজেন্ড সাহায্য করে থাকে। পাশাপাশি লিজেন্ড মৌখিক বা লিখিত আকারে এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্মে তার কাহিনি পৌছে দেয়। ফলে বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকের কাজ সহজ হয়।

১৩. ফোক লেজেন্ড ও ফোক টেল কথা দুটির পার্থক্য লেখাে।
উঃ- ফোক লেজেন্ডের কাহিনি ফোক টেলের তুলনায় অনেক বেশি বাস্তবধর্মী হয়। ফোক লেজেন্ডের চরিত্রগুলি অনেক বেশি বিশ্বাসযােগ্য হওয়ায় সাহিত্যের ইতিহাসে ফোক লেজেন্ডের ঐতিহাসিক মূল্য ফোক টেলের তুলনায় অনেক বেশি।

১৪. Folklore বা Folk tales ইতিহাস রচনায় কীভাবে সাহায্য করে?
উঃ- Folklore বা Folk tales-এর বিভিন্ন শাখা।
যেমনঃ— লােকসাহিত্য, লােক শিল্পকলা, লােকসংগীত ইত্যাদি ইতিহাসের নানা উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এগুলি সমাজের নানা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন প্রথা ও রীতিনীতির সম্পর্কে ধারণা জুগিয়ে ইতিহাস রচনায় সাহায্য করে।

১৫. নীতিকথা কাকে বলে?
উঃ- মানবসমাজের বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক নীতিগুলির দ্বারা যে লােককাহিনি বর্ণিত হয় তাকে বলা হয় নীতিকাহিনি। নীতিকথায় কোনাে উপদেশ প্রত্যক্ষভাবে উপস্থাপন করা হয়। নীতিকথাতে খুব সংক্ষিপ্তভাবে মূলনীতিগুলির উল্লেখ থাকে।

১৬. গীতিকা কী?
উঃ- ইংরেজি 'ব্যালাড'-এর বাংলা প্রতিশব্দ হল গাথা বা গীতিকা। সুর করে নাটকীয় ভঙ্গিতে গাওয়া গল্পগুলি হল গীতিকা।

১৭. ব্রতকথা বলতে কী বােঝ?
উঃ- ব্রতকথা বলতে আমরা লােককথার সেই বিভাগকেই বুঝি, যাতে ব্রতের মধ্যে দিয়ে গ্রামজীবনের নানা ধরনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, কামনা-বাসনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। ব্রতকথা দু-ধরনের, যথা— শাস্ত্রীয় ব্রত, মেয়েলি ব্রত।

১৮. লোককথা কি?
উঃ- লোককথা হলো এক ধরনের কাল্পনিক গল্প কথা এবং এক ধরনের ঐতিহ্যবাদী লৌকিক সাহিত্য যার সাহায্যে প্রাকৃতিক বা আধ্যাত্মিক কোনো ঘটনার ব্যাখ্যা বা উপলব্ধির চেষ্টা করা হয় ।
উদাহরণঃ নারায়ণ পণ্ডিতের হিতপ্রদেশ, আলিবাবা চল্লিশ চোর।

১৯. লোককথা এপিকল বলতে কি বোঝ?
উঃ- লোককথার বিশ্বজনীন মিলগুলির ভিত্তিতে লোককথায় কিছু মহা সূত্রাবলী নির্ধারিত হয়েছে, সেগুলি লোককথা এপিকল্ নামে পরিচিত।

২০. পশুকথা কি?
উঃ- পশুকে নিয়ে কল্পিত কথাকে পশুকথা বলে। পশুকথায় পাখিদের চারিত্রিক গুণাবলী তুলে ধরা হয়।

২১. পরিকথা কি?
উঃ- যে সমস্ত লােককথাগুলি পরিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় সেগুলি হল পরিকথা। পরিকথায় কোনাে পরি কাহিনিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বা মুখ্য ভূমিকা পালন করে কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

২২. স্মৃতিকথা কি?
উঃ- যে উপন্যাস ধর্মী সাহিত্যে লেখক তার অতীত জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার স্মৃতিচারণ করে থাকেন তাকে স্মৃতিকথা বলে।

২৩. স্মৃতি কয় প্রকার ও কী কী?
উঃ- পন্ডিত ও গবেষক হেইডেন হােয়াইটের ধারণায় স্মৃতি দু'প্রকার।
  •  Traditionalised Memory', যা মূলত অতীত ঐতিহ্যের মধ্যে থাকে।
  •  Rationalised Memory, যা মূলত কোনাে সম্প্রদায়ের অতীতকে তুলে ধরে।

