● চতুর্যাম কি?
জৈন ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী মহাবীরের আগেও আরও তেইশ জন ব্যক্তি জৈনধর্ম প্রচার করেছিলেন। এঁদের বলা হত ‘তীর্থঙ্কর’ বা ধর্মগুরু। এঁদের প্রচারিত ধর্মের কিছু কিছু বাণী ও নির্দেশ মহাবীর গ্রহণ করেছিলেন। যেমন মহাবীরের পূর্ববর্তী তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ প্রচারিত ‘চতুর্যাম’ নীতি মহাবীর গ্রহণ করেন। যদিও এতে তিনি কিছু সংযোজন ঘটান। পার্শ্বনাথ প্রচারিত চারটি মূলনীতি ছিল—
(১) অহিংসা।
(২) মিথ্যা না - বলা।
(৩) চুরি না - করা (অচৌর্য)।
(৪) পরদ্রব্য গ্রহণ না করা (অপরিগ্রহ)।
এগুলি ‘চতুর্যাম’ নামে খ্যাত।
● পঞ্চমহাব্রত কি?
মহাবীর চতুর্যামের চারটি নীতি গ্রহণ করেন এবং এর সাথে আরও একটি নীতি যোগ করেন। এই পঞ্চম নীতিটি হল ‘ব্রহ্মচর্য’।
এই পাঁচটি নীতিকেই একসঙ্গে পঞ্চমহাব্রত বলা হয়।
‘পঞ্চমহাব্রত’ নামে খ্যাত এই পাঁচটি নীতিই হল জৈনধর্মের সার কথা।
● ত্রিরত্ন কি?
জৈন ধর্মে মনে করা হয় কর্মের বন্ধনই জীবকে অপবিত্র করে। কৃতকর্ম্মের ফল ভোগ করতেই জীবের পুনর্জন্ম ঘটে। এই কর্মবন্ধন ছিন্ন করতে পারলেই মানুষের বা জীবের মুক্তি ঘটবে। জৈন ধর্মের লক্ষ্যই হল এই ‘মোক্ষ’ বা ‘মুক্তিলাভ’।
মুক্তিলাভের জন্য জৈন ধর্মে—
● ত্রিরত্ন কি?
জৈন ধর্মে মনে করা হয় কর্মের বন্ধনই জীবকে অপবিত্র করে। কৃতকর্ম্মের ফল ভোগ করতেই জীবের পুনর্জন্ম ঘটে। এই কর্মবন্ধন ছিন্ন করতে পারলেই মানুষের বা জীবের মুক্তি ঘটবে। জৈন ধর্মের লক্ষ্যই হল এই ‘মোক্ষ’ বা ‘মুক্তিলাভ’।
মুক্তিলাভের জন্য জৈন ধর্মে—
(১) সৎ - বিশ্বাস।
(২) সৎ - জ্ঞান।
(৩) সদ - আচরণ।
এই তিনটি নীতি বা ত্রিরত্ন পালন করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
মোক্ষ লাভের এই তিনটি নীতিকেই ত্রিরত্ন বলা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