১. কুষাণরা কোন জাতির অংশ?
উঃ- ইয়ো-চি জাতির অংশ।
২. ইয়ো-চি দের আদি বাসভূমি কোথায় ছিল?
উঃ- চীনের কাংসু প্রদেশে।
৩. কুষাণ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উঃ- কুজুল বা প্রথম কদফিসেস।
৪. 'ওয়াং' কথার অর্থ কি?
উঃ- রাজা।
৫. প্রথম কদফিসসের পর কে সিংহাসনে বসেন?
উঃ- দ্বিতীয় কদফিসস।
৬. কনিষ্ক কবে সিংহাসনে বসেন?
উঃ- ৭৮ খ্রিষ্টাব্দ।
৭. শকাব্দ কে প্রবর্তন করেন?
উঃ- কনিষ্ক।
৮. কনিষ্কের রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ- পুরুষপুর বা পেশোয়ার।
৯. 'মহাক্ষত্রপ' কি?
উঃ- কনিষ্কের পূর্বাঞ্চলের রাজকর্মচারী।
১০. 'বেস্পাসি' কি?
উঃ- কনিষ্কের উত্তরাঞ্চলের রাজকর্মচারী।
১১. কনিষ্ক কোন ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন?
উঃ- বৌদ্ধ ধর্ম।
১২. 'মধ্যমিকা সূত্র' কার লেখা?
উঃ- নাগার্জুন।
১৩. 'বুদ্ধচরিত' কার লেখা?
উঃ- অশ্বঘোষ।
১৪. অশ্বঘোষ কে ছিলেন?
উঃ- কনিষ্কের সভাকবি।
১৫. 'মহাযান' ও 'হীনযান' কখন বিভক্ত হয়?
উঃ- কনিষ্কের আমলে।
১৬. 'মহাযান' কাদের বলে?
উঃ- বৌদ্ধধর্মে যে শাখা সাধনার মূল্য স্বীকার করে এবং বুদ্ধকে মানব সমাজের ত্রাণকর্তা বলে মনে করেন তাদেরকে মহাযান বলা হয়। এরা বোধিসত্ত্বের বিশ্বাসী।
১৭. 'হীনযান' কাদের বলে?
উঃ- বৌদ্ধ ধর্মের যে শাখা অহিংসা ও নিজের নির্বাণ লাভ করা কে শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে মনে করেন তাদের হীনযান বলে।
১৮. কনিষ্ক কোন মতবাদ গ্রহণ করেন?
উঃ- কনিষ্ক মহাযান মতবাদ গ্রহণ করেন।
১৯. 'গান্ধার শিল্প' কাকে বলে?
উঃ- বুদ্ধমূর্তি ও বৌদ্ধ ধর্মকে আশ্রয় করে ভারতে যে শিল্প রীতি গড়ে ওঠে তা ইতিহাসে গান্ধার শিল্প নামে পরিচিত।
২০. আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের রচয়িতা কে?
উঃ- চরক।
২১. শেষ কুষাণ সম্রাটের নাম কি?
উঃ- প্রথম বাসুদেব।
২২. চতুর্থ বৌদ্ধ মহাসভা কার আমলে হয়েছিল?
উঃ- কনিষ্কের আমলে।
২৩. চতুর্থ বৌদ্ধ মহাসভা সভাপতি কে ছিলেন?
উঃ- বসুমিত্র।
২৪. কনিষ্কের আমলে কোন কোন শিল্প রীতি গড়ে ওঠে?
উঃ- গান্ধার শিল্পরীতি ও মথুরা শিল্পরীতি।
২৫. কাকে 'দ্বিতীয় অশোক' বলা হয়?
উঃ- কনিষ্ক।
২৬. কুষাণ সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কি?
উঃ- কণিষ্কের মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে কুষাণ সাম্রাজ্যের অবক্ষয় শুরু হয় ।
- বিশিষ্ক, হুবিষ্ক, দ্বিতীয় কণিষ্ক, প্রথম বাসুদেব, তৃতীয় কণিষ্ক, দ্বিতীয় বাসুদেব প্রমুখ পরবর্তী রাজাদের যোগ্যতা কখনোই কণিষ্কের মতো ছিল না। বিশেষত শেষ দুজনের আমলে কুষাণরা খুবিই দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে অসংখ্য আঞ্চলিক বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। উত্তরপ্রদেশে নাগ ও মাঘ বংশীয় রাজারা পাঞ্জাবে বৌধেয় প্রমুখরা বিদ্রোহে শামিল হয়। পশ্চিম ভারতে শকগণ স্বাধীনতা লাভ করে।
- এর পাশাপাশি ছিল বাণিজ্যিক অবক্ষয়। কুষাণদের পতনের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি অন্যতম কারণ।
- অধ্যাপক ব্রতীন মুখ্যোপাধ্যায়ের মতে, বৈদেশিক আক্রমণ একটা বড়ো কারণ। পারস্যের সাসনীয় সম্রাটদের হাতে কুষাণরা পরাস্ত হয় । অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা, অর্থনৈতিক ক্রমাবনতি, বৈদেশিক আক্রমণ— সব মিলিয়ে কুষাণ সাম্রাজ্য ক্রমশ ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