২৪. মিথ ও স্মৃতিকথার মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?
উঃ- মিথ ও স্মৃতিকথার মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল—মিথের কাহিনি অনেকটাই কল্পকথা, কিন্তু স্মৃতিকথার কাহিনি হল অতীতের বাস্তব ঘটনাবলির বিবরণ।

২৫. ইতিহাস ও স্মৃতিকথার সম্পর্ক লেখাে।
উঃ- ইতিহাসে অতীত ঘটনা বা কাহিনি তথ্যসূত্র-সহ সাল-তারিখ মিলিয়ে ধারাবাহিকভাবে পরিবেশিত হয়। স্মৃতিকথাতেও তথ্যসূত্র বা সাল-তারিখের উপস্থিতি খুব একটা না থাকলেও তাতে অতীত কাহিনি বা ঘটনা পরিবেশিত হয়।

২৬. রূপকথার পরিচয় দাও।
উঃ- জার্মান ভাষায় মারচেন কিংবা সুইডিশ ভাষায় 'সাগা' রূপকথার মর্মার্থ প্রকাশ করে, এ ছাড়াও ইংরেজি ফেয়ারি টেল, জার্মান ম্যশে্ন, রুশীয় স্কাজঈ এবং ফিনীয় সাগেন হল রূপকথার সমধর্মী। রূপকথার চরিত্রগুলি সাধারণত কাল্পনিক হয়ে থাকে এবং রূপকথায় বর্ণিত কয়েকটি চরিত্র হল রাজা রানি, মন্ত্রী, কোটাল, রাজপুত্র-রাজকন্যা, দাস-দাসী, রাক্ষস-দৈত্য-ডাইনি-জাদুকর, পেতনি প্রভৃতি।

২৭. রূপকথার গুরুত্ব লেখাে।
উঃ- রূপকথায় অতীত ঐতিহাসিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানাে হয়। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সূত্র হিসেবে রূপকথা নিজ দেশের অতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করে।

২৮. মৌখিক ঐতিহ্য কাকে বলে?
উঃ- মৌখিক ঐতিহ্য হল এমন এক সংস্কৃতিগত ধারনা যা এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্মে লোকমুখী হয়।

২৯. মৌখিক ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উঃ- মৌখিক ইতিহাস অতীতের নানাধরনের গল্প বা কাহিনি জানতে সাহায্য করে এবং অতীতের বহু বিষয় ও তথ্যের জানান দেয়।

৩০. লােককথার এপিক ল্য বলতে কী বােঝ?
উঃ- লােককথার বিশ্বজনীন মিলগুলির ভিত্তিতে লােককথায় কিছু মহাসূত্রাবলি নির্ধারিত হয়েছে, যেগুলি এপিক ল্য (Epic Law) নামে পরিচিত। ডেনমার্কের অ্যাক্সেল ওলরিক মূলত ড্যানিশ সাগেন অবলম্বনে লােককথার কিছু মহাসূত্র বা এপিক ল্য নির্ধারণ করেছেন।

৩১. লােককথায় সমাজের সূত্র বলতে কী বােঝ?
উঃ- লােককথায় অনেক সময় ঘটনাগুলির মধ্যে অসংখ্য মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এমনকি অনেক সময় পার্শ্ব চরিত্রের নামকরণের ক্ষেত্রেও মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

৩২. ইংরেজি ভাষায় লেখা বিশ্বের প্রথম   লােককথার গল্পটির নাম লেখাে।
উঃ- ইংরেজি ভাষায় লেখা বিশ্বের প্রথম লােককথার গল্পটির নাম হল রিচার্ড জনসনের 'দ্য স্টোরি অফ টম থাম্ব'।

৩৩. মিউজিশিয়ান শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
উঃ- গ্রীক শব্দ Mouseion থেকে Museum শব্দটি এসেছে।

৩৪. জাদুঘর কাকে বলা হয়?
উঃ- বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করে যেগুলি প্রতিষ্ঠান ভা ভবনে সংরক্ষিত করে রাখা হয় সেইসব প্রতিষ্ঠানকে জাদুঘর বলে।

৩৫. পৃথিবীর প্রাচীনতম জাদুঘরের নাম কি?
উঃ- ৫৩০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে মেসোপটেমিয়ার এননিগালডি-নাম্নার জাদুঘরকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

