ভারতের সংবিধান প্রণেতাগণ সংবিধানের দ্বাদশ অধ্যায়ের অন্তর্গত (Part XII) ২৬৪ নং ধারা থেকে ২৯৩ নং ধারায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের আয়ের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
সংবিধান রচয়িতারা কেন্দ্র ও রাজ্যের আয়ের উৎসগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন —
- কেন্দ্রীয় তালিকা।
- রাজ্য তালিকা।
কেন্দ্রীয় তালিকা:
সংবিধানে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ের উৎস হিসাবে ১৩ টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।
যেমন— কোম্পানি কর, আমদানি-রপ্তানি শুল্ক, সম্পত্তি কর, আয়কর, রিজার্ভ ব্যাংক থেকে আয় প্রভৃতি। কেন্দ্র তালিকাভুক্ত বিষয়গুলি থেকে প্রাপ্ত আয় কেন্দ্র এককভাবে ভোগ করে না। কখনো প্রাপ্ত আয়ের সমগ্র অংশ বা আয়ের কিছু অংশ রাজ্যগুলিকে প্রদান করতে হয়।
কতগুলি বিষয়ের ওপর কেন্দ্র কর ধার্য করে কিন্তু কর সংগ্রহ ও ভোগ করে রাজ্য সরকার।
যেমন — স্ট্যাম্প ডিউটি, ঔষধপত্র ও প্রসাধনের ওপর ধার্য কর প্রভৃতি (২৬৮ ধারা)।
যেমন — সম্পত্তি কর, সংবাদপা ও বিজ্ঞাপন কর প্রভৃতি (২৬৯ ধারা)।
যেমন — আয়কর ২৭০ নং ধারা।
যেমন — বাণিজ্য শুল্কক, কোম্পানি কর প্রভৃতি ২৭১ নং ধারা।
রাজ্য তালিকা: সংবিধানে রাজ্য সরকারের আয়ের উৎস হিসাবে ১৯ টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।
যেমন — ভূমিরাজস্ব কর, যানবাহন কর, মাদক দ্রব্যের ওপর ধার্য কর প্রভৃতি। রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয়ে রাজ্যগুলি কর ধার্য, সংগ্রহ ও ভোগ করে।
কেন্দ্রের প্রাধান্য:
আর্থিক ক্ষমতা বণ্টনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাধান্য আরো সুদৃঢ় হয়েছে।
যেসমস্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের প্রাধান্য বিস্তৃত হয়েছে সেগুলি হল —
অনুদান: সংবিধানের ২৭৫ নং ধারা অনুসারে রাজ্যগুলির আর্থিক ঘাটতি মেটানোর জন্য এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ণের জন্য কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে অনুদান দেয়। অনুদান দু-ধরনের হয়ে থাকে,
যথা—
সংবিধিবদ্ধ অনুদান: ২৭৫ নং ধারায় দরিদ্র রাজ্যগুলিকে (প্রতিটি রাজ্য নয়) সংবিধিবদ্ধ অনুদানের বিধান করে৷ এগুলি ভারতের একত্রিত তহবিলে চার্জ করা হয়। এই ধরনের অনুদানগুলি তফসিলি উপজাতিদের কল্যাণ প্রচার করে৷ এই অনুদানের ভিত্তি হল অর্থ কমিশনের সুপারিশ।
ঋণ গ্রহণ: সংবিধানের ২৯২ নং ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজন মনে করলে দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্র থেকে অথবা বৈদেশিক ক্ষেত্র থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ২৯৩ ধারা অনুযায়ী রাজ্য সরকারগুলি কেবলমাত্র দেশের ভেতর থেকেই ঋণ গ্রহণ করতে পারে।
কতগুলি বিষয়ের ওপর কেন্দ্র কর ধার্য ও সংগ্রহ করে কিন্তু সংগৃহ রাজ্যগুলির মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়।
যেমন — সম্পত্তি কর, সংবাদপা ও বিজ্ঞাপন কর প্রভৃতি (২৬৯ ধারা)।
কতগুলি বিষয়ের ওপর কেন্দ্র কর ধার্য ও সংগ্রহ করে থাকলেও এই সংগৃহীত কর কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বণ্টিত হয়।
যেমন — আয়কর ২৭০ নং ধারা।
কতগুলি বিষয়ের ওপর কেন্দ্র কর ধার্য ও সংগ্রহ করে এবং সংগৃহীত কর এককভাবেই ভোগ করে।
যেমন — বাণিজ্য শুল্কক, কোম্পানি কর প্রভৃতি ২৭১ নং ধারা।
রাজ্য তালিকা: সংবিধানে রাজ্য সরকারের আয়ের উৎস হিসাবে ১৯ টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।
যেমন — ভূমিরাজস্ব কর, যানবাহন কর, মাদক দ্রব্যের ওপর ধার্য কর প্রভৃতি। রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয়ে রাজ্যগুলি কর ধার্য, সংগ্রহ ও ভোগ করে।
কেন্দ্রের প্রাধান্য:
আর্থিক ক্ষমতা বণ্টনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাধান্য আরো সুদৃঢ় হয়েছে।
যেসমস্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের প্রাধান্য বিস্তৃত হয়েছে সেগুলি হল —
অনুদান: সংবিধানের ২৭৫ নং ধারা অনুসারে রাজ্যগুলির আর্থিক ঘাটতি মেটানোর জন্য এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ণের জন্য কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে অনুদান দেয়। অনুদান দু-ধরনের হয়ে থাকে,
যথা—
- সাধারণ অনুদান (General Grant)।
- স্ববিবেচনামূলক অনুদান (Specific Grant)।
সংবিধিবদ্ধ অনুদান: ২৭৫ নং ধারায় দরিদ্র রাজ্যগুলিকে (প্রতিটি রাজ্য নয়) সংবিধিবদ্ধ অনুদানের বিধান করে৷ এগুলি ভারতের একত্রিত তহবিলে চার্জ করা হয়। এই ধরনের অনুদানগুলি তফসিলি উপজাতিদের কল্যাণ প্রচার করে৷ এই অনুদানের ভিত্তি হল অর্থ কমিশনের সুপারিশ।
ঋণ গ্রহণ: সংবিধানের ২৯২ নং ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজন মনে করলে দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্র থেকে অথবা বৈদেশিক ক্ষেত্র থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ২৯৩ ধারা অনুযায়ী রাজ্য সরকারগুলি কেবলমাত্র দেশের ভেতর থেকেই ঋণ গ্রহণ করতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