ভারতের শক্তি সম্পদ:(energy resources of India).

সাধারণভাবে কাজ করার ক্ষমতাকেই শক্তি বলা হয়।


কোন সম্পদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যখন মানুষ তার বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে তখন তাকে শক্তি সম্পদ বলা হয়।

এই শক্তি সম্পদের মাথাপিছু ব্যবহারের ভিত্তিতে মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা করা যায়। শক্তি সম্পদের উৎস অনুযায়ী একে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

  • প্রচলিত শক্তি।
  • অপ্রচলিত শক্তি।

আমরা এবার এই দুই শক্তি সম্পর্কে ধারণা সম্পর্কে জেনে নেব।

প্রচলিত শক্তি সম্পদ যে সকল উৎস থেকে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হয় এবং যে সমস্ত উৎস গুলি দীর্ঘকাল ধরে শক্তি উৎপাদনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তাদের প্রচলিত শক্তি সম্পদ বলা হয়।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়,  কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ইউরেনিয়াম, পরমাণু হলাে শক্তি সম্পদের উদাহরণ।

পৃথিবীর মােট শক্তি সম্পদের ৩৮% খনিজ তেল থেকে ২৩ % কয়লা থেকে এবং ২৪ % আসে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে।


👉প্রচলিত শক্তির কিছু সুবিধা:-
বর্তমানে প্রচলিত শক্তি সম্পদ থেকে খুব সহজেই উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াই সহজ সরল প্রক্রিয়ায় শক্তির উৎপাদন সম্ভব হয়। প্রচলিত শক্তি সম্পদের উৎপাদন ব্যয় কম। প্রচলিত শক্তি সম্পদের অধিকাংশ গচ্ছিত এবং বস্তুগত সম্পদ তাই একসাথে বিপুল পরিমাণে শক্তি উৎপাদন সম্ভব হয়। কোন প্রচলিত শক্তি সম্পদের সঞ্চয়ের (একমাত্র জলবিদ্যুৎ ছাড়া) পরিমাণ কোন অঞ্চলে কম থাকলে তা অন্য অঞ্চল থেকে আমদানি করা যায়। প্রচলিত শক্তি সম্পদ থেকে শক্তি উৎপাদনের সময় পরিবেশ দূষিত হয়।


👉প্রচলিত শক্তির কিছু অসুবিধা:-
প্রচলিত শক্তি সম্পদের উৎস গুলি পুনর্নবীকরণযােগ্য নয়। এই কারণে এই সম্পদের ভাণ্ডার দিনে দিনে ফুরিয়ে যাচ্ছে। প্রচলিত শক্তি সম্পদ থেকে শক্তি উৎপাদনের সময় পরিবেশ দূষিত হয়। প্রচলিত শক্তি সম্পদের উৎস গুলি মূলত অবস্তুগত সম্পদ। ফলে এই সম্পদের বন্টন সর্বত্র সমান হয় না। কিছু নির্দিষ্ট স্থানে সম্পদ গুলাে পাওয়া যায়। প্রচলিত শক্তি সম্পদের আহরণ ব্যয় অনেক বেশি। অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ শক্তি উৎপাদনে যে সমস্ত সম্পদ কম পরিমাণে ব্যবহৃত হয় না যে সম্পদগুলাে থেকে শক্তি উৎপাদনের প্রচলন এখনাে সেই ভাবে শুরু হয়নি তাদের অপ্রচলিত শক্তি বলা হয়।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়,  সূর্য, বায়ু, তাপ, জোয়ার ভাটা, সমুদ্র তরঙ্গ প্রভৃতি হল অপ্রচলিত শক্তির উৎস।

👉অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারের কিছু সুবিধা:-
  • উৎসগুলি অত্যন্ত সহজলভ্য।
যেমন:-  আলাে, জল, বাতাস ইত্যাদি।

  • এগুলি স্থান সাপেক্ষ হয় না এবং পৃথিবীর সর্বত্রই পাওয়া যায়।
  • অপ্রচলিত শক্তির উৎস ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  • অপ্রচলিত শক্তির উৎস গুলি পুনর্নবীকরণযােগ্য তাই বারবার ব্যবহার করা সত্ত্বেও এর ভাণ্ডার শেষ হয় না।

👉অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারের কিছু অসুবিধা:-
  • অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ থেকে শক্তি উৎপাদনের প্রযুক্তি এবং কারিগরি বিদ্যা এখনাে পর্যন্ত সহজলভ্য নয়। অপ্রচলিত শক্তির উৎপাদন ব্যয় বেশি অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ সব জায়গায় সমানভাবে পাওয়া যায়। এই ঘাটতি পূরণের জন্য অন্য স্থান থেকে আমদানি করা যায় না।
যেমন - সূর্যালােক ও বায়ুপ্রবাহ।
  • অপ্রচলিত শক্তি থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় তার পরিমাণ খুবই সামান্য হয়।