৩৬. প্রকৃতপক্ষে সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য কবে কোন জাদুঘরটি খোলা হয়?
উঃ- ইতালির রোমে ১৪৭১ খ্রিঃ ক্যাপিটোলাইন মিউজিয়ামটি খোলা হয়।

৩৭. ভ্যাটিকান মিউজিয়াম কবে প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উঃ- ১৫০৬ খ্রিঃ পোপ দ্বিতীয় যুলিয়াসের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।

৩৮. প্রথম আধুনিক জাদুঘর বলা হয় কোন মিউজিয়াম কে?
উঃ- দ্যা অ্যাসমোলিয়ান মিউজিয়ামটি আধুনিক জাদুঘর নামে পরিচিত।

৩৯. বিশ্বকোষ জাদুঘর বলা হয় কোন জাদুঘরকে?
উঃ- ১৭৫৩ খ্রিঃ লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭৫৯ খ্রিঃ এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

৪০. লুভর মিউজিয়াম কোথায় অবস্থিত?
উঃ- লুভর মিউজিয়ামটি ফ্রান্সের প্যারিস শহরে প্রতিষ্ঠিত।

৪১. দুটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের নাম লেখো?
উঃ-
  •  অ্যাগ্রো অফ এথেন্স।
  •  রোমান ফোরাম।

৪২. একটি শিল্প জাদুঘরের নাম লেখো?
উঃ- ১৬৭৭ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসমোলিয়াম জাদুঘর হলো পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক শিল্প জাদুঘর।

৪৩. হাজার দুয়ারী কি ধরনের জাদুঘর?
উঃ- ঐতিহাসিক গৃহ জাদুঘর।

৪৪. দুটি জীবন্ত জাদুঘরের নাম লেখো?
উঃ-
  •  স্কানসের মিউজিয়াম (সুইডেন)।
  •  কলোনিয়াল উইলিয়ামস বার্গ।

৪৫. দুটি সামুদ্রিক জাদুঘরের নাম লেখো?
উঃ-
  •  মেরিনার্স মিউজিয়াম।
  •  মিস্টিক বিফসিফট।

৪৬. দুটি সামরিক জাদুঘরের নাম লেখো?
উঃ-
  •  দ্যা নেশনাল ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার মিউজিয়াম।
  •  কানাডিয়ান ওয়ার মিউজিয়াম।

৪৭. দুটি প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরের উদাহরণ দাও।
উঃ-
  •  লন্ডনের নাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম।
  •  ওয়াশিংটনের নেশানাল মিউজিয়াম অফ নাচরাল হিস্ট্রি।

৪৮. একটু বিজ্ঞান জাদুঘরের নাম লেখো?
উঃ- শিকাগোর মিউজিয়াম অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি হলো একটি বিজ্ঞান জাদুঘরের উদাহরণ।

৪৯. খোলা আকাশের নিচে একটি জাদুঘরের নাম লেখো?
উঃ- নরওয়ের অস্ল শহরের কাছে নির্মিত দ্বিতীয় অস্কারের জাদুঘরটি হলো খোলা আকাশের নিচে একটি জাদুঘর।

৫০. একটি ক্ষণস্থায়ী জাদুঘরের নাম লেখ?
উঃ- মিউজিয়াম অফ নিউ আর্ট।

৫১. দুটি নেট জাদুঘরের নাম লেখো?
উঃ- ভার্চুয়াল মিউজিয়াম অফ কানাডা, নেশনাল্ মিউজিয়াম অফ দ্যা ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স।

৫২. মৌখিক ঐতিহ্য বলতে কী বােঝ?
উঃ- মৌখিক ঐতিহ্য হল এমন এক সংস্কৃতিগত ধারণা যা এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্মে লােকমুখে প্রচারিত হয়। বিভিন্ন দিক থেকে মৌখিক ঐতিহ্যের সংজ্ঞা দেওয়া যায় ওরাল হিস্ট্রি অ্যাসােসিয়েশন-এর মতে, অতীতের ঘটনা সম্পর্কে মানুষের কণ্ঠস্বর, স্মৃতিকথা, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণ এবং চর্চা করাকেই মৌখিক ঐতিহ্য বলে।


