জাবতি ব্যবস্থা কি? (Jabati system).


সম্রাট আকবর ১৫৭৩ সালে টোডরমলকে গুজরাটের ভূমি ব্যবস্থা সংস্কারের দায়িত্ব দেন। সেখানে ভূমি জরিপ করে জমির পরিমাণের উপর টোডরমল খাজনা ধার্য করেন। ১৫৮২ সালে টোডরমল দেওয়ান পদে নিযুক্ত হলে গুজরাটের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সমগ্র সাম্রাজ্যে নতুন ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। এই রাজস্ব ব্যবস্থা টোডরমল ব্যবস্থা বা জাবতি ব্যবস্থা নামে পরিচিত।

জাবতি ব্যবস্থার তিনটি বৈশিষ্ট্য:
  • জমিজরিপ।
  • জমির প্রকারভেদ নির্ণয়।
  • দেয় রাজস্ব নির্ধারণ।

জাবতি ব্যবস্থার প্রচলন:
উত্তর ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বিহার, এলাহাবাদ, মালব, অযোধ্যা, দিল্লি, লাহোর, মুলতান ও রাজপুতানা এই আটটি প্রদেশ জাবতি ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।

জমির উৎপাদিকা শক্তির উপর নির্ভর করে জমিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়।
যেমন:–
  • পোলাজ: যে জমিতে সারাবছর চাষ হয়।
  • পরৌতি: যে জমি কিছুকাল চাষের পর উর্বরতা জন্য ফেলে রাখা হয়।
  • চাঁচর: যে জমি ৩, ৪ বছর পতিত রাখা হয়।
  • বনজার: কৃষি কাজের অনুপযুক্ত জমি।

প্রথম তিন প্রকার জমিকে উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে উত্তম-মধ্যম-অধম এই তিন ভাগে বিভক্ত করে উৎপাদিত শস্যের এক-তৃতীয়াংশ রাজস্ব হিসাবে স্থির করা হতো। নগদ টাকায় অথবা শস‍্যে রাজস্ব দেওয়া যেত।

গাল্লাবাখস বা বাটাই: রায়ত বা চাষী এবং সরকারের মধ্যে নির্দিষ্ট হারে ফসল ভাগাভাগি হতো। একতৃতীয়াংশ দিতে হতো সরকারকে।

0 মন্তব্যসমূহ