ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের প্রথমদিকে শিক্ষা বিস্তারের কোন আগ্রহ দেখায়নি। পরবর্তীকালে ভারতে শিক্ষা বিস্তারে যেসব উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা সবই ছিল তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য অর্থাৎ দেশবাসীকে কেরানি করে রাখার জন্য। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের শিক্ষা বিস্তারে যেসব পদক্ষেপ গুলি নিয়েছিল সেগুলি নিম্নের আলোচনা করা হলো:
চার্টার অ্যাক্ট,১৮১৩: ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ভারতে শিক্ষাখাতে প্রতিবছর ১ লক্ষ টাকা খরচ করার নির্দেশ দেয়।
● ১৮২৩ সাল পর্যন্ত কোনো অর্থ ব্যয় করা হয় না, তার প্রধান কারণ ছিল — শিক্ষানীতি নিয়ে ঐক্যমত ছিল না।
● ১৮২৩ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয় (General Committee on public instruction) - One group of members wanted to utilize the funds in the development of oriental education i.e. Sanskrit and Arabic/Persian. তাদেরকে বলা হত “Orientalist".
● যেমন- H. T. Princep এবং H. H. Wilson. The other group known as 1970 'Anglicist' was more in favour of English education.
চার্টার অ্যাক্ট,১৮৩৩: শিক্ষা খাতে খরচ বাড়িয়ে প্রতিবছর ১০ লক্ষ টাকা করা হয়।
মেকলের মিনিট (মেকলের প্রতিবেদন):
● মেকলে ছিলেন ব্রিটিশ আইনসভার সদস্য।
● ১৮৩৫ সালে মেকলে ভারতে সরকারি খরচে পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। ভারতে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষা বিস্তৃত হলে তা ক্রমে সমাজের নীচু স্তরের মধ্যেও প্রসারিত হবে (Infiltration theory/চুইয়ে পড়া নীতি)।
● লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ২৮৩৫ সালের ৭ মার্চ মেকলের প্রতিবেদন আইনে পরিণত করেন।
● লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৮৪৪ সালে ঘোষণা করেন — ইংরেজি শিক্ষিত যুবকদের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উডের ডেসপ্যাচ,১৮৫৪: ১৮৫৪ সালে ১৯ জুলাই, বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড ‘উডের ডেসপ্যাচ' প্রকাশ করেছিলেন।
যাতে বলা হয়—
উডের ডেসপ্যাচকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ম্যাগনা কার্টা বলা।
হান্টার কমিশন,১৮৮২: প্রাথমিকে পাশ্চাত্য শিক্ষার ক্ষেত্রে সুপারিশ করে।
ভারতীয় সদস্য: কে টি তিলং, স্যার সৈয়দ আহমেদ প্রমুখ।
হান্টার কমিশন স্যার উইলিয়াম হান্টারের নেতৃত্বে Woods Despatch (১৮৫৪) -এর কার্যকারিতা ও প্রয়োগ দেখার জন্য লর্ড রিপনের সময় গঠিত হয়।
● লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ২৮৩৫ সালের ৭ মার্চ মেকলের প্রতিবেদন আইনে পরিণত করেন।
● লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৮৪৪ সালে ঘোষণা করেন — ইংরেজি শিক্ষিত যুবকদের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উডের ডেসপ্যাচ,১৮৫৪: ১৮৫৪ সালে ১৯ জুলাই, বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড ‘উডের ডেসপ্যাচ' প্রকাশ করেছিলেন।
যাতে বলা হয়—
- জনগণের শিক্ষার দায়িত্ব সরকারের এবং সেটি সুষ্ঠুভাবে রূপায়িত করতে হবে।
- প্রাথমিক ক্ষেত্রে মাতৃভাষায় ও উচ্চ শিক্ষায় ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার সুপারিশ করা হয়।
- প্রত্যেক রাজ্যে আলাদা শিক্ষা দপ্তর তৈরি করতে বলা হয়।
- কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বেতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়।
- শিক্ষকদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়।
- এই আইনে নারী শিক্ষার কথা বলা হয়।
উডের ডেসপ্যাচকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ম্যাগনা কার্টা বলা।
হান্টার কমিশন,১৮৮২: প্রাথমিকে পাশ্চাত্য শিক্ষার ক্ষেত্রে সুপারিশ করে।
ভারতীয় সদস্য: কে টি তিলং, স্যার সৈয়দ আহমেদ প্রমুখ।
হান্টার কমিশন স্যার উইলিয়াম হান্টারের নেতৃত্বে Woods Despatch (১৮৫৪) -এর কার্যকারিতা ও প্রয়োগ দেখার জন্য লর্ড রিপনের সময় গঠিত হয়।
র্যালে কমিশন (Releigh Commission): র্যালে কমিশন ১৯০২ সালে গঠিত হয়।
ভারতীয় সদস্য: গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৈয়দ হুসেন বিলগ্রামী। এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ১৯০৪ (The Indian Universities Act, ১৯০৪) তৈরি হয়।
স্যাডলার ইউনিভার্সিটি কমিশন, ১৯১৭-১৯:
ভারতীয় সদস্য স্যার আশুতোষ মুখার্জী ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই কমিশন গঠিত হলেও এর সুপারিশ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কমিশন গঠিত হলেও এ ছিল। এর অপর নাম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন।
এই কমিশনে সুপারিশগুলি হল—
- ১২ বছরের বিদ্যালয় শিক্ষা।
- বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পূর্বে ২ বছরের ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষা।
- স্নাতক ৩ বছরের।
- ফলিত বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার উপর নজর দেওয়া হয়।
হার্টগ কমিটি (Hartog Committee,১৯২৯):
চেয়ারম্যান — স্যার ফিলিপ হ্যারটগ। প্রাথমিক শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়।
ওয়ার্ধা পরিকল্পনা: চেয়ারম্যান — ডঃ জাকির হুসেন। জাতীয় কংগ্রেস ১৯৩৭ সালে ওয়ার্ধায় শিক্ষার জন্য জাতীয় সম্মেলনের আহ্বান করে। The main aim of basic education was learning through activities.
0 মন্তব্যসমূহ