৫৩. কীভাবে মৌখিক ঐতিহ্যের আধুনিক ধারণার বিকাশ ঘটে?
উঃ- কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালান নেভিন কলম্বিয়া ওরাল হিস্ট্রি রিসার্চ অফিস’ প্রতিষ্ঠা (১৯৪৮ খ্রি.) করে মৌখিক ঐতিহ্যের আধুনিক ধারণার বিকাশ ঘটান। এ ছাড়াও আমেরিকার মৌখিক ইতিহাসবিদগণ ওরাল হিস্ট্রি অ্যাসােসিয়েশন এবং ব্রিটিশ মৌখিক ইতিহাসবিদগণ ওরাল হিস্ট্রি সােসাইটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মৌখিক ঐতিহ্যের আধুনিক ধারণার বিকাশ ঘটান।


৫৪. মুখের কথা ও মৌখিক ঐতিহ্যের মধ্যে পার্থক্য লেখাে।
উঃ- মুখের কথা বলতে গবেষকগণ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক বা স্মৃতি ভিত্তিক ঐতিহ্যকে বােঝান। অনেকে আবার প্রবাদ-প্রবচনকেও মুখের কথার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। পক্ষান্তরে মৌখিক ঐতিহ্যে ইতিহাসধর্মী দলিল দস্তাবেজ ও অন্যান্য লিখিত উপাদানের সঙ্গে মুখের কথাকে যাচাই করে নেওয়ার প্রসঙ্গ আসে।

৫৫. মৌখিক ঐতিহ্যের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য লেখাে।
উঃ- মৌখিক ঐতিহ্যের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সাক্ষাৎকার অর্থাৎ কোনাে কাহিনি বা ঘটনার একটি চরিত্রের সঙ্গে অন্য চরিত্রের সাক্ষাতের ফলশ্রুতি এক্ষেত্রে মৌখিকভাবে বর্ণিত হয়।

৫৬. মৌখিক ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত দুটি সংস্থার নাম লেখাে।
উঃ- মৌখিক ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত দুটি সংস্থার নাম হল- 
  •  আমেরিকার ওরাল হিস্ট্রি অ্যাসােসিয়েশন।
  •  ব্রিটেনের ওরাল হিস্ট্রি সােসাইটি'।

৫৭. পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী আতুম কে?
উঃ- পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী আতুম হলেন মিশরীয় দেবতা। মিশরের পুরাণে বলা আছে আতুম বিশ্বের সবকিছুর স্রষ্টা।

৫৮. আধুনিক ইতিহাস তত্ত্বের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখাে।
উঃ- আধুনিক ইতিহাসতত্ত্বের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল- জাতীয়তাবাদ, যুক্তিবাদ, প্রগতির ধারণা, দৃষ্টবাদ, অবয়ববাদ ও উত্তর অবয়ববাদ, আধুনিকতা ও উত্তর আধুনিকতা, আপেক্ষিকতাবাদ, বিজ্ঞানধর্মিতা ও নৈতিকতাবাদ ইত্যাদি।

৫৯. History from below' বা নীচের দিক থেকে ইতিহাস চর্চার ধারার প্রবর্তক কারা?
উঃ- 'History from below' বা নীচের দিক থেকে ইতিহাস চর্চার ধারার প্রবর্তক হলেন ইংল্যান্ডের ক্রিস্টোফার হিল এবং ই. পি. টমসন।

৬০. অপরাধ-সংক্রান্ত ইতিহাস চর্চার ধারাকে কারা পরিপুষ্ট করেন?
উঃ- এরিক জন হবসবম, মিশেল ফুকো প্রমুখ অপরাধ-সংক্রান্ত ইতিহাস চর্চার ধারাকে পরিপুষ্ট করেন।

৬১. 'The New Nature of History' কার লেখা?
উঃ- 'The New Nature of History' গ্রন্থটি আর্থার মারউইক-এর লেখা।


৬২. বিংশ শতকে আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন তত্ত্বের উল্লেখ করেছেন, এমন কয়েকজন ঐতিহাসিকের নাম লেখাে।
উঃ- বিংশ শতকে আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন তত্ত্বের উল্লেখ করেন— মার্ক লিওপােল্ড বেঞ্জামিন ব্লক, এডওয়ার্ড হ্যালেট কার, এ. জে. পি. টেলর, লুই নেমিয়ার, ক্রিস্টোফার হিল, আর. জি. কলিংউড, বেনেদেতাে ক্রোচে, মিশেল ফুকো, ফারনান্দ ব্ৰদেল প্রমুখ।