👉শক্তির ব্যবহার:-
বর্তমান যুগের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত বাঁচতে পারব না। এই শক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
যেমন:- আলাে জ্বালানাে, পাখা, টিভি, ফ্রিজ, বাতানুকূল যন্ত্র রান্নার কাজে ইন্ডাকশন কুকার, মিক্সার প্রভৃতি বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার প্রয়ােজন হয়। টেলিফোন টেলিপ্রিন্টার, ফ্যাক্স, কম্পিউটার প্রভৃতি চালনায় প্রয়ােজন হয়। আধুনিক বিশ্বের বেশিরভাগ পরিবহন মাধ্যম বর্তমানে বিদ্যুৎ চালিত হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা পরিষেবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল বিদ্যুৎ। স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চালনায় বিদ্যুৎ প্রয়ােজন হয়। সিনেমা, থিয়েটার। বিনােদন মূলক ক্ষেত্রে বিদ্যুতের প্রয়ােজন অপরিসীম। হােটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল ও দোকানে বিদ্যুৎ ছাড়া কাজকর্ম চালানাে অসম্ভব।




➡️শক্তি ও সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর:-

১. সম্পদ কাকে বলে?
উঃ- মানুষের ব্যক্তিগত অথবা সামাজিক চাহিদা পূরনের উদ্দেশ্যে বিশেষ স্থানে বা কালে বস্তু বা অবস্তু যে কার্য সম্পাদন করে, তাকে সম্পদ বলে।

২. সম্পদ সৃষ্টির প্রধান উপাদানগুলি কি কি?
উঃ- প্রকৃতি, মানুষ ও সংস্কৃতি।

৩. কোন বস্তুর কাজ করার ক্ষমতাকে কি বলা হয়?
উঃ- কার্যকারিতা।

৪. কোন বস্তু বা অবস্তুর মানুষের চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতাকে কি বলে?
উঃ- উপযোগিতা।

৫. একজন বিখ্যাত সম্পদ সমীক্ষকের নাম লেখ?
উঃ- ই. ডব্লুউ জিমারম্যান।

৬. “World Resources and Industries” গ্রন্থটি কার লেখা?
উঃ- জিমারম্যান।

৭. সম্পদের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য কি কি?
উঃ- কার্যকারিতা ও উপযোগিতা।

৮. বসুন্ধরা সম্মেলন কবে কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ- 1992 খ্রীঃ, ব্রাজিলের রিওডিজেনিরো শহরে।

৯. যে সমস্ত বস্তু বা পদার্থ মানুষের কোন উপকারও করে না এবং অপকারও করেনা, তাদের কি বলে?
উঃ- নিরপেক্ষ উপাদান।

১০. অ্যান্টার্কটিকার ভূগর্ভে সঞ্চিত খনিজ পদার্থ কিসের উদাহরণ?
উঃনিরপেক্ষ উপাদান।

১১. সম্পদ সৃষ্টির অনুসারে সম্পদকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?
উঃ- তিন ভাগে,
যথা-প্রাকৃতিক সম্পদ মানবিক সম্পদ ও সাংস্কৃতিক সম্পদ।

১২. কয়েকটি প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- সূর্যরশ্মি, খনিজ পদার্থ, জল, বনভূমি, মৎস্য ইত্যাদি।

১৩. কয়েকটি মানবিক সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- শ্রমিকের কর্মদক্ষতা, মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতা।

১৪. কোন দেশের জনসংখ্যা বা মানুষ কী ধরনের সম্পদ?
উঃ- মানবিক সম্পদ।

১৫. মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি, শিক্ষা দীক্ষা, বিজ্ঞান চেতনা, প্রকৌশল-এগুলি কি ধরনের সম্পদ?
উঃ সাংস্কৃতিক সম্পদ।

১৬. সম্পদের জৈবিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে সম্পদকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?
উঃ- দুই ভাগে; যথা-জৈব সম্পদ ও অজৈব সম্পদ।

১৭. কয়েকটি জৈব সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- দুগ্ধ, পশম, মৎস্য ইত্যাদি।

১৮. কয়েকটি অজৈব সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- লৌহ আকরিক, জল ইত্যাদি।

১৯. সম্পদের মালিকানা অনুসারে সম্পদকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?
উঃ- চার ভাগে; যথা-ব্যক্তিগত সম্পদ, সামাজিক সম্পদ, জাতীয় সম্পদ, আন্তর্জাতিক সম্পদ।

