১. পাখির জীবাশ্মের নাম কি?
উঃ- আর্কিওপ্টেরিক্স।
২. ঘোড়ার জীবাশ্মের নাম কি?
উঃ- ইওহিপ্লাস, প্লায়োহিপ্পাস।
৩. হাতির জীবাশ্মের নাম কি?
উঃ- মোএরিথেরিয়াম।
৪. মানুষের জীবাশ্মের নাম কি?
উঃ- অস্ট্রেলোপিথেকাস জিন-জ্যানথ্রোপাস।
৫. উদ্ভিদের জীবাশ্মের নাম কি?
উঃ- টেরিডোস্পার্ম।
৬. জীবন্ত জীবাশ্ম কাকে বল?
উঃ- যে সমস্ত জীব সুদূর অতীতে উৎপত্তি লাভ করে ও কোন রকম পরিবর্তন ছাড়াই এখনো পৃথিবীতে টিকে আছে, অথচ তাদের সমসাময়িক গুলি অবলুপ্তি ঘটেছে, সেই সমস্ত জীবদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে।
৭. কতগুলি জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ?
উঃ- লিমিউলাস, সিলাকান্থ, স্ফেনোডন।
৮. 'অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম' বলতে কী বোঝায়?
উঃ- জীবের জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটায় এবং খাদ্য ও বাসস্থানের সীমিত থাকায় জীবকে বেঁচে থাকার জন্য কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। ডারউইন এইরকম সংগ্রামকে 'অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম' বলে অভিহিত করেন।
৯. পরিব্যক্তি কাকে বলে?
উঃ- জীব কোষের সাইটোপ্লাজম এর রাসায়নিক সংগঠনের আকস্মিক পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন প্রজাতির উৎপত্তি হওয়াকে পরিব্যক্তি বলে।
১০. নিষ্ক্রিয় অঙ্গ কাকে বলে?
উঃ- প্রাণীদের যে সকল অঙ্গ বহুদিন যাবত ও ব্যবহারের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত ও অকেজো হয়ে গেছে তাদের নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বলে।
১১. কতকগুলি নিষ্ক্রিয় অঙ্গের উদাহরণ?
উঃ- মানুষের কক্সিস, অ্যাপেন্ডিক্স।
১২. অভিযোজন কাকে বলে?
উঃ- পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে বা খাপ খাইয়ে চলার জন্য জীবদেহের গঠনগত, শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত পরিবর্তনকে অভিযোজন বলে।
১৩. মুখ্য খেচর প্রাণী কাকে বলে?
উঃ- যেসব প্রাণী স্বাধীনভাবে এবং দীর্ঘক্ষন ধরে বাতাসে উড়তে পারে তাদের মুখ্য খেচর প্রাণী বলে।
১৪. কতগুলি মুখ্য খেচর প্রাণীর উদাহরণ?
উঃ- পায়রা, বাদুড়, নানা ধরনের পাখি।
১৫. গৌণ খেচর প্রাণী কাকে বলে?
উঃ- যেসব প্রাণী স্থায়ীভাবে এবং দীর্ঘক্ষন ধরে বাতাসে উড়তে পারে না কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য বাতাসে ভেসে থাকতে পারে, তাদের গৌণ খেচর প্রাণী বলে।
১৬. কতকগুলি গৌণ খেচর প্রাণীর উদাহরণ?
উঃ- উড়ুক্কু মাছ, উড়ুক্কু ব্যাঙ, উড়ুক্কু গিরগিটি।
১৭. ব্লাবার কাকে বলে?
উঃ- গৌণ জলজ প্রাণীদের চামড়ার নিচে তাপ নিয়ন্ত্রণকারী যে পুরু চর্বিযুক্ত স্তর থাকে তাকে ব্লাবার বলে।
১৮. নাইট্রোজেন চক্র কাকে বলে?
উঃ- যে পদ্ধতিতে বায়ুর নাইট্রোজেন মাটিতে এবং মাটির নাইট্রোজেনের বায়ুতে আবর্তিত হয় পরিবেশে নাইট্রোজেনের সমতা বজায় রাখে তাকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।
১৯. খাদ্য-শৃঙ্খল কাকে বলে?
উঃ- উৎপাদক থেকে ক্রমপর্যায় খাদ্য-খাদক সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রাণী গোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যশক্তির প্রবাহের ধারাবাহিক পদ্ধতি কে খাদ্য-শৃঙ্খল বলে।
২০. খাদ্য পিরামিড কাকে বলে?
উঃ- কোন বাস্তুতন্ত্রের পুষ্টি গঠনকে ক্রমিক পর্যায়ে সাজালে যে পিরামিড গঠিত হয় তাকে খাদ্য পিরামিড বলে।
২১. সংরক্ষণ কাকে বলে?
উঃ- যে পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি সাহায্যে সুপরিকল্পিতভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব মত ব্যবহার করা হয় এবং পরিবেশের অনুকূল অবস্থার সৃষ্টি করে প্রাকৃতিক সম্পদ পুনঃস্থাপন ও সুরক্ষিত করা হয় তাকে সংরক্ষণ বলেন।
২২. অভিব্যক্তি কাকে বলে?
উঃ- যে মন্থর ও গতিশীল প্রক্রিয়ায় পূর্বপুরুষ অর্থাৎ, উদবংশীয় জীব থেকে নতুন ধরনের জীবের উদ্ভব ঘটে তাকে অভিব্যক্তি বলে।
২৩. বৃদ্ধি কাকে বলে?
উঃ- নতুন কচি অপদার্থ সংশ্লেষ এর ফলে জীব দেহ বা জীব কোষের আকার, আয়তন বা ঘরের স্থায়ীভাবে বেড়ে যাওয়াকে বিশেষ করে সূক্ষ্ম ওজন বেড়ে যাওয়াকে বৃদ্ধি বলে।
২৪. মায়োসিস কাকে বলে?
উঃ- যে প্রক্রিয়ায় মাতৃ কোষের নিউক্লিয়াসকি দুইবার বিভাজিত হয়ে অর্ধ সংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ঠ চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে মায়োসিস বলে।
২৫. মাইটোসিস কাকে বলে?
উঃ- যে প্রক্রিয়ায় মাতৃ কোষের নিউক্লিয়াস একবার বিভাজিত হয়ে সমআকৃতি, সম গুণ ও সমসংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ঠ দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে মাইটোসিস বলে।
২৬. নিষেক কাকে বলে?
উঃ- পুং গ্যামেটের ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলন পদ্ধতিকে নিষেক বলে।
২৭. জিন কাকে বলে?
উঃ- প্রজাতির বংশগত বৈশিষ্ট্যের নির্ধারক বস্তুকে জিন বলে।
২৮. কোষ বিভাজন কাকে বলে?
উঃ- যে পদ্ধতিতে জনিতৃ কোষ বা মাতৃ কোষ বিভাজিত হয়ে অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে কোষ বিভাজন বলে।
২৯. অ্যামাইটোসিস কাকে বলে?
উঃ- যে প্রক্রিয়ায় কোনো মাতৃকোষ তার নিউক্লিয়াসের সরাসরি বিভাজন ঘটিয়ে দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে অ্যামাইটোসিস বলে।
৩০. দ্বি-নিষেক কাকে বলে?
উঃ- শস্যল উদ্ভিদের ক্ষেত্রে একটি পুং জনন কোষ ডিম্বাণু নিষিক্ত করে এবং অপরটি নির্ণীত নিউক্লিয়াসকে নিষিক্ত করে, এইরকম দুইবার নিষেক ঘটাকে দ্বি-নিষেক বলে।
0 মন্তব্যসমূহ