ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্য ও শেষ ভাগে ফ্রেডরিক এঙ্গেলসের সহযোগিতায় কার্ল মার্কস মানব ইতিহাসের জড়বাদী বিশ্লেষণ করে যে বিজ্ঞানসম্মত দার্শনিক তত্ত্ব উপস্থিত করেন, তাই মার্কসবাদ নামে পরিচিত।
মার্কসবাদের মূল সূত্র:
মার্কসবাদের মূল সূত্রগুলি হল-
দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ:
মার্কসের দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের মূল কথা হল এই জগৎ বস্তুময়। জগতের প্রতিটি বস্তু পরস্পর পরস্পরের উপর নির্ভরশীল এবং এই বস্তুজগৎ অচল নয়, তা সর্বদা পরিবর্তনশীল। এই দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের তিনটি মৌলিক নিয়ম হল– বৈপরীত্যের দ্বন্দ্ব, বস্তুর পরিমানগত পরিবর্তনের সঙ্গে গুণগত পরিবর্তন, নেতির নেতিকরণ বা অস্বীকৃতির অস্বীকৃতি।
বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন: দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ
ঐতিহাসিক বস্তুবাদ:
ঐতিহাসিক বস্তুবাদ সমাজ ও তার বিভিন্ন সংগঠনের বিকাশের ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করেই ক্ষান্ত হয় না, এই তত্ত্ব ভবিষ্যৎ সমাজব্যবস্থা কেমন হবে সেই সম্পর্কেও চিন্তাভাবনা করে।
ঐতিহাসিক বস্তুবাদ:
ঐতিহাসিক বস্তুবাদ সমাজ ও তার বিভিন্ন সংগঠনের বিকাশের ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করেই ক্ষান্ত হয় না, এই তত্ত্ব ভবিষ্যৎ সমাজব্যবস্থা কেমন হবে সেই সম্পর্কেও চিন্তাভাবনা করে।
বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন: ঐতিহাসিক বস্তুবাদ
উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব:
পুঁজিবাদী সমাজে পুঁজিবাদীরা যে পুঁজি তৈরি করে এবং শ্রমিককে শোষণ করে তার অন্যতম মাধ্যম হল উবৃত্ত মূল্য (Surplus value)। উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য থেকে যে বেশি পরিমাণ মূল্য শ্রমিককে দেওয়া হয় না, তাই হল উদ্বৃত্ত মূল্য।
শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্ব:
শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের মূল কথা হল আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত সমাজ ও সংগ্রাম দেখা গেছে তার প্রত্যেকটিতেই দুটি (মালিক এবং শ্রমিক) পরস্পরবিরোধী শ্রেণির অস্তিত্ব দেখা যায়। এর ফলে সর্বহারা শ্রেণির একনায়কত্ব শ্রেণিহীন ও পরে শোষণহীন সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্র সম্পর্কিত তত্ত্ব:
মার্কস মনে করেন, রাষ্ট্র হল শক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত একটি কৃত্রিম প্রতিষ্ঠান। শ্রেণিদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে সমাজে এক বিশেষ শক্তি হিসেবে মানুষই রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে।
উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব:
পুঁজিবাদী সমাজে পুঁজিবাদীরা যে পুঁজি তৈরি করে এবং শ্রমিককে শোষণ করে তার অন্যতম মাধ্যম হল উবৃত্ত মূল্য (Surplus value)। উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য থেকে যে বেশি পরিমাণ মূল্য শ্রমিককে দেওয়া হয় না, তাই হল উদ্বৃত্ত মূল্য।
শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্ব:
শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের মূল কথা হল আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত সমাজ ও সংগ্রাম দেখা গেছে তার প্রত্যেকটিতেই দুটি (মালিক এবং শ্রমিক) পরস্পরবিরোধী শ্রেণির অস্তিত্ব দেখা যায়। এর ফলে সর্বহারা শ্রেণির একনায়কত্ব শ্রেণিহীন ও পরে শোষণহীন সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্র সম্পর্কিত তত্ত্ব:
মার্কস মনে করেন, রাষ্ট্র হল শক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত একটি কৃত্রিম প্রতিষ্ঠান। শ্রেণিদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে সমাজে এক বিশেষ শক্তি হিসেবে মানুষই রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে।
বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন: রাষ্ট্র সম্পর্কে মার্কসীয় তত্ত্ব
বিপ্লব সংক্রান্ত তত্ত্ব:
মার্কসবাদ অনুযায়ী বিপ্লব হল এমন এক সামাজিক প্রক্রিয়া যার প্রভাবে পুরোনো সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করে তার ধ্বংসস্তূপের উপর নতুন সমাজ গড়ে তোলার জন্য সমাজে বিপ্লব ঘটে। শ্রেণি বৈষম্যমূলক সমাজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলেই বিপ্লব দেখা যায়।
মার্কসবাদের উপরোক্ত মূলসূত্র বা উপাদানগুলি বিশ্লেষণ করার পর এ কথা বলাবাহুল্য যে, বর্তমান দুনিয়ায় এখনও পর্যন্ত অভিশপ্ত মেহনতি গরিব, শ্রমজীবী মানুষের দুঃখকষ্টের অভিশাপের কবল থেকে মুক্তির জন্য মার্কসবাদই হল বাঁচার একমাত্র পথ।
বিপ্লব সংক্রান্ত তত্ত্ব:
মার্কসবাদ অনুযায়ী বিপ্লব হল এমন এক সামাজিক প্রক্রিয়া যার প্রভাবে পুরোনো সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করে তার ধ্বংসস্তূপের উপর নতুন সমাজ গড়ে তোলার জন্য সমাজে বিপ্লব ঘটে। শ্রেণি বৈষম্যমূলক সমাজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলেই বিপ্লব দেখা যায়।
মার্কসবাদের উপরোক্ত মূলসূত্র বা উপাদানগুলি বিশ্লেষণ করার পর এ কথা বলাবাহুল্য যে, বর্তমান দুনিয়ায় এখনও পর্যন্ত অভিশপ্ত মেহনতি গরিব, শ্রমজীবী মানুষের দুঃখকষ্টের অভিশাপের কবল থেকে মুক্তির জন্য মার্কসবাদই হল বাঁচার একমাত্র পথ।
0 মন্তব্যসমূহ