পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সৃষ্ঠ একপ্রকার বল পৃথিবীর উপর কোনো গতিশীল বস্তুর দিকের বিক্ষেপ ঘটায়, তাকে 'কোরিওলিস বল' বলে।
বিজ্ঞানী GD Coriolis ১৮৩৫ সালে সর্বপ্রথম এই বিক্ষেপ বলের কথা বলেন। তাঁর নামানুসারে বলটিকে কোরিওলিস বল বলা হয়।কোরিওলিস বলের বৈশিষ্ট্য:
- এই বলের মান নিরক্ষরেখায় সবথেকে কম (শূন্য) এবং মেরুতে সবথেকে বেশি।
- এই বল গতির অভিমুখের সমকোণে কাজ করে।
- বস্তুর গতিবেগ যত বাড়ে এই বিক্ষেপ বলও বাড়তে থাকে।
- এই গতিশীল বস্তুর দিক বিক্ষেপ করলেও গতিবেগের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
কোরিওলিস বলের প্রভাব:
- এই বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে চলাচলের সময় সোজাপথে প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়, যা ফেরেল সূত্র নামে পরিচিত।
- কোরিওলিস বলের প্রভাব নিরক্ষরেখায় সবথেকে কম ও দুই মেরুতে সর্বাধিক হয়।
0 মন্তব্যসমূহ