মোহিনীআট্টম নৃত্যের উৎপত্তি:
কথিত আছে পৌরাণিক গল্পে, সমুদ্র মন্থনের সময় দেবতা ও অসুরের মধ্যে অমৃত লাভের উদ্দেশে যে যুদ্ধ হয়, সেই সময় বিষ্ণু স্ত্রী রূপে মোহিনী রূপ ধারণ করেন। মোহিনীর পায়ের ঘুঙুরের আওয়াজ থেকে এই নৃত্যের সৃষ্টি হয়েছিল।এছাড়া ভষ্মাসুর তপস্যা করে শিবের কাছে বরদান চেয়েছিলেন যাকেই সে ছোবে সে ভষ্ম হয়ে যাবে, এমনসময় মহাবিপদ দেখা দেয়, তখনও বিষ্ণু মোহিনী রূপ ধারন করেন এবং ভষ্মাসুরকে নৃত্য করাতে থাকে। নৃত্য করতে করতে মোহিনীর ছলনায় ভষ্মাসুর নিজের মস্তকে স্পর্শ করে এবং নিজেই ভষ্ম হয়ে যায়। এখানে মোহিনী নৃত্যের কথা কথিত আছে।
মোহিনীআট্টম নৃত্যের অর্থ:
মোহিনী কথার অর্থ 'সুন্দরী নারী', আট্টম অর্থাৎ 'নৃত্য'। অথবা নারী সুলভ চেহারার যে ভঙ্গিমা।
মোহিনীআট্টম নৃত্যের বৈশিষ্ট্য:
- ভারতনাট্যমের মতো যতিস্বরম, বর্ণম, পদম, কীর্তনম, তিলানাও মোহিনীআট্টমে আছে।
- মোহিনীআট্টম শৃঙ্গার প্রধান ও লাস্যাঙ্গের নৃত্য। কিন্তু এই নৃত্যের ভঙ্গিমা আরও পেলব ও কমনীয়।
মোহিনীআট্টম নৃত্যের পোষাক:
কেরালার কাসাবুল, শাড়ির রং সাদা ও জরির পার দেওয়া। কোমরে কুঁচি দেওয়া ঘাগড়া থাকে এবং ব্লাউজের ওপর কুঁচি দেওয়া আঁচল থাকে, মাথায় থাকে পুষ্পসজ্জিত খোঁজা। কানে, গলায়, কোমরে, ও হাতে সোনার গহনা। কপালে টিপ লাল রঙের, তাহা সূর্যের প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তার উপরে থাকে চন্দনের রেখা যা চাঁদের সুষমার প্রতীক।
মোহিনীআট্টম নৃত্যের প্রতিথযশা শিল্পী:
শান্তা রাও, কনক রেলে, জয়শী সুন্দকুর, ভারতী শিবাজী, কল্যাণী আম্মা।
কল্যাণী আম্মাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে এনেছিলেন এই নৃত্য শেখানোর জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