৬৩. আধুনিক ইতিহাস তত্ত্বে প্রগতির ধারণাটি কী?
উঃ- আধুনিক ইতিহাস তত্ত্ব অনুযায়ী ইতিহাসে প্রগতির ধারা নিরবচ্ছিন্ন নয়, তাতে উত্থান যেমন আছে, পতনও তেমন আছে। ইতিহাসে প্রগতির আসল অর্থ হল মানুষের ক্ষমতা ও সম্ভাবনার বিপুল বিস্তার।

৬৪. ইতিহাস চর্চায় কার্যকারণ পদ্ধতিটি কী?
উঃ- ইতিহাসে বলা হয় যে প্রতিটি কাজ ঘটার অন্তরালে কোনাে না কোনাে কারণ থাকে। ইতিহাস চর্চায় এই কাজ বা ঘটনা ঘটার কারণ অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ পদ্ধতিটি হল কার্যকারণ পদ্ধতি।

৬৫. সাবলটার্ন গােষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা কে?
উঃ- সাবলটার্ন গােষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ড. রণজিৎ গুহ।

৬৬. 'Founder of Modern Source-based History'-এর লেখক কে?
উঃ- 'Founder of Modern Source based History'-এর লেখক হলেন লিওপােল্ড ভন র‍্যাঙ্কে।

৬৭. পেশাদারি শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব লেখাে।
উঃ- পেশাদারি শাখা হিসেবে ইতিহাসের কয়েকটি গুরুত্ব হল-ইতিহাস অতীতের ধারণাদানে, জ্ঞানের বিকাশে, ঘটনার ধারাবাহিকতা অনুধাবনে, অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়াও ইতিহাস সঠিক সত্য নিরূপণে, আর্থ-সাংস্কৃতিক উন্নতির ধারণালাভে এবং জাতীয়তাবাদের বিকাশে সাহায্য করে থাকে।

৬৮. ইতিহাস রচনা করতে গেলে ঐতিহাসিককে যেসব পদ্ধতি মেনে এগােতে হয় সেগুলির কয়েকটি উল্লেখ করাে।
উঃ- ইতিহাস রচনা করতে গেলে ঐতিহাসিককে যে সমস্ত পদ্ধতি মেনে এগােতে হয়, তার কয়েকটি হল-
  •  উৎসের অনুসন্ধান।
  •  উৎস থেকে তথ্য চয়ন।
  •  তথ্যের যাচাইকরণ।
  •  তথ্যসমূহের বিশ্লেষণ।
  •  ঘটনা ও বক্তব্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন।
  •  ধারাবাহিকতা ও কালানুক্রম।
  •  কার্যকারণ পদ্ধতি, ভৌগােলিক অবস্থানের গুরুত্ব।
  •  তথ্য সংরক্ষণ প্রভৃতি।

৬৯. ইতিহাস তত্ত্ব কী?
উঃ- একজন ইতিহাসবিদ যে সমস্ত নিয়মনীতি, আদর্শ ও পদ্ধতি মেনে ইতিহাস রচনা করে থাকেন, তা হল ইতিহাস তত্ত্ব।

৭০. আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি বা চর্চার বিভিন্ন ভাগগুলি কী কী?
উঃ- আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি বা চর্চার বিভিন্ন ভাগগুলি হল—সাম্রাজ্যবাদী, জাতীয়তাবাদী, কেমব্রিজ গােষ্ঠী, মার্কসবাদী এবং নিম্নবর্গীয় (সাবলটার্ন) প্রভৃতি।

৭১. আধুনিক ইতিহাস চর্চার জনক কাকে কেন বলা হয়?
উঃ- আরবীয় ঐতিহাসিক ইবন খালদুনকে আধুনিক ইতিহাস চর্চার জনক বলা হয়। কারণ তিনি প্রথম বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ইতিহাস রচনার সূচনা করেন এবং ত্রুটিবিচ্যুতিগুলি তুলে ধরেন।

৭২. সাধারণ মানুষের ইতিহাস রচনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উঃ- আধুনিক ইতিহাসবিদগণ মনে করেন উচ্চবর্গীয়দের ইতিহাস খণ্ডিত ও অসম্পূর্ণ। সমাজের গরিষ্ঠ শ্রেণির জীবনচর্চা তাতে থাকে না। তাই সমাজের বৃহত্তর অংশের জীবচর্চার ধারণা লাভের জন্য সাধারণ মানুষের ইতিহাস রচনা গুরুত্বপূর্ণ।

৭২. ব্রিটিশ ইতিহাসের জনক নামে কে পরিচিত?
উঃ- ব্রিটিশ ঐতিহাসিক ভেনেরাবেল বিড ব্রিটিশ ইতিহাসের জনক নামে পরিচিত।

৭৩. বার্লিন বিপ্লব বলতে কী বােঝ?
উঃ- জার্মান ঐতিহাসিক লিওপােল্ড ভন র্যাকে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস চর্চার সময়কালে মহাফেজখানার তথ্য এবং দলিলগুলির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। এই দুই উপাদান থেকে তথ্য নিয়ে নৈবত্তিক ইতিহাস রচনা করা যায় বলে তিনি প্রচার করেন। তার প্রচারিত ইতিহাস চর্চার এই ধারা বার্লিন বিপ্লব নামে পরিচিত।

৭৪. অ্যানালিটিক্যাল অপারেশন বলতে কী বােঝ?
উঃ- জার্মান ঐতিহাসিক র্যাঙ্কে এবং নেবুর যে ইতিহাস বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন তার নাম অ্যানালিটিক্যাল অপারেশন। এই ইতিহাস বিশ্লেষণ পদ্ধতির দুটি ভাগ। প্রথম ভাগে ঘটনাকে ছােটো ছােটো অংশে ভাগ করে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয়। আর দ্বিতীয় ভাগে ঘটনার ছােটো ছােটো অংশগুলি যােগ করে একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরা হয়।

৭৫. ইতিহাস চর্চায় গৌণ উপাদান (Secondary source) বলতে কী বােঝ?
উঃ- ইতিহাস চর্চায় ঐতিহাসিকগণ আকর তথ্যগুলির ব্যবহারের দ্বারা যে গ্রন্থ রচনা করেন। তাকে গৌণ উপাদান বা Secondary source বলা হয়।

৭৬. প্রত্যক্ষবাদ (Positivism) কী?
উঃ- প্রত্যক্ষবাদ হল এমন এক ইতিহাস চর্চার ধারা যাতে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের সুযােগ থাকে। অর্থাৎ যে মতবাদে বিজ্ঞানকে সমস্ত জ্ঞান ও প্রগতির ভিত্তি হিসেবে এবং সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা হয় তা হল প্রত্যক্ষবাদ।

৭৭. হুইগ ইতিহাস চর্চা কী?
উঃ- উনিশ শতকে ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিকরা জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির অতীত গৌরবের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের বিষয়ে যে ইতিহাস চর্চা শুরু করেন তা হুইগ ইতিহাস চর্চা নামে পরিচিত। এই ইতিহাস চর্চায় উল্লেখযােগ্য অবদান রাখেন বিশপ স্ট্যাবস, টাউট, লর্ড অ্যাকটন প্রমুখ ইতিহাসবিদগণ।

৭৮. মার্কসীয় ইতিহাস চর্চা বলতে কী বােঝ?
উঃ- যে ইতিহাস চর্চায় বলা হয় শ্রেণিশােষণ ও শ্রেণিদ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে সর্বহারা শ্রেণির একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং যেখানে রাষ্ট্রব্যবস্থার অবসান ঘটবে সেই ধারণাভিত্তিক ইতিহাসচর্চা হল মার্কসীয় ইতিহাসচর্চা। এই ইতিহাসচর্চার দুই পথিকৃৎ হলেন কার্ল মার্কস ও ফেডারিক এঙ্গেলস।

৭৯. Total History বলতে কী বােঝ?
উঃ- ফ্রান্সের অ্যানাল গােষ্ঠীর ইতিহাসবিদগণ বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যে ইতিহাস চর্চা পদ্ধতির সূচনা করেন তা Total History নামে পরিচিত। এই ইতিহাস চর্চায় রাজনৈতিক ইতিহাসের পরিবর্তে সমাজের সাধারণ মানুষের জীবনের নানা দিকগুলি তুলে ধরা হয়।

৮০. নেমিয়ার পদ্ধতি কী?
উঃ- ঐতিহাসিক লুই লিমিয়ার তার 'স্ট্রাকচার অব পলিটিক্স' গ্রন্থে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টের সদস্যদের সামাজিক কাঠামাে বা কাজের পদ্ধতি আলােচনা করেন যা Prosopography নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের জীবন কার্যকলাপ সামাজিক যােগাযােগ ইত্যাদির পাশাপাশি রাজনৈতিক গােষ্ঠীগুলির উদ্দেশ্য ও কাজকে বিশ্লেষণ করে পথ দেখান যা নেমিয়ার পদ্ধতি নামে পরিচিত।

৮১. ক্রেমব্রিজ ব্যাখ্যা বলতে কী বােঝ?
উঃ- ক্রেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ঐতিহাসিক ভারতীয় জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে এক বিশেষ ব্যাখ্যা দেন যা ক্রেমব্রিজ ব্যাখ্যা নামে পরিচিত। এই ব্যাখ্যায় বলা হয় ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের লড়াই ছিল এক সাজানাে লড়াই। প্রকৃত দ্বন্দ্ব ছিল মূলত ভারতীয়দের মধ্যেই।

৮২. হিউরিসটিক পদ্ধতি বলতে কী বােঝ?
উঃ- যে পদ্ধতিতে একজন ঐতিহাসিক তার ইতিহাস লেখার উপাদানকে যাচাই ও বিচার করার জন্য বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি গ্রহণ করেন ও ইতিহাস রচনায় বিষয়গত অনুসম্ধানের ওপর জোর দেন, সেই পদ্ধতির নাম হিউরিসটিক পদ্ধতি।

৮৩. কিউরেটার কাদের বলা হয়?
উঃ- মিউজিয়ামে নানা ধরনের বস্তু সামগ্রী ও নিদর্শন রাখা থাকে। এই নিদর্শন ও বস্তু সামগ্রী যারা দেখাশােনা করেন তাদের প্রধানকে কিউরেটার বলা হয়।

৮৪. অবয়ববাদ কী?
উঃ- অবয়ববাদ হল আসলে প্রথাগত ও আচারগত ঐতিহ্যের ওপর নির্ভরশীল মানব ইতিহাস। ঐতিহাসিক ধারণায় অবয়রে পরিবর্তন ঘটলে বিষয়বস্তুরও পরিবর্তন ঘটে।

৮৫. ইতিহাস চর্চায় আপেক্ষিকতাবাদ বলতে কী বােঝ?
উঃ- ইতিহাস চর্চায় আপেক্ষিকতাবাদ অনুযায়ী ইতিহাসে বিষয়বস্তুর গুরুত্ব, সময়ের গুরুত্ব, ঘটনার পরিণতির গুরুত্ব সবই আপেক্ষিক। এই মতবাদে সময়ের সঙ্গে ইতিহাসের তথ্যসূত্র গুলির সত্যতা আপেক্ষিক বলে প্রমাণিত হয়।

৮৬. 'ইতিহাস মালা' কার কার লেখা?
উঃ- উইলিয়াম কেরি।

৮৭. 'হিন্দু পুরাণ' অনুযায়ী দুর্গা কে?
উঃ- ব্রহ্মার মানষ কন্যা।

৮৮. 'কালিদাস' কোন ধরনের চরিত্র?
উঃ- হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র।

৮৯. গ্রিসের দুটি পৌরাণিক চরিত্রের নাম লেখ?
উঃ- এস্কাইলাস, সফোক্লিস, ইউরিপিডিস।

৯০. 'নোয়া' (Noah) কে ছিলেন?
উঃ- বাইবেলের পৌরাণিক চরিত্র।

৯১. দুটি হিন্দু কিংবদন্তি চরিত্রের নাম লেখ?
উঃ- ভগবান শ্রী রাম, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।

৯২. হারকিউলিস কে ছিলেন?
উঃ- গ্রিসের কিংবদন্তি চরিত্র।

৯৩. গোপাল ভাঁড় কোন ধরনের চরিত্র?
উঃ- কিংবদন্তি চরিত্র।

৯৪. রবিনহুড কোথাকার কিংবদন্তি চরিত্র?
উঃ- ইংল্যান্ড (ব্রিটেন)।

৯৫. ঠাকুরমার ঝুলি লোক কথাটি কে রচনা করে?
উঃ- দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।

৯৬. 'সাত ভাই চম্পা' - গল্পটি পাওয়া যায় কোন লোককথাটিতে?
উঃ- ঠাকুরমার ঝুলি গ্রন্থে।

৯৭. আরব্য রজনীর গল্প গুলি কোন ধরনের কাহিনী?
উঃ- লোককথা।

৯৮. লক্ষিন্দরের কাহিনী কোন ধরনের জনশ্রুতি?
উঃ- লোককথা।

৯৯. লোক কথার জনপ্রিয় দুজন লেখক এর নাম লেখ?
উঃ-
  •  ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন।
  •  জার্মানির জ্যাকবও ইউলিয়াম গ্রীস।

১০০. আলিবাবা ও চল্লিশ চোরের গল্প কোন ধরনের কাহিনী?
উঃ- লোককথা।

১০১. টম থাম্বের গল্প রচনা কে করেন?
উঃ- রিচার্ড জনসন।

১০২. টম থাম্বের গল্প বা কাহিনী অনুসারে 'বুড়ো আংলা' গল্পকাহিনী কে লেখেন?
উঃ- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১০৩. 'যতদূর মনে পড়ে'- স্মৃতি কথাটি কে লেখেন?
উঃ- জ্যোতি বসু।

১০৪. 'ছেড়ে আসা গ্রাম' -কার কি ধরনের রচনা?
উঃ- দক্ষিণারঞ্জন বসুর (স্মৃতি কথা)।

১০৫. 'সেদিনের কথা'- কার রচনা?
উঃ- মণিকুন্তলা সেনর (স্মৃতিকথা)।

১০৬. কার স্মৃতিকথা ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা জানা যায়?
উঃ- মণিকুন্তলা সেন।

১০৭. 'আমি নেতাজীকে দেখিয়াছি'- স্মৃতি কথাটি কার রচনা?
উঃ- নারায়ণ সান্যাল।

১০৮. 'আমি সূর্যসেনের শিষ্যা' -স্মৃতি কথাটি কার রচনা?
উঃ- বিপ্লবী আশালতা সরকার।

১০৯. 'একাত্তরের ডায়েরী'- কে লেখেন?
উঃ- সুফিয়া কামাল।

১১০. 'জীবনের জলসাঘরে' স্মৃতি কথাটি কে লেখেন?
উঃ- মান্না দে।

১১১. 'মেমোরিজ কাম এলাইভ'-গ্রন্থটি কোন গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ?
উঃ- জীবনের জলসাঘরে গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ।

১১২.  'জীবনের জলসাঘরে' হিন্দি অনুবাদ কে করেন?
উঃ- ইয়াদেন জি।

১১৩. 'ওরাল হিস্ট্রি সোসাইটি' -প্রতিষ্ঠা করেন কে?
উঃ- ব্রিটিশ মৌখিক ইতিহাস বিজ্ঞান।

১১৪. 'ওরাল হিস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন'- কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ- আমেরিকার মৌখিক ইতিহাসবিদগণ।

১১৫. 'থুকিডিডিস'- কোথাকার ঐতিহাসিক?
উঃ- গ্রিসের।

১১৬. হেরোডোটাস কোথাকার ঐতিহাসিক?
উঃ- গ্রিসের।

১১৭. 'হিস্ট্রি অফ হিন্দুস্তান' গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
উঃ- আলেকজান্ডার দাও (১৭৭০ খ্রি:)।

১১৮. ভারতের অতীত ইতিহাস চর্চা প্রথম কারা শুরু করেন?
উঃ- ইংরেজরা।

১১৯. ব্রিটিশ ইতিহাস চর্চার একটি নিদর্শন দাও?
উঃ- ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম জোন্স দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এশিয়াটিক সোসাইটি।

১২০. 'হিস্ট্রি অফ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া'-গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
উঃ- ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে জেমস মিল।

১২১. 'দ্য হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া' গ্রন্থটির লেখক কে?
উঃ- এলফিনস্টোন।

১২২. 'নদীয়ার কাহিনী' কার কি জাতীয় গ্রন্থ?
উঃ- কুমুদনাথ মল্লিক এর আঞ্চলিক ইতিহাসের জাতীয় গ্রন্থ।

১২৩. 'প্রভার্টি অ্যান্ড আন ব্রিটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া'-গ্রন্থটির লেখক কে?
উঃ- দাদাভাই নওরোজি।

১২৪. 'ইকোনমিক হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া'- গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
উঃ- রমেশচন্দ্র দত্ত।

১২৫. মিউজিয়াম শব্দটি উৎপত্তি কি থেকে?
উঃ- গ্রিক শব্দ- 'Mouseion'-থেকে মিউজিয়াম শব্দটির উৎপত্তি।

0 মন্তব্যসমূহ