২০. বিদ্যালয়, পাঠাগার, হাসপাতাল-এগুলি কি ধরনের সম্পদ?
উঃ- সামাজিক সম্পদ।

২১. কোন দেশের নদ-নদী কী ধরনের সম্পদ?
উঃ- জাতীয় সম্পদ।

২২. বায়ুমণ্ডল ও মহাসাগর কি ধরনের সম্পদ?
উঃ- আন্তর্জাতিক সম্পদ।

২৩. সম্পদের বন্টন বা অবস্থান অনুসারে সম্পদকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?
উঃ- চার ভাগে,
যথা-সর্বত্র প্রাপ্তব্য সম্পদ, সহজলভ্য সম্পদ, দুষ্প্রাপ্য সম্পদ, অদ্বিতীয় সম্পদ।

২৪. সূর্যালোক ও বায়ুপ্রবাহ কি ধরনের সম্পদ?
উঃ- সর্বত্র প্রাপ্তব্য সম্পদ।

২৫. মালয়েশিয়ার টিন ও ভারতের অভ্র কী ধরনের সম্পদ?
উঃ- দুষ্প্রাপ্য সম্পদ।

২৬. একটি অদ্বিতীয় সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- গ্রীণল্যান্ডের ক্রায়োলাইট।

২৭)কয়েকটি সহজ লভ্য সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- কৃষিজমি, বনভূমি, মৃত্তিকা ইত্যাদি।

২৮. কয়েকটি বস্তুগত সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- কয়লা, লৌহ আকরিক, ঘরবাড়ি ইত্যাদি।

২৯. কয়েকটি অবস্তুগত সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- শিক্ষা, জ্ঞান বুদ্ধি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ইত্যাদি।

৩০. কেনিয়া ও কঙ্গোর সম্ভাব্য জলবিদ্যুৎ কি ধরনের সম্পদ?
উঃ- সম্ভাব্য সম্পদ।

৩১. দুটি বিকশিত সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জলবিদ্যুৎ, ভারতের তাপবিদ্যুৎ।

৩২. যে সমস্ত সম্পদ বারবার ব্যবহার করার ফলে নিঃশেষিত যায়, তাদের কি ধরনের সম্পদ বলা হয়?
উঃ- অপুনর্ভব বা ক্ষয়িষ্ণু সম্পদ।

৩৩. কয়েকটি  অপুনর্ভব বা ক্ষয়িষ্ণু সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- কয়লা, খনিজ তেল, লৌহ আকরিক ইত্যাদি খনিজ সম্পদ।

৩৪. অবাধ সম্পদ বা প্রবাহমান সম্পদ কাকে বলে?
উঃ- যে সমস্ত সম্পদ পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করার পরেও ফুরিয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই, তাদের অবাধ সম্পদ বা প্রবাহমান সম্পদ বলা হয়।


৩৫. কয়েকটি অবাধ সম্পদ বা প্রবাহমান সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- সূর্যকিরণ, বায়ুপ্রবাহ, জলস্রোত থেকে উৎপন্ন জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি।

৩৬. পুনর্ভব সম্পদ বা পূরনশীল সম্পদ বা অক্ষয়িষ্ণু সম্পদ কাকে বলে?
উঃ- যেসব সম্পদের যোগান সীমিত এবং বারবার ব্যবহারের ফলে সাময়িকভাবে হ্রাস পায়, কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর পুনরায় যোগান বৃদ্ধি পায় ও ক্ষয় পূরণ হয়ে যায়, পুনর্ভব সম্পদ বা পূরনশীল সম্পদ বা অক্ষয়িষ্ণু সম্পদ বলা হয়।

৩৭. কয়েকটি পুনর্ভব সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- বনভূমি, মাটির উর্বরতা, মৎস্য ক্ষেত্রের মাছ ইত্যাদি।

৩৮. রুদ্ধ প্রবাহমান সম্পদ কাকে বলে?
উঃ- যে সমস্ত পুনর্ভব সম্পদ অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে একসময় নিঃশেষিত হয়ে অপুনর্ভব সম্পদে পরিণত হয়, তাকে রুদ্ধ প্রবাহমান সম্পদ বলা হয়।

৩৯. আবর্তনীয় গচ্ছিত সম্পদ কাকে বলে?
উঃ- যে সমস্ত অপুনর্ভব সম্পদকে সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যায়, আবর্তনীয় গচ্ছিত সম্পদ বলা হয়।

৪০. আবর্তনীয় গচ্ছিত সম্পদ কাকে বলে?
উঃ- ছাঁট লোহা বা স্ক্রাপ লোহাকে আবর্তনীয় গচ্ছিত সম্পদ বলে।

৪১. সম্পদ সৃষ্টিতে মানুষ কি ধরনের ভূমিকা গ্রহণ করে?
উঃ- দ্বৈত ভূমিকা।


৪২. খনিজ দ্রব্য কাকে বলে?
উঃ- ভূপৃষ্ঠের উপর ও নীচ থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন এবং প্রায় একই উপাদানে গঠিত যেসব দ্রব্য আহরণ করা হয়, তাদের খনিজ দ্রব্য বলে।

৪৩. লৌহ আকরিক কি ধরনের সম্পদ?
উঃ- লৌহ আকরিক অপুনর্ভব, ক্ষয়িষ্ণু, গচ্ছিত ধাতব খনিজ সম্পদ।
৪৪. আকরিক লোহা কাকে বলে?
উঃ- প্রকৃতির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অবাঞ্চিত পদার্থ মিশ্রিত অবস্থায়  যে লোহা অবস্থান করে, তাকে আকরিক লোহা বলে।

৪৫. লোহার সঙ্গে কোন কোন ধাতু মিশিয়ে ইস্পাত তৈরি করা হয়?
উঃ- ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি।

৪৬. ব্লাস্ট ফার্নেসে লৌহ আকরিক গলিয়ে পরিস্রুত লোহা বা পিগ আয়রন প্রস্তুতির সময় কোন কোন খনিজ পদার্থ মেশানো হয়?
উঃ- চুনাপাথর ও ডলোমাইট।

৪৭. আকরিক লোহাকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় এবং কি কি?
উঃ- আকরিকের মধ্যে লোহার পরিমাণ অনুসারে কে চার ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-ম্যাগনেটাইট, হেমাটাইট, লিমোনাইট ও সিডেরাইট।

৪৮. সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট মানের লৌহ আকরিকের নাম কি?
উঃ- ম্যাগনেটাইট।

৪৯. ম্যাগনেটাইট লৌহ আকরিক লোহার পরিমাণ কত থাকে?
উঃ- 70%-72%.

৫০. হেমাটাইট লৌহ আকরিক লোহার পরিমাণ কত থাকে?
উঃ- 70% বা তার কম।

৫১. লিমোনাইট লৌহ আকরিক লোহার পরিমাণ কত থাকে?
উঃ- প্রায় 60%.

৫২. সিডেরাইট লৌহ আকরিক লোহার পরিমাণ কত থাকে?
উঃ- প্রায় 48%।

৫৩. ভারতের অধিকাংশ লৌহ আকরিক কি ধরনের?
উঃ- হেমাটাইট।

৫৪. লৌহ আকরিক উৎপাদনে বর্তমানে ভারতের কোন রাজ্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- ওড়িশা।

৫৫. লৌহ আকরিক উৎপাদনে বর্তমানে ভারতের কোন রাজ্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে
উঃ- ছত্রিশগড়।

৫৬. লৌহ আকরিক উৎপাদনে বর্তমানে ভারতের কোন রাজ্য তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে
উঃ- ঝাড়খন্ড।

৫৭. উড়িষ্যার গুরুমহিষানি ও বাদাম পাহাড় কোন খনিজ পদার্থ উত্তোলনের জন্য বিখ্যাত?
উঃ- লৌহ আকরিক।

৫৮. বায়লাডিলা ও দাল্লিরাজহারা লৌহ খনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ছত্রিশগড়।

৫৯.  ভারত কোন কোন দেশে লৌহ আকরিক রপ্তানি করে?
উঃ- চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ইরান, পোল্যান্ড হাঙ্গেরি ইত্যাদি।

৬০.  কয়লা কি ধরনের সম্পদ?
উঃ- গচ্ছিত, অপুনর্ভব ও  ক্ষয়িষ্ণু শক্তি সম্পদ।

৬১. কি ধরনের শিলাস্তরে উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়?
উঃ- পাললিক শিলাস্তর।

৬২. কয়লাকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?
উঃ- কার্বনের পরিমাণ অনুসারে কয়লাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-অ্যানথ্রাসাইট, বিটুমিনাস, লিগনাইট ও পিট।

৬৩. সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট মানের কয়লার নাম কি?
উঃ- অ্যানথ্রাসাইট।

৬৪. অ্যানথ্রাসাইট কয়লায় কার্বনের পরিমাণ কত?
উঃ- প্রায় 90%।

৬৫. বিটুমিনাস কয়লায় কার্বনের পরিমাণ কত?
উঃ- প্রায় 50%-85%।

৬৬. লিগনাইট কয়লায় কার্বনের পরিমাণ কত?
উঃ- প্রায় 35%-50%।

৬৭. পিট কয়লায় কার্বনের পরিমাণ কত?
উঃ- 35% এর কম।

৬৮. কোন শ্রেণীর কয়লাকে বাদামি কয়লা বলা হয় ?
উঃ- লিগনাইট।

৬৯.  সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট মানের কয়লার নাম কি?
উঃ- পিট কয়লা।

৭০. কয়লা সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে কোন কয়লা সৃষ্টি হয়?
উঃ- পিট কয়লা।

৭১. কয়লায় কার্বন ছাড়া আর কোন কোন পদার্থ মিশ্রিত থাকে?
উঃ- অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, ফসফরাস, বেঞ্জিন, সালফার ইত্যাদি।

৭২. কালো হিরে কাকে বলা হয়?
উঃ- কয়লা।

৭৪.  কয়লার কয়েকটি উপজাত দ্রব্যের নাম লেখ?
উঃ- আলকাতরা, ক্রিয়োজোট, ন্যাপথালিন, স্যাকারিন, ফেনল, বেঞ্জল, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি।

৭৫. কীটনাশক ওষুধ তৈরিতে কয়লার কোন উপজাত দ্রব্য হয়?
উঃ- ক্রিয়োজোট, ন্যাপথালিন ও ফেনল।

৭৬. কয়লার কোন উপজাত দ্রব্য চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
উঃ- স্যাকারিন।

৭৭. ভারতের কি ধরনের কয়লা পাওয়া যায়?
উঃ- বিটুমিনাস।

৭৮. ভারতে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের কত শতাংশ কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদন করা হয়?
উঃ- প্রায় 75%।

৭৯. ভারতের কোথায় প্রথম কয়লা খনি আবিষ্কৃত হয়?
উঃ- পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার রানীগঞ্জ।

৮০. কয়লা উত্তোলনে কোন রাজ্য ভারতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- ঝাড়খন্ড।

৮১. কয়লা উত্তোলনে কোন রাজ্য ভারতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- ছত্রিশগড়।

৮২. কয়লা উত্তোলনে কোন রাজ্য ভারতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- ওড়িশা।

৮৩. ভারতের বৃহত্তম কয়লা খনি অঞ্চলের নাম কি?
উঃ- ঝড়িয়া।

৮৪.  ভারতের  বৃহত্তম লৌহখনির খনির নাম কি?
উঃ- বড়োজামদা।

৮৫. পৃথিবীর একক বৃহত্তম লৌহ খনির নাম কী?
উঃ- চিরিয়া‌।

৮৬. ভারতের প্রাচীনতম কয়লা খনি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- রানীগঞ্জ।

৮৭. পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম কয়লা খনি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- রাণাগঞ্জ।

৮৮. ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট কয়লা খনিটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- তামিলনাড়ুর নিভেলী।

৮৯. ভারতের কোন রাজ্যে উৎকৃষ্ট মানের অ্যানথ্রাসাইট কয়লা পাওয়া যায়?
উঃ- জম্মু ও কাশ্মীর।

৯০. কোরবা কয়লা খনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ছত্রিশগড়।

৯১. তালচের কয়লা খনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ওড়িশা।

৯২. ঝড়িয়া, বোকারো, গিরিডি ও ডালটনগঞ্জ কয়লা খনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ঝাড়খন্ড।

৯৩. পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন স্থানে কয়লা পাওয়া যায়?
উঃ- রানীগঞ্জ, মেজিয়া, আসানসোল, অন্ডাল, দিশেরগড়, সালতোড়, বড়জোড়া ইত্যাদি।

৯৪. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় টার্শিয়ারি যুগের কয়লা পাওয়া যায়?
উঃ- দার্জিলিং জেলার বাগড়াকোট ও তিনধারিয়া এবং কালিম্পং।

৯৫. নামচিক-নামফুক কয়লা খনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- অরুণাচল প্রদেশ।

৯৬. বোরজান ও তিয়েনসাং কয়লা খনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- নাগাল্যান্ড।

৯৭. খনিজ তেল কী ধরনের সম্পদ?
উঃ- গচ্ছিত, অপুনর্ভব ও ক্ষয়িষ্ণু খনিজ সম্পদ।

৯৮. অপরিশোধিত খনিজ তেলকে কী বলা হয়?
উঃ- ক্রুড অয়েল।

৯৯. কী ধরনের শিলাস্তরে খনিজ তেল অবস্থান করে?
উঃ- পাললিক শিলাস্তর।

১০০. খনিজ তেলের কয়েকটি উপজাত দ্রব্যের নাম লেখ?
উঃ- কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেল, লুব্রিকেটিং অয়েল, পিচ, ভেসলিন, প্যারাফিন, ন্যাপথা ইত্যাদি।

১০১. তরল সোনা কাকে বলা হয়?
উঃ- খনিজ তেল।

১০২. ভারতের প্রাচীনতম খনিজ তেল উৎপাদন কেন্দ্রের নাম কি?
উঃ- অসমের ডিগবয়।

১০৩.  আঙ্কেলেশ্বর তৈলখনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- গুজরাট।

১০৪. আলিয়াবেত তৈলখনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- গুজরাট।

১০৫. মঙ্গলা তৈলক্ষেত্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- রাজস্থান।

১০৬. ভারতের বৃহত্তম তৈল উৎপাদক অঞ্চলের নাম কি?
উঃ- মুম্বাই দরিয়া বা মুম্বাই হাই অঞ্চল।

১০৭. মুম্বাই দরিয়া বা মুম্বাই হাই অঞ্চলের কয়েকটি খনিজ তেল উত্তোলন কেন্দ্রের নাম লেখ?
উঃ- হিরা, পান্না, রত্না,গান্ধার, থুজা, নীলম ইত্যাদি।

১০৮. মুম্বাই দরিয়া বা মুম্বাই হাই অঞ্চলে কবে প্রথম খনিজ তেল উত্তোলন শুরু হয়?
উঃ- 1974 খ্রীঃ।

১০৯. সাগর সম্রাট ও সাগর বিকাশ কী?
উঃ- সাগর সম্রাট ও সাগর বিকাশ হলো মুম্বাই হাই বা মুম্বাই দরিয়া অঞ্চলে আরব সাগরের বুকে ভাসমান তৈল উত্তোলনকারী প্ল্যাটফর্ম।

১১০. ভারতের কোন রাজ্য খনিজ তেল উত্তোলনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- মহারাষ্ট্র।

১১১. ভারতের কোন রাজ্য খনিজ তেল উত্তোলনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- রাজস্থান।

১১২. ভারতে  প্রতিবছর উত্তোলিত খনিজ তেল দিয়ে দেশের মোট চাহিদার কত শতাংশ পূরণ করা যায়?
উঃ- 30 শতাংশ।

১১৩.  ভারত কোন কোন দেশ থেকে খনিজ তেল আমদানি করে?
উঃ- সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরাক,ইরান, নাইজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাহী, ভেনেজুয়েলা, কুয়েত ইত্যাদি।

১১৪. বর্তমানে ভারতে মোট কতগুলি খনিজ তেল শোধনাগার আছে?
উঃ- ২১টি।

১১৫. ভারতের বৃহত্তম খনিজ তেল শোধনাগার কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাটের জামনগর।

১১৬  পশ্চিমবঙ্গের কোথায় খনিজ তেল শোধনাগার আছে?
উঃ- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া।

১১৭. বঙ্গাইগাঁও খনিজ তৈল শোধনাগার কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- অসম।

১১৮. বিশাখাপত্তনম খনিজ তেল শোধনাগার কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- অন্ধ্রপ্রদেশ।

১১৯. নুমালিগড় খনিজ তেল শোধনাগার কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- অসম।

১২০. ভারতের কোন রাজ্য খনিজ তেল উত্তোলনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- গুজরাট।

১২১. ভারতের প্রচলিত শক্তি সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- তাপবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইত্যাদি।

১২২.  ভারতের কয়েকটি অপ্রচলিত শক্তি সম্পদের নাম লেখ?
উঃ- সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, ভূতাপ শক্তি, জোয়ার ভাটা শক্তি, জৈব গ্যাস শক্তি ইত্যাদি।

১২৩.  পশ্চিমবঙ্গের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম লেখ।
উঃ- কোলাঘাট, ব্যান্ডেল, টিটাগড়, সাঁওতালডিহি, দুর্গাপুর, ফারাক্কা ইত্যাদি।

১২৪. তাপবিদ্যুৎ বলতে কী বোঝো?
উঃ- কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, তাকে সাধারণভাবে তাপবিদ্যুৎ বলে।

১২৫. তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে ভারত পৃথিবীতে কততম স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- তৃতীয় স্থান।

১২৬. সিংগ্রাউলি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- উত্তর প্রদেশ।

১২৭. ওবরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- উত্তর প্রদেশ।

১২৮. বারমের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- রাজস্থান।

১২৯. কেইলং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- হিমাচল প্রদেশ।

১৩০. বারমিনা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- জম্মু ও কাশ্মীর।

১৩১. বদরপুর ও রাজঘাট কোন স্থানে অবস্থিত?
উঃ- দিল্লি।

১৩২. তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে ভারতের কোন রাজ্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- অন্ধ্রপ্রদেশ।

১৩৩. রামগুন্ডাম ও নেল্লোর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- অন্ধ্রপ্রদেশ।

১৩৪. জ্যোতি নগর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- অন্ধ্রপ্রদেশ।

১৩৫. ভারতের বৃহত্তম গ্যাস ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- অন্ধ্রপ্রদেশের সামারলাকোটা।

১৩৬. আথিপাট্টু ও কোট্টালাম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- তামিলনাড়ু।

১৩৭. নেভেলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- তামিলনাড়ু।

১৩৮. তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারতের কোন রাজ্যে বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছ?
উঃ- মহারাষ্ট্র।

১৩৯. উর্জানগর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- মহারাষ্ট্র।

১৪০. খাপেরখেদা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- মহারাষ্ট্র।

১৪১. ওয়ার্ধা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- মহারাষ্ট্র।

১৪২. খাপেরখেদা ও পারলি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- মহারাষ্ট্র।

১৪৩. তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে কোন রাজ্য বর্তমানে ভারতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- তামিলনাড়ু।

১৪৪. বিজয়নগর ও বেল্লারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- কর্ণাটক।

১৪৫. ভারতের বৃহত্তম ডিজেল ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- কর্ণাটকের এলাহাঙ্কা।

১৪৬. কোঝিকোড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- কেরালা।

১৪৭. ব্রম্ভপুরম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- কেরালা।

১৪৮. কোরবা ও অমরকন্টক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ছত্রিশগড়।

১৪৯. উকাই, গান্ধীনগর ও ধুবরান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- গুজরাট।

১৫০. সাতপুরা ও বিন্ধ্যাচল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- মধ্যপ্রদেশ।

১৫১. ভারতের বৃহত্তম কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- মধ্যপ্রদেশের বিন্ধ্যাচলে।

১৫২. জোয়ারিনগর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- গোয়া।

১৫৩. বোকারো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ঝাড়খন্ড।

১৫৪. পাত্রাতু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ঝাড়খন্ড।

১৫৫. চন্দ্রপুরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ঝাড়খন্ড।

১৫৬. তেনুঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ঝাড়খন্ড।

১৫৭. তালচের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- ওড়িশা।

১৫৮. বারাউনি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- বিহার।

১৫৯. লাকোয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- অসম।

১৬০. রানিপোল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- সিকিম।

১৬১. লেইমাথোং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- সিকিম।

১৬২. জলবিদ্যুৎ কাকে বলে?
উঃ- নদী, ঝর্ণা, জলপ্রপাত ইত্যাদি প্রবাহমান জলধারার বেগে টারবাইন চাকা ঘুরিয়ে ডায়নামোর সাহায্যে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, তাকে জলবিদ্যুৎ বলে।

১৬৩. সালাল জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- জম্মু ও কাশ্মীরের চন্দ্রভাগা বা চেনাব নদী।

১৬৪. নাপথা ঝকরি জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- হিমাচল প্রদেশে শতদ্রু নদী।

১৬৫. শ্রীশৈলম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর ওপর অবস্থিত?
উঃ- অন্ধ্র প্রদেশের কৃষ্ণা নদীর উপর।

১৬৬. নাগার্জুন সাগর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর ওপর অবস্থিত?
উঃ- অন্ধ্র প্রদেশের কৃষ্ণা নদীর উপর।

১৬৭. সর্দার সরোবর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- গুজরাটের নর্মদা নদী।

১৬৮. হীরাকুঁদ প্রকল্প কোন নদীর উপর অবস্থিত কোথায় অবস্থিত?
উঃ- উড়িষ্যায় মহানদীর উপর।

১৬৯. শিবসমুদ্রম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- কর্নাটকে কাবেরী নদীর উপর।

১৭০. ইড্ডিক্কি কেন্দ্র কোন নদীর উপর অবস্থিত নদী গুলির নাম?
উঃ- কেরালায় পেরিয়ার নদীর উপর।

১৭১. মেত্তুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- তামিলনাড়ুর কাবেরী নদী।

১৭২. পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম?
উঃ- ম্যাসাঞ্জোর, তিস্তা প্রকল্প, জলঢাকা প্রকল্প, ছোটরঙ্গিত, রাম্মাম, সিদ্রাপং, বালাসন ইত্যাদি।

১৭৩. রাম্মাম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার রাম্মাম নদী।

১৭৪. ভারতের কোথায় প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়?
উঃ- দার্জিলিংয়ের সিদ্রাপং।

১৭৫. ভাকরা নাঙ্গাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- হিমাচল প্রদেশে শতদ্রু নদীর।

১৭৬. তেহেরি কেন্দ্র কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- উত্তরাখণ্ডে ভাগীরথী নদী।

১৭৭. ইন্দিরা সাগর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- মধ্যপ্রদেশ নর্মদা নদী।

১৭৮. বানসাগর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর উপর অবস্থিত?
উঃ- মধ্যপ্রদেশের শোন নদীর।

১৭৯. পারমাণবিক শক্তি কাকে বলে?
উঃ- বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণু মধ্যস্থিত নিউক্লিয়াসের বিভাজন অথবা সংযোজন ঘটিয়ে যে শক্তি উৎপাদন করা হয়, পারমাণবিক শক্তি বলে।

১৮০. পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল গুলি কি কি?
উঃ- ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, প্লুটোনিয়াম, পোলোনিয়াম, লিথিয়াম, বোহরিয়াম ইত্যাদি।

১৮১. ভারতের কোথায় ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়?
উঃ- ঝাড়খন্ডের যদুগোড়া।

১৮২. থোরিয়ামের প্রধান আকরিকের নাম কি?
উঃ- মোনাজাইট বালি।

১৮৩. বর্তমানে ভারতে কতগুলি পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র আছে?
উঃ- 7টি।

১৮৪. ভারতের কোথায় প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপিত হয়?
উঃ- মহারাষ্ট্রের তারাপুর।

১৮৫. রাওয়াভাটা (কোটা) পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- রাজস্থান।

১৮৬. কৈগা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- কর্ণাটক।

১৮৭. নারোরা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- উত্তর প্রদেশ।

১৮৮. কাকড়াপাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- গুজরাট।

১৮৯. কুদানকুলান ও কালপক্কম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- তামিলনাড়ু।

১৯০. কোন রাজ্যে জইতাপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে?
উঃ- মহারাষ্ট্র।

১৯১. কোন রাজ্যে পুলিভেন্দুলা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে?
উঃ- অন্ধ্রপ্রদেশ।

১৯২. ভারতেরর বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম কি?
উঃ- তামিলনাড়ুর কুদানকুলান।

১৯৩.  ভারতের প্রথম নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের নাম কি?
উঃ- অপ্সরা।

১৯৪. ভারতের দুটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের নাম লেখ?
উঃ- তামিলনাড়ুর কালপক্কমে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী সেন্টার ফর অ্যাটমিক রিসার্চ' এবং মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে অবস্থিত ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার।

১৯৫. সৌরশক্তি বলতে কী বোঝো?
উঃ- সূর্য থেকে নির্গত তাপ ও আলো থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হয়,তাকে সৌরশক্তি বলে।

১৯৬. সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নির্মিত সৌর কোষের প্রধান উপাদান কি?
উঃ- সিলিকন।

১৯৭. পৃথিবীর বৃহত্তম সৌর পুষ্করিণী কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাটের কচ্ছ উপদ্বীপের মাধাপুর।

১৯৮. ভারতের বৃহত্তম  বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাটের চারঙ্ক।

১৯৯. ভারতের বৃহত্তম সৌরপার্ক কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাটের চারঙ্ক।

২০০. কোন দেশ সৌর কুকার ব্যবহারের পৃথিবীতে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- ভারত।

২০১. ভারতের কয়েকটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম লেখ।
উঃ- উত্তরপ্রদেশের কল্যাণপুর ও মউ, গুজরাটের চারঙ্ক, তামিলনাড়ু শিবগঙ্গা, রাজস্থানের পোখরান ও যোধপুর,ওড়িশার পাটাপুর ইত্যাদি।

২০২. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে?
উঃ- জামুরিয়া ও সাগরদ্বীপ।

২০৩. বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারত পৃথিবীতে কততম স্থান অধিকার করেছে?
উঃ- পঞ্চম।

২০৪. এশিয়ার বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাটের লাম্বা।

২০৫. ভারতের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাটের লাম্বা।

২০৬. ভারতের কয়েকটি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম লেখ?
উঃ- গুজরাটের লাম্বা, তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী ও কায়াথার, কর্নাটকের যোগমাট্টি, কেরলের কোজিকোড, রাজস্থানের জয়সলমির  ইত্যাদি।

২০৭. পশ্চিমবঙ্গের দুটি বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নাম লেখ?
উঃ- সাগরদ্বীপ ও ফ্রেজারগঞ্জ।

২০৮. ভারতের কয়েকটি ভূতাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম লেখ?
উঃ- হিমাচল প্রদেশের মণিকরণ, ছত্রিশগড়ের তাতাপানি, উত্তরাখণ্ডের তপোবন, গুজরাটের কাম্বে, লাদাখের পুগা, জম্মু-কাশ্মীরের ছুমাথাং।

২০৯. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় ভূতাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে?
উঃ- বীরভূমের বক্রেশ্বর।

২১০. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কের ওল্ড ফেইথফুল কিসের নাম?
উঃ- গিজার প্রস্রবন।

২১১. বাবাবুদান আকরিক লৌহ খনি কোন রাজ্যে অবস্থিত?
উঃ- কর্ণাটক।

২১২. ঝাড়খণ্ডের বুদাবুরু কোন খনিজ তেল উত্তোলন কেন্দ্র?
উঃ- লৌহ আকরিক।

২১৩. কোন শ্রেণীর কয়লা দহনে ধোঁয়াহীন নীলাভ অগ্নিশিখা নির্গত হয়?
উঃ- অ্যানথ্রাসাইট।

২১৪. ONGC এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উঃ- নিউ দিল্লি।

২১৫. ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম তৈল শোধনাগার কোথায় অবস্থিত?
উঃ- গুজরাটের নায়ারা।

0 মন্তব্যসমূহ