প্রাচীন ভারতের ইতিহাস;
১. প্রাচীন ভারতবর্ষের একমাত্র ঐতিহাসিক গ্রন্থ কি?
উঃ- রাজতরঙ্গিনী।
২. রাজতরঙ্গিনীর রচয়িতা কে?
উঃ- কলহন।
৩. রাজতরঙ্গিনীতে কোথাকার ইতিহাস বর্ণিত আছে?
উঃ- প্রাচীন কাশ্মীর রাজ্যের ইতিহাস বর্ণিত আছে।
৪. অশোকের শিলালিপি পাঠোদ্ধার করেন কে?
উঃ- প্রত্নতাত্ত্বিক জেম্স প্রিন্সেপ অশোকের শিলালিপি পাঠোদ্ধার করেন।
৫. এলাহাবাদ প্রশস্তি কে রচনা করেন?
উঃ- কবি হরিষেণ।
৬. এলাহাবাদ প্রশস্তি নামক অনুশাসনে কার শাসন বর্ণিত আছে?
উঃ- সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের।
৭. আইহোল প্রশস্তি কে রচনা করেন?
উঃ- কবি রবিকীর্তি।
৮. আইহোল প্রশস্তি নামক অনুশাসনে কার শাসন বর্নিত আছে?
উঃ- চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর।
৯. অর্থশাস্ত্র কে রচনা করেন?
উঃ- কৌটিল্য।
১০. হর্ষচরিত -এর রচয়িতা কে?
উঃ- কবি বাণভট্ট।
১১. রামচরিতের রচয়িতা কে?
উঃ- সন্ধ্যাকর নন্দী।
১২. বিক্রমাঙ্কদেবচরিতের রচয়িতা কে?
উঃ- কবি বিহ্লন।
১৩. ইন্ডিকা গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উঃ- মেগাস্থিনিস।
১৪. অল্-বেরুনী ভারত সম্বন্ধে যে গ্রন্তটি রচনা করেন সেটির নাম কি?
উঃ- তহকিক্-ই হিন্দ বা কিতাব-উল-হিন্দু।
১৫. হস্তিগুম্ফা লিপি কার আমলে লেখা হয়?
উঃ- কলিঙ্গরাজ খারবেলের আমলের।
১৬. জুনাগর শিলালিপি থেকে কার কথা জানা যায়?
উঃ- শকরাজ রুদ্রদামনের।
১৭. নাসিক শিলালিপি কার আমলে?
উঃ- সাতবাহনরাজ গৌতমীপুত্র সাতকর্ণীর।
১৮. ভারতে পুরাতন প্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে এমন দুটি জায়গার নাম লেখ?
উঃ- মাদ্রাজের চিঙ্গলপুট ও বিহারের মুঙ্গের জেলার নানা জায়গায়।
১৯. সভ্যতার অগ্রগতিতে মানুষ সর্বপ্রথম যে ধাতুটির ব্যবহার শুরু করে তার নাম কি?
উঃ- তামা।
২০. ভারতবর্ষের প্রাচীনতম সভ্যতার নাম কি?
উঃ- হরপ্পা সভ্যতা।
২১. কখন হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কার হয়?
উঃ- ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়।
২২. মহেঞ্জোদারো সভ্যতা কে আবিষ্কার করেন?
উঃ- রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৩. হরপ্পা সভ্যতা কে আবিষ্কার করেন?
উঃ- দয়ারাম সাহানী।
২৪. মহেঞ্জোদারো সভ্যতা কখন আবিষ্কার হয়?
উঃ- ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে।
২৫. হরপ্পা সভ্যতা কি ধরনের সভ্যতা?
উঃ- হরপ্পা সভ্যতা নগর-কেন্দ্রিক সভ্যতা।
২৬. সিন্ধু সভ্যতায় কোন ধাতুর প্রচলন ছিল না?
উঃ- সিন্ধু উপত্যকায় লোহার প্রচলন ছিল না।
২৭. আর্যদের প্রধান বাহন কি ছিল?
উঃ- ঘোড়া।
২৮. আর্যরা কখন ভারতে আসেন?
উঃ- আর্যরা খ্রিঃ পূঃ ২০০০ থেকে ১৫০০ অব্দের মধ্যে ভারতে আসে।
২৯. পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থের নাম কি?
উঃ- ঋকবেদ।
৩০. আর্যদের প্রাচীনতম গ্রন্থের নাম কি?
উঃ- আর্যদের প্রাচীনতম গ্রন্থ ঋকবেদ।
৩১. বেদ কি নামে পরিচিত?
উঃ- বেদ শ্রুতি নামে পরিচিত।
৩২. উপনিষদ কাকে বলে?
উঃ- বেদের শেষ ভাগ বা বেদান্তকে উপনিষদ বলে।
৩৩. বেদ শব্দের অর্থ কি?
উঃ- বেদ শব্দের অর্থ জ্ঞান।
৩৪. আর্য পরিবারের প্রধান বা কর্তা কে ছিলেন?
উঃ- পিতা।
৩৫. আর্যদের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ- কৃষিকাজ ও পশুপালন।
৩৬. আর্যদের ব্যবহৃত দুটি মুদ্রার নাম লেখ?
উঃ- নিষ্ক ও মনা।
৩৭. আর্যদের ধর্মাচরণের পথ কি ছিল?
উঃ- যজ্ঞ।
৩৮. প্রাচীন আর্যদের সময় গ্রামের প্রধানকে কি বলা হত?
উঃ- গ্রামণী।
৩৯. প্রাচীন আর্য রাজা কিসের দ্বারা রাজ্য পরিচালনা করতেন?
উঃ- সভা ও সমিতি নামে দুটি জন-পরিষদের সাহায্যে রাজ্য পরিচালনা করতেন।
৪০. জৈনধর্মের প্রথম তীর্থঙ্কর কে?
উঃ- ঋষভনাথ।
৪১. জৈন দের শেষ তীর্থঙ্করের নাম কি?
উঃ- বর্ধমান মহাবীর।
৪২. মহাবীর জৈনদের কত তম তীর্থঙ্কর?
উঃ- চব্বিশতম তীর্থঙ্কর।
৪৩. জৈনদের ২৩ তম তীর্থঙ্করের নাম কি?
উঃ- পার্শ্বনাথ।
৪৪. জৈনধর্মের প্রধান প্রবর্তক কে?
উঃ- বর্ধমান মহাবীর।
৪৫. জিন শব্দের অর্থ কি?
উঃ- রিপুজয়ী বা জিতেন্দ্রীয়।
৪৬. জৈন কাদের বলা হয়?
উঃ- মহাবীরের ধর্মাবলম্বীদের।
৪৭. তীর্থঙ্কর কাদের বলা হত?
উঃ- জৈন মহাপুরুষদের।
৪৮. মহাবীর দেহত্যাগ করেন কোথায়?
উঃ- বিহারের পাবা নামক স্থানে।
৪৯. জৈনদের একটি প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কি?
উঃ- দ্বাদশ অঙ্গ।
৫০. জৈনরা কোন কোন সম্প্রদায় বিভক্ত ছিল?
উঃ- জৈনরা শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল।
৫১. গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উঃ- গৌতম বুদ্ধ কপিলাবস্তুর লুম্বিনী উদ্যানে জন্মগ্রহণ করেন।
৫২. গৌতম বুদ্ধের গৃহত্যাগকে কি বলা হয়?
উঃ- গৌতম বুদ্ধের গৃহত্যাগকে বৌদ্ধশাস্ত্রে মহাভিনিষ্ক্রমণ বলা হয়েছে।
৫৩. গৌতমবুদ্ধ যে স্থানটিতে সিদ্ধিলাভ করেন সেটির বর্তমান নাম কি?
উঃ- বুদ্ধগয়া।
৫৪. বুদ্ধদেবের দেহত্যাগকে কি বলে?
উঃ- মহাপরিনির্বাণ।
৫৫. বুদ্ধদেব কোথায় মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন?
উঃ- বর্তমান উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার কুশীনগরে ৪০ বছর বয়সে।
৫৬. বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কি?
উঃ- ত্রিপিটক।
৫৭. ত্রিপিটক কোন ভাষায় রচিত?
উঃ- ত্রিপিটক পালি ভাষায় রচিত।
৫৮. ত্রিপিটক কার তত্ত্বাবধানে রচিত হয়?
উঃ- বুদ্ধের অন্যতম শিষ্য মহাকাশ্যপের।
৫৯. বুদ্ধের পূর্ব জন্মের কার্যাবলী কোন গ্রন্থে সংকলিত আছে?
উঃ- জাতক।
৬০. বৌদ্ধরা কোন কোন সম্প্রদায় বিভক্ত?
উঃ- বৌদ্ধরা মহাযান ও হীনযান সম্প্রদায়ে বিভক্ত।
৬১. মগধের হর্ষঙ্ক বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উঃ- বিম্বিসার।
৬২. বিম্বিসারের উপাধি কি ছিল?
উঃ- শৌণিক।
৬৩. অজাতশত্রুর উপাধি কি ছিল?
উঃ- কুনিক।
৬৪. পাটলিপুত্র নগরী কে স্থাপন করেন?
উঃ- উদয়ী।
৬৫. নন্দবংশ প্রতিষ্ঠা কে?
উঃ- মহাপদ্মনন্দ।
৬৬. নন্দ বংশের শেষ রাজার নাম কি?
উঃ- ধননন্দ।
৬৭. আলেকজান্ডার যখন ভারত আক্রমণ করেন তখন মগধের সিংহাসনে কে রাজত্ব করতেন?
উঃ- ধননন্দ।
৬৮. ভারতবর্ষের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট কে ছিলেন?
উঃ- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
৬৯. মৌর্যবংশ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
৭০. কার সাহায্যে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মগধের সিংহাসন দখল করেন?
উঃ- চাণক্যের।
৭১. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কখন সিংহাসনে বসেন?
উঃ- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে বসেন।
৭২. কখন মেগাস্থিনিস এদেশে আসেন?
উঃ- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকালে মেগাস্থিনিস এদেশে আসেন।
৭৩. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কোন ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন?
উঃ- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে জৈন ধর্মের দীক্ষা গ্রহণ করেন।
৭৪. বিন্দুসার কি উপাধি নেন?
উঃ- অমিত্রঘাত।
৭৫. মৌর্যবংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কে?
উঃ- অশোক।
৭৬. অশোক কখন সিংহাসনে বসেন?
উঃ- অশোক ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে বসেন।
৭৭. অশোকের রাজ্যাভিষেক কখন হয়?
উঃ- ২৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অশোকের রাজ্যাভিষেক হয়।
৭৮. প্রিয়দর্শী উপাধি কে গ্রহণ করেন?
উঃ- সম্রাট অশোক প্রিয়দর্শী উপাধি গ্রহণ করেন।
৭৯. সম্রাট অশোকের রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ- পাটলিপুত্র।
৮০. অশোক কার কাছে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নেন?
উঃ- বৌদ্ধভিকু উপগুপ্তের কাছে অশোক বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নেন।
৮১. মৌর্য বংশের শেষ সম্রাটের নাম কি?
উঃ- বৃহদ্রথ।
৮২. শুঙ্গ বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উঃ- পুষ্যমিত্র শুঙ্গ।
৮৩. আলেকজান্ডার কখন ভারত আক্রমণ করেন?
উঃ- ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
৮৪. কে আলেকজান্ডারের বশ্যতা স্বীকার করেছিলেন?
উঃ- তক্ষশিলার শাসক রাজা অম্ভি।
৮৫. হিদাস্পিসের যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল?
উঃ- আলেকজান্ডার ও পুরুর।
৮৬. কখন আলেকজান্ডারের সঙ্গে পুরুর যুদ্ধ হয়েছিল?
উঃ- ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
৮৭. মেগাস্থিনিস কে ছিলেন?
উঃ- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় গ্রীক দূত।
৮৮. মিনান্দার কে ছিলেন?
উঃ- ভারতে সর্বশ্রেষ্ঠ ইন্দো-গ্রীক রাজা।
৮৯. মিনান্দারের জন্ম কোথায় হয়?
উঃ- আলসান্দা দ্বীপের কালসাই গ্রামে।
৯০. ইন্দো-গ্রীক রাজা মিনান্দার কোন ধর্ম গ্রহণ করেন?
উঃ- বৌদ্ধধর্ম।
৯১. মিলিন্দপঞহ কার লেখা?
উঃ- নাগসেন।
৯২. কুষাণরা কোন জাতির অন্তর্গত?
উঃ- ইউ-চি জাতি।
৯৩. ভারতে কুষাণদের শ্রেষ্ঠ রাজা কে?
উঃ- কণিষ্ক।
৯৪. কণিষ্ক কখন সিংহাসনে বসেন?
উঃ- ৭৮ খ্রিস্টাব্দে।
৯৫. কণিষ্কের রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ- পুরুষপুর বর্তমান পেশোয়ার।
৯৬. শকাব্দ কে প্রচলন করেন?
উঃ- কণিষ্ক।
৯৭. শকাব্দ কখন প্রচলন হয়?
উঃ- ৭৮ খ্রিস্টাব্দে।
৯৮. দ্বিতীয় অশোক কাকে বলে অভিহিত করা হয়?
উঃ- কুষাণ সম্রাট কণিষ্ককে।
৯৯. কনিষ্ক কোথায় বৌদ্ধ সঙ্গীতি আহ্বান করেছিলেন?
উঃ- কনিষ্ক কাশ্মীর, জলন্ধর, কান্দাহার ও পুরুষপুরে বৌদ্ধ সঙ্গীতি আহ্বান করেন।
১০০. চরক কে ছিলেন?
উঃ- কণিষ্কের শাসনকালে ভারতে সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক ছিলেন আয়ুর্বেদাচার্য চরক।
১০১. ভারতে চিকিৎসাশাস্তে অস্ত্রোপচার প্রচলন করেন কে?
উঃ- চরক।
১০২. বুদ্ধচরিত -এর রচয়িতা কে?
উঃ- কবি অশ্বঘোষ।
১০৩. অশ্বঘোষ কে ছিলেন?
উঃ- সম্রাট কণিষ্কের সভাকবি।
১০৪. নাগার্জুন কে ছিলেন?
উঃ- কণিষ্কের রাজসভায় শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ছিলেন নাগার্জুন।
১০৫. কুষাণ যুগের শ্রেষ্ঠ শিল্প কি?
উঃ- গান্ধার শিল্প।
১০৬. গান্ধার শিল্পরীতি কি ধরনের শিল্প?
উঃ- গ্রীক, রোমান ও ভারতীয় শিল্পরীতির সমন্বয়ে গঠিত একটি শিল্প।
১০৭. সাতবাহন বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি কে ছিলেন?
উঃ- গৌতমীপুত্র সাতকর্ণী।
১০৮. গুপ্তবংশ প্রতিষ্ঠা কে করেন?
উঃ- শ্রীগুপ্ত।
১০৯. প্রথম চন্দ্রগুপ্ত কখন সিংহাসনে বসেন?
উঃ- ৩২০ খ্রিস্টাব্দে।
১১০. গুপ্তাব্দ প্রচলন হয় কখন থেকে?
উঃ- ৩২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে।
১১১. সমুদ্রগুপ্তের মাতার নাম কি?
উঃ- কুমারদেবী।
১১২. কে পরাক্রমা উপাধি গ্রহণ করেন?
উঃ- সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত।
১১৩. ভারতের নেপোলিয়ন কাকে বলা হয়?
উঃ- সম্রাট সমুদ্রগুপ্তকে।
১১৪. কবিরাজ উপাধিতে ভূষিত হন কে?
উঃ- সমুদ্রগুপ্ত।
১১৫. সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের রাজ্যবিজয় কাহিনী বিবৃত আছে কোথায়?
উঃ- এলাহাবাদ প্রশস্তিতে।
১১৬. সমুদ্রগুপ্তের সভাকবির নাম কি?
উঃ- হরিষেণ।
১১৭. বিক্রমাদিত্য উপাধি কে গ্রহণ করেন?
উঃ- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
১১৮. কে শকারি উপাধি গ্রহণ করেন?
উঃ- সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
১১৯. ফা-হিয়েন কখন ভারতে আসেন?
উঃ- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে।
১২০. ফা-হিয়েন -এর ভারতবিষয়ক ভ্রমণ কাহিনীটির নাম কি?
উঃ- ফো-কুয়ো-কিং।
১২১. হন আক্রমণ প্রতিহত করেন কে?
উঃ- সম্রাট স্কন্দগুপ্ত।
১২২. কোন সময়কে সুবর্ণযুগ বলা হয়?
উঃ- প্রাচীন ভারতে গুপ্তবংশের শাসনকালকে সুবর্ণযুগ বলা হয়।
১২৩. গুপ্তযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক কে ছিলেন?
উঃ- চিকিৎসা-বিজ্ঞানের কিংবদন্তী ধন্বন্তরী।
১২৪. ভারতে প্রবেশকারী হুণরা কি নামে পরিচিত?
উঃ- শ্বেতহুণ।
১২৫. কখন তোরমানের নেতৃত্বে ভারতে প্রথম হুণ আক্রমণ হয়েছিল?
উঃ- স্কন্দগুপ্তের মৃত্যুর পর।
১২৬. ভারতে সবচেয়ে দূর্ধর্ষ হুণ নায়কটির নাম কি?
উঃ- মিহিরকুল বা মিহিরগুল।
১২৭. হুণ-নায়ক মিহিরগুলের রাজধানীর নাম কি?
উঃ- শাকল বর্তমান শিয়ালকোট।
১২৮. ভারতের এ্যাটিলা কাকে বলা হয়?
উঃ- মিহিরগুল।
১২৯. বাংলার প্রথম সার্বভৌম নরপতির নাম কি?
উঃ- শশাঙ্ক।
১৩০. শশাঙ্কের রাজধানীর নাম কি?
উঃ- কর্ণসুবর্ণ।
১৩১. শশাঙ্ক কার উপাসক ছিলেন?
উঃ- শিবের।
১৩২. পুষ্যভৃতি রাজাদের রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ- থানেশ্বর।
১৩৩. হর্ষবর্ধন সিংহাসনে আরোহণ করেন কখন?
উঃ- ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে।
১৩৪. হর্ষবর্ধন কোথায় তাঁর রাজধানী স্থানান্তরিত করেছিল?
উঃ- কনৌজে।
১৩৫. শিলাদিত্য উপাধি কে গ্রহণ করেন?
উঃ- হর্ষবর্ধন।
১৩৬. কাকে সকলোত্তরাপথনাথ বলা হত?
উঃ- হর্ষবর্ধনকে।
১৩৭. হর্ষচরিত -এর রচয়িতা কে?
উঃ- বাণভট্ট।
১৩৮. দক্ষিণ ভারতে কোন রাজার কাছে হর্ষবর্ধন পরাজিত হন?
উঃ- চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশী।
১৩৯. হর্ষবর্ধন রচিত নাটকগুলির নাম কি?
উঃ- নাগানন্দ, রত্নাবলী, প্রিয়দর্শিকা।
১৪০. কার রাজত্বকালে হিউয়েন সাঙ এদেশে আসেন?
উঃ- হর্ষবর্ধন।
১৪১. হিউয়েন-সাঙ -এর ভ্রমণ বৃত্তান্তটির নাম কি?
উঃ- সি-ইউ-কি।
১৪২. কে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন?
উঃ- হর্ষবর্ধন।
১৪৩. বাংলার পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উঃ- রাজা গোপাল।
১৪৪. বাংলার প্রথম নির্বাচিত রাজা কে?
উঃ- গোপাল।
১৪৫. কে বিক্রমশীল উপাধি গ্রহণ করেন?
উঃ- রাজা ধর্মপাল।
১৪৬. কৈবর্ত বিদ্রোহের নায়ক কে?
উঃ- দিব্য বা দিব্বোক।
১৪৭. বাংলার সেন বংশের শেষ রাজা কে?
উঃ- লক্ষণ সেন।
১৪৮. কোন তুর্কী বিজেতা নদীয়া অধিকার করেন?
উঃ- ইক্তিয়ারউদ্দীন মহম্মদ বিন বক্তিয়ার খলজী।
১৪৯. কল্যাণের চালুক্য বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট কে ছিলেন?
উঃ- ত্রিভুবনমল্ল বিক্রমাদিত্য বা ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্য।
১৫০. মিতাক্ষরা আইন রচনা করেন কে?
উঃ- শাস্ত্রজ্ঞ বিজ্ঞানেশ্বর।
১৫১. পল্লব বংশের শেষ রাজার নাম কি?
উঃ- অপরাজিত বর্মণ।
১৫২. চোল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজার নাম কি?
উঃ- রাজেন্দ্ৰ চোল।
১৫৩. কৌলিন্য -প্রথা প্রবর্তন করেন কে?
উঃ- বল্লাল সেন।
১৫৪. রামচরিত কে রচনা করেন?
উঃ- কবি সান্ধ্যকর নন্দী।
১৫৫. পাল যুগে বাংলার শ্রেষ্ঠ কবির নাম কি?
উঃ- সন্ধ্যাকর নন্দী।
১৫৬. দানসাগর গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উঃ- বল্লাল সেন।
১৫৭. গীতগোবিন্দ কে রচনা করেন?
উঃ- কবি জয়দেব।
১৫৮. পূর্ব ভারতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর জগৎ বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কি?
উঃ- বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৫৯. পাল যুগে বাংলার শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক কে ছিলেন?
উঃ- মনীষী চক্রপাণি দত্ত।
১৬০. পাল যুগের দু -জন শিল্পীর নাম লেখ?
উঃ- ধীমান ও তাঁর পুত্র বীতপাল।
১৬১. সেন যুগে বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ব্যক্তির নাম লেখ?
উঃ- শূলপাণি যিনি একাধারে শিল্পী ও স্মৃতিশাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন।
১৬২. পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণকার্য শুরু করেন কে?
উঃ- উড়িষ্যার গঙ্গ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা অনন্তবর্মণ চোড়গঙ্গ।
১৬৩. কোণারকের সূর্য মন্দিরটি নির্মাণ কে করেন?
উঃ- উড়িষ্যার রাজা প্রথম নরসিংহ।
১৬৪. পল্লব রাজাদের রথমন্দিরগুলি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- মহাবলিপুরমে অবস্থিত।
১৬৫. অতীশ দীপঙ্কর কে ছিলেন?
উঃ- মহাযান -পন্থী বৌদ্ধ পণ্ডিত। যিনি তিব্বতে বৌদ্ধধর্মের সংস্কার ও প্রসার করেন।
১৬৬. পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিষ্ণুমন্দিরের নাম কি?
উঃ- আঙ্করভাটের বিষ্ণুমন্দির।
১৬৭. সুমাত্রার শৈলেন্দ্ররাজাদের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পকীর্তি কি?
উঃ- বরোবুদুরের স্তূপ।
১৬৮. পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বলে অভিহিত করা হয় কাকে?
উঃ- বরোবুদুরের স্তূপকে।
0 মন্তব্যসমূহ